—–(পটভূমিঃ ওয়াল এর ওপারে বুনো এলাকায় একদল ওয়াইল্ডলিং এর পিছু নেন নাইটস ওয়াচ এর তিনজন সদস্য প্রবীণ গ্যারেড,তরুণ স্যার রয়েস ও আরেক অভিজ্ঞ সদস্য উইল।)—–
“আমাদের ফিরে যাওয়া উচিৎ।” গ্যারেড জোর করল যখনই তাদের ঘিরে থাকা বুনো অঞ্চল অন্ধকার হতে শুরু করল। “এই ওয়াইল্ডলিংগুলো(বুনো সম্প্রদায়) মারা গেছে।”
“তুমি কি মৃত মানুষদের ভয় পাও?” মুখে স্মিত হাসি নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন স্যার ওয়েইমার রয়েস।
গ্যারেড কথার ফাঁদে পা দিলেন না। পঞ্চোশোর্ধ একজন ব্যক্তি তিনি, (স্যার ওয়েইমার রয়েস এর মত)অনেক যুবরাজ তিনি দেখেছেন। “মৃত মৃতই”বললেন গ্যারেড। “মৃত নিয়ে নাক গলানো উচিৎ না”
“আসলেই কি তারা মৃত ? কি প্রমাণ আছে আমাদের কাছে ?”জিজ্ঞেস করলেন রয়েস।
“উইল দেখেছে লাশগুলো” গ্যারেডের উত্তর,”আর উইল যদি বলে তারা মৃত,আমার আর কোন প্রমাণের প্রয়োজন নেই।”
উইল জানতো যে এই দুজন একটা সময় তাকে ঝগড়ায় টানবেই। সে চেয়েছিল হবেই যখন পরেই হোক। সে বললো, “আমার মা বলেছিলেন যে মৃত কখনো আওয়াজ তোলে না।”
” আমার ধাত্রীমা ও একই কথা বলেছিলো, উইল”যুবরাজের উত্তর। “নারী স্তনের কাছে শুয়ে শোনা কোন কথাই বিশ্বাস করো না, মৃতদের কাছ থেকেও শেখার অনেক কিছু আছে।”
আধো আলোকিত বনে তার কথার প্রতিধবনি হতে থাকলো।
“অনেক বড় পথ সামনে আমাদের,আট বা নয় দিন ” গ্যারেড বললেন,”আর রাত কিন্তু বাড়ছে।”
স্যার ওয়েইমার রয়েস অবজ্ঞাভরে আকাশের দিকে তাকালেন।,”প্রতি দিন এই সময় প্রকৃতি এমন রূপ নেয়,তুমি অন্ধকারে ভয় পাও, গ্যারেড?”
উইল দেখতে পারল গ্যারেডের শক্ত হয়ে ওঠা চোয়াল,কালো পোশাকের আড়ালে বেরিয়ে থাকা চোখের নিচে চেপে রাখা ক্রোধ।
বাল্যকাল থেকে ৪০ বছর নাইটস ওয়াচ এ কাটিয়েছেন গ্যারেড; কারো কৌতুকের পাত্র হতে তিনি অভ্যস্ত নন। তবে এখানে ক্রোধের পাশে আরও কিছু ছিলো।
উইল খেয়াল করল হত হওয়া গর্বের নিচে আরো কিছু আঘাত করছে বৃদ্ধ মানুষটিকে। এক সন্ত্রস্ত অনুভূতি যা ভয়ের খুব কাছাকাছি।
আমি জাহিম ফাওয়াদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই, পরের পর্ব কি আর লিখবেন না?