Hyper Acidity Disease ( অতিরিক্ত অম্লত্ব রোগ)

Hyper Acidity এমন একটি অবস্থা যখন আমাদের পাকস্থলীতে অতিরিক্ত পরিমান এসিড উৎপন্ন হয় । আমাদের পাকস্থলীতে একধরনের তীব্র এসিড উৎপন্ন হয় যাকে রাসায়নিক ভাষায় হাইড্রোক্লোরিক এসিড বলে । এই এসিড পাকস্থলীতে বিভিন্ন কাজ করে । খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় পাচক রস বা এনজাইমের কার্যকারীতা এসিডিক মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল । অর্থাৎ পাকস্থলীতে এসিডের অনুপস্থিতিতে বা একটি নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম উপস্থিতিতে এনজাইম ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না , ফলে দেখা দেয় বদহজম । এসিডের আর একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ হল খাবারে সাথে যদি কোনো অপ্রয়োজনীয় বা ক্ষতিকারক অনুজীব ( ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক ইত্যাদি ) থাকে তাহলে তার বেশীরভাগকেই মেরে ফেলা । ফলে এই এসিড আমদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । কিন্তু অতিরিক্ত এসিড উৎপাদন শরীরের জন্য ক্ষতিকর । হাইড্রোক্লোরিক এসিড একটি তীব্র এসিড বিধায় আমাদের পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরী করতে পারে । মূলত পাকস্থলীতে মিউকাস নামক এক ধরনের লেয়ার থাকে যা এসিডকে পাকস্থলীর অন্তপর্দার সংস্পর্শে আসতে দেয় না । অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে এই মিউকাস লেয়ার সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারে না । ফলে পাকস্থলীর অন্তপর্দায় ক্ষত তৈরী হয় যাকে Ulcer বলে । উক্ত ক্ষততে প্রদাহ হলে একে Gastritis বলে । প্রদাহের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে Gastritis বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে । ulcer বা gastritis উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের পেটে ব্যথা হয় যাকে আমরা সাধারনভাবে গ্যাস্ট্রিক এর ব্যথা বলে থাকি । সময়মত এর চিকিৎসা না করালে এ রোগটি মারাত্বক আকার ধারন করতে পারে যাতে পাকস্থলী বা খাদ্যনালী থেকে রক্তক্ষরণ হয় । যথাসময়ে এর সুচিকিৎসা করালে খুব অল্প সময়েই এই রোগটি সেরে যায় ।
লক্ষণসমূহ : কখন বুঝবেন আপনার অতিসত্বর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে , যখন আপনার –
১. বুক জ্বালা করবে
২. খাবারে অরুচি দেখা দিবে
৩. পেটে ব্যথা বা বুকে ব্যথা হবে
৪. পেট ফেঁপে থাকবে
৫. ঘন ঘন বাতাস বের হবে
এসব অবস্থায় দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের সরনাপন্ন হোন ।
চিকিৎসা : Hyper acidity এর চিকিৎসায় মূলত তিন ধরনের ঔষধ ব্যবহৃত হয় ।
১.  Antacids
২.  H2 Blockers
৩.  Proton pump inhibitors (PPI)
এদের মধ্যে PPI গ্রুপের ঔষধ গুলোর কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশী এবং বর্তমানে ডাক্তাররা এধরনের ঔষধ ই সবচেয়ে বেশী দিয়ে থাকেন । এই গ্রুপের কিছু কিছু ঔষধ ( Omeprazole capsule ) খাবার গ্রহণের কমপক্ষে আধ ঘন্টা আগে খেতে হয় নয়ত ঔষধের কার্যকারিতা অনেকাংশেই কমে যায় । যদি খাবারের আগে ঔষধ খেতে মনে না থাকে তাহলে যখনই মনে পড়বে সাথে সাথে ঔষধ খেয়ে তার আধ ঘন্টা পর খাবার খাওয়াই ভাল হবে । ঔষধ কমপক্ষে ২৮ দিন বা তার বেশী দিন খেতে হবে । যদি কিছু দিন ঔষধ খাওয়ার পর ব্যথা ভাল হয়ে যায় তার পরও কমপক্ষে ২৮ দিন পর পর্যন্ত ঔষধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে । কারণ পাকস্থলীর ক্ষত ভাল হতে কিছু দিন সময় নেয় । এ সময়ের মধ্যে ঔষধ খাওয়া বন্ধ করলে পুনরায় এ রোগ দেখা দিবে ।
প্রতিরোধ ও সাবধানতা : কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সহজেই এ রোগ থেকে দূরে থাকা যেতে পারে ।
১. নিয়মিত খাবার খাবেন ।
২. অতিরিক্ত ঝাল খাবার বর্জন করুন।
৩. অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করুন ।
৪. খাবার গ্রহনের সময় প্রতিদিন একই রাখতে চেষ্টা করুন ।
৫. বেশী পরিমান খাবার একসাথে খাবেন না ।
৬. লম্বা সময় বিরতিতে খাবার খাবেন না ।
-এই রোগে আক্রান্ত অবস্থায় এই নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলুন ।
“ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ঔষধ খাবেন না । প্রতিটি ঔষধেরই কিছু না কিছু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে ।”

Level 0

আমি রবিউল হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

onek bistarito likhesen, dhonnobad…. kintu tech related noy.

Level 0

ভাই, গতকাল থেকে এই সমস্যাই আমি বিছানা থেকে উঠতেই পারতেছিনা। কিছুদিন ভাল থাকি আবার হয়। Omiprazol নিয়মিত খাই। তারপরও এককালিন সুস্থতা পাচ্ছিনা।

    @2012kafi: ভাই আপনি opton 20 ( ESOMEPRAZOLE 20mg) tablet প্রতিদিন সকালে আর রাতে খাবারের আগে খেয়ে দেখতে পারেন। নিয়মিত ঔষুধ খাবেন আর সাবধানতাগুলো ভালভাবে মেনে চলুন। চার দিনের মধ্যে ব্যথা না কমলে অনুগ্রহ করে ডাক্তার দেখান। ডাক্তার দেখানোতে অলসতা করবেন না।

ধন্যবাদ

ধন্যবাদ

অসংখ ধন্যবাদ ভাই । আমি ৬ মাস যাবত এই problem এ ভুগছি , ডাক্তার দেখানর পরেও পুরোপুরি সুস্থ হই নি । আমার জন্য দয়া করবেন ।

    @মাহফুজুর রহমান বিপ্লব: নিয়মগুলো মেনে চলুন। ভাল না হলে পুনরায় ডাক্তার দেখান। বিভিন্ন কারণ এর জন্য অতিরিক্ত এসিড সিক্রেসন হয়ে থাকে। সঠিক কারণটা খুজে পেলে ইনশাল্লাহ ভাল হয়ে যাবেন। ডাক্তার কে সব বলুন আপনার খাদ্যাভাস, অন্য কোন ঔষধ খাচ্ছেন কিনা তাও বলুন।

ভালোই তো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার অনেক উপকার হলো। আশাকরি সবার উপকার হবে। ডায়াবেটিস সর্ম্পকে জানতে ভিজিট করুন ঃ ডায়াবেটিসের কারন ও প্রতিকার