বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-৭২] :: ‌বাংলাদেশের তৈরী ৩ টি ১৫০ সিসি বাইক

বর্তমানে মোটরসাইকেল বাংলাদেশে অত্যাধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অবশ্য এটার জনপ্রিয়তার পেছনে এর অনেক কারণও রয়েছে। এটার দাম কম, রাইডিং এ বেশ আরাম আছে, মাইলেজ দেয় বেশী, স্টাইলিশ এবং আমাদের দেশের রোডের অবস্থার সাথে বেশ মামানসই। এছাড়াও অনেক কারণেই মোটরসাইকেল আমাদের দেশে জনপ্রিয়। বাংলাদেশে মোটরসাইকেল প্রথম আসার পর আমদানীকারক রা জাপান, চীন, ইন্ডিয়া, ইতালী ও আরও অনেক দেশ থেকে বাইক ইমপোর্ট শুরু করে। আসলে আমাদের মত একটা গরীব দেশে মোটরসাইকেল তৈরী করা বেশ কঠিনই বলা যায়। তবে, বর্তমানে বেশ কিছূ কোম্পানী আমাদের দেশেই মোটরসাইকেল তৈরীর কাজ শুরু করেছে। এদের ভেতর সবথেকে জনপ্রিয় ব্রান্ড গল রানার, পেগাসাস এবং ওয়াল্টন। এরা বেশ রূচিশীল, ভাল মানের এবং ৫০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি পর্যন্ত বিভিন্ন মোটরসাইকেল তৈরী করছে। বর্তমানে আমাদের দেশী কোম্পানীগুলোই বেশ ভাল মানের ১৫০ সিসির বাইক উৎপাদন করছে। আমার আজকের টিউন হল বাংলাদেশে তৈরী ৩ টি বেশ ভাল মানের ১৫০ বাইক নিয়ে।

 

Freedom Runner Turbo 150:

ফ্রীডম রানার টার্বু হল দেশে তৈরী একটা স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির ১৫০ সিসি বাইক। এটার সুন্দর ডিজাইন ও লুক এবং কালার কম্বিনেশন দেখে যে কেউ এক পলকেই এটা পছন্দ করে ফেলবে। অবশ্য এটার পারফরমেন্সও বেশ ভাল। বাইকটিতে ১৪৮.২ সিসির একটা এয়ার কুলড ৪ স্ট্রোক ইন্জিন রয়েছে। সামনে ডিস্ক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এটার অ্যালয় হুইল, বেশ ভাল ডাইমেনশন এবং কিক ও ইলেকট্রিক র্স্টাট মেথড রয়েছে। এটার বডি পার্টসগুলো বেম মজবুত এবং রূচিশীল। বাজারে এটার দাম ১৪০০০০ টাকা।

 

Pegasus Evo 150R:

 

পেগাসাসের এই বাইকটি বাংলাদেশে উৎপন্ন সবথেকে স্টাইলিশ এবং ভাল ফিচারের বাইক। বাইকটির আউটলুকটা চরম। আউটলুক ছাড়াও একটা ইন্টারন্যাশন্যাল ব্রান্ডোর বাইকে যেসব ফিচার থাকে তার সবকিছুই এটাতে রয়েছে। বাইকটিতে সুন্দর হেডলাইট ও বেশ সুন্দর একটা কনসোল রয়েছে। এটার ইন্জিন পাওয়ার ১৫০ সিসি। ইন্জিনটি এয়ারকুলড এবং ৪ স্ট্রোক। সামনে টেলিস্কোপিক এবং পেছনে মনেশক সাসপেনশন, ডবল ডিস্ক ব্রেক ইলেকট্রিক স্টার্ট প্রভৃতি সহ বাইকটিকে বেশ ভালই বলা যায়।এটার বর্তমান বাজারদর ১৪৫০০০ টাকা।

 

Walton 150cc

 

ওয়াল্টন এক্সপ্লোর হল দেশের অন্যতম পাওয়ারফুল একটা বাইক। বাইকটির একটা এগ্রেসিভ লুকের সাথে ডবল ডিস্ক ব্রেক ও বেশ মোটা চাকা এবং সামনের ইউনিক স্টাইলের হেডলাইট বাইকটিকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছে।

বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক ইন্জিন। এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে।এই ইন্জিনটি ইউরো ৩ স্টান্ডার্ড এর এবং ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি টেকনোলজি সমৃদ্ধ।   এই ইন্জিনটিতে ১০.৩ কিলোওয়াট শক্তি রয়েছে যেটা ১২ N/M টর্ক উৎপন্ন করে। এর ইন্জিনের রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ার বক্স। বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার চলে থাকে। এটার টপ স্পীড হল ১১৫ । এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৫ সেকেন্ড। বাইকটিতে কিক ই ইলেকট্রিকের পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোল স্টার্ট এরও ব্যাবস্থা আছে। এছাড়া এই বাইকটিতে ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে, এন্টি থেপট লক ও মোবাইল ফোন ইনডিকেটরও রয়েছে। বাইকটিতে একটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে। বাইকটির সর্বমোট ওজন ১২৯ কেজি।

এই বাইকটিই মনে হয় বাংলাদেশের তৈরী বাইকগুলোর ভেতর সবথেকে লেটেস্ট টেকনোলজি ইউজ করেছে। সবকিছু মিলিয়ে বাইকটিকে স্ট্যার্ন্ডান্ড বাইক বলা যায়।

বাইকটির দাম মাত্র ১২৮০০০ টাকা।

 

আসলে দেশে তৈরী বাইকগুলো বিদেশী বাইকের মত এতটা সবদিক থেকে পারফেক্ট না হলেও দামের সাথে পারফরমেন্স এর কথা বিবেচনা করলে যেকেউ এই বাইকগুলোকেই সাপোর্ট করবেন।

সৌজন্যে : Bikebd.com

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভালো লেগেছে! 🙂