বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-৬৯] :: Lifan KP150

বাংলাদেশের বাইক এর ৬৯ পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের আজকের রিভিউটি Lifan KP150 এর উপর। এটা ১৫০ বাইকের মধ্যে বেশ ভাল একটা বাইক। বাইকটি হয়ত বাংলাদেশে খুব কম মানুষই দেখেছেন। কারণ, বাইকটি বাংলাদেশে তেমন একটা এভেইলএভল না তবে রিসেন্টলি বাইকটি বাংলাদেশে বেশ ভালএকটা মার্কেট পেয়েছে। বাইকটি মূলত চাইনিজ বাইক হলেও এটা অনেক ইন্ডিয়ান বাইক ও ব্রান্ডের ১৫০ বাইককে হার মানাতে সক্ষম। এটা Lifan KPR150 এর আগের ভার্সন। বাইকটি বেশ ভাল পারফরমেন্স ও লুকিং এর একটা ১৫০ বাইক। এটার ভেতর একটা বেশ ভালই স্পোর্টি লুক রয়েছে। এটা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ও দাম হিসাব করলে একটা ভাল ১৫০ বাইকই বলা যায়।

তো চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক Lifan KP150 এর কনফিগারেশন।

 

 টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন :

 

Technical Specification
Bike NameLifan KP150
BrandLifan
Bike CategorySports
Engine
TypeSingle Cylinder 4 Storke, Air Colled, Petrol Engine
Displacement (cc)149
Starting MethodElectric & Kick
Gears5
Bore X Stroke57.3mm ×57.8mm
Compression ratio9.1 : 1.0
Max. Power12.8 BHP @ 8500RPM
Max. Torque12.0NM @ 6000RPM
Transmission5 Speed, left hand-clutched
SuspensionFront telescopic fork & rear is equipped with mono shock absorber.
Body
Dimension (LxWxH)2060x745x1080
Wheel Base (mm)1330
Ground Clearance (mm)160
Kerb Weight (KG)134
Brake FrontDisc
Brake RearDisc
Wheel FrontAlloy
Wheel RearAlloy
Tyre Front2.50-17
Tyre Rear2.75-17
Electrical
Battery12v
Extra Features
Others
Price/Availability
PriceTk. 150000.00

 

ওভারভিউ বডি  :

বাইকটি মূলত বেশ স্টাইলিশ একটা বাইক। এটাতে একটা ডিজিটাল স্পীডোমিটার, ক্লক, ফুয়েল ক্যালকুলেটর রয়েছে। বাইকটিতে ইলেকট্রিক স্টার্ট রয়েছে বাইকটির ভেতর একটা চরম এগ্রেসিভ ভাব আছে যেটা বাইকটিকে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। বাইকটির বেশ বড় ফুয়েল ট্যাঙ্কেরে সথে বেশ ছোটখাট হেডলাইট বাইকটিকে একটা রেসিং লুক দিয়েছে। রাইডারের নীচু রেসিং স্টাইলের বসার সিট এবং পেছনের যাত্রীর জন্য বেশ উচু সিট বাইকটিকে সম্পূর্ণ একটা এক্সেপশনাল লুক দিয়েছে যেটা সাধারণত চাইনিজ বাইকগুলোতে দেখা যায় না। এটার স্পীডোমিটার ও কনসোল সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং বেশ স্টাইলিশ লুকের।

ইন্জিন :

বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক ইন্জিন। এটা CCVTi টাইপের ইন্জিন  । এর ইন্জিনের ডিসপ্লেসমেন্ট হল ১৪৯ সিসি। এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে। এই ইন্জিনটিতে 12.8 BHP @ 8500RPM শক্তি রয়েছে এবং বাইকটির টর্ক 12.0NM @ 6000RPM যেটা ১৫০ বাইকের ক্ষেত্রে বেশ ভাল একটা পাওয়ার এবং টর্ক। বাইকটির ইন্জিন পাওয়ার যেকোন চাইনিজ ১৫০ বাইক থেকে অনেক বেশী। বাইকটিতে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক স্টার্ট সিস্টেম রয়েছে। বাইকটির ইন্জিনের রয়েছে একটা হাইয়ার কম্প্রেশন রেশিও যেটা হল 9.1 : 1.0। বাইকটির বোর ও স্ট্রোক হল 57.3mm ×57.8mm।বাইকটির টপ স্পীড মূলত অফিসিয়ালি দেওয়া নেই কিন্তু বাংলাদেশের টীম বাইকবিডির টেষ্ট রাইড থেকে এটার টপ স্পীড পাওয়া গেছে ১২৪ কি.মি/ঘন্টা। এটার এক্সেলেরেশন পাওয়ারও চরম। মাত্র ৫ সেকেন্ডের ভেতর এটা ৬০ কি.মি/ঘন্টা স্পীড তুলতে পারে।আর এটা যেকোন গিয়ারে সমানভাবে এক্সেলেরেট করতে পারে যেটা এর একটা অনন্য বৈশিষ্ঠ।। বাইকটির ইন্জিনকে আমরা ১৫০ বাইক হিসেবে এগিয়ে রাখতে পারি কারণ এর টপ স্পীড ও এক্সেলেরেশন পাওয়ার বেশ ভাল ও এটা নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে যেকোন ১৫০ এর সাথে রেসিং এর যেতে পারেন। তবে এটার ইন্জিনের একটু ওভারহিটিং এর সমস্যা রয়েছে। ইন্জিন অনেক সময় ধরে হাই স্পীডে চলতে থাকলে খুব বেশী গরম হয়ে যায়।

চাকা ব্রেকিং ডাইমেনশন :

বাইকটির চাকা অন্যান্য ১৫০ বাইকের তুলনায় বেশ মোটা এবং ডিফারেন্ট শেপের। এর চাকাগুলো অ্যালয় এবং টিউবলেস।। বাইকটির সামনের চাকাতে এবং পেছনের চাকাতে ডিস্ক ব্রেক রয়েছে যেটা বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম ১৫০ বাইকেই পাওয়া যায় না।ফলে বাইকটির কন্ট্রোলিংটাও অনেক ভাল। এটা টপ স্পীডে খুব সামান্য মাত্রায় ভাইব্রেট করে থাকে।। বাইকটির হুইলবেস ১৩৩০ মি.মি যেটা বেশ ভালই এবং ১২৫ বাইক এত বেশী সাধারণত থাকে না। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ mm এবং ওজন ১৩৫ কেজি। ওজন একটু বেশী হবার কারণে বেশী স্পীডে ভাইব্রেশনের সমস্যাটা এই বাইকে নেই।আর হাই গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এর কারণে বাইকটি যেকোন রোডে রাইড করে মজা পাওয়া যায়। বাইকটির সামনে সাসপেনশন টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের সাসপেনশন সিস্টেম হল মনো শক এববজরভার।। বাইকটিতে এ্যলয় হুইলেরর সাথ সামনের চাকাতে ডিস্ক ও পেছনের চাকাতেও ডিস্ক ব্রেক যুক্ত রয়েছে যেটা বাইকটিকে অনেক ভাল কন্ট্রোল এনে দিয়েছে। সামনের টায়ারের সাইজ 2.50-17 এবং পেছনের টায়ারের সাইজ 2.75-17 যেটা ১৫০ বাইকের তুলনায় বেশ মোটা এবং এই চাকার শেপের কারণে বাইকটি নিয়ে কর্নারিং এর ক্ষেত্রে এক্সট্রা অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।।এটার অ্যালয় হুইলগুলো বেশ স্টাইলিশ ও স্ট্রং এবং সামনের চাকার হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেকের সাথে বাইকটি বেশ ভালই লুক নিয়েছে।

 

অন্যান্য ফিচার :

বাইকটির হেডলাইট 12V 35/35 হ্যালোজেনে লাইট। বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার চলে থাকে। এটার টপ স্পীড হল ১২৪ কি.মি/ঘন্টা।এই স্পীড বাংলাদেশের বেশীরভাগ ১৫০ বাইকে এত বেশী স্পীড আশা করা যায় না। এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৫ সেকেন্ড। বাইকটিতে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক স্টার্ট রয়েছে। বাইকটিতে একটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে। বাইকটির সর্বমোট ওজন ১২৫ কেজি।বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কে জ্বালানী ধরে ১২ লিটার।

লিফানের এই বাবকিটি মূলত দামের সাথে হিসাব করলে বলা যায় যে বেশ ভাল একটা ফাইটার এবং এই দামে এত ভাল পারফরমেন্সের ১৫০ বাইকের কথা বাংলাদেশে চিন্তা করা যায় না। এটা বাংলাদেশের যারা কম বাজেটের ভেতর ভাল পারফরমেন্সের বাইক খুজছেন তাদের জন্য একদমই পারফেক্ট। তবে বাইকের ইন্জিনের একটা ফল্ট হল এটার বেশী গরম হয়ে যাওয়া।

 

বাইকটি সম্পর্কে লেটেস্ট আপডেট পেতে আরও বিস্তারিত জানকে ভিজিট করুন  : Bikebd.com

 

 

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস