বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-৬৭] :: UM Renegade Duty 125cc

বাংলাদেশের বাইক এর ৬৫ পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের আজকের রিভিউটি UM Renegade Duty 125cc এর উপর। বাইকটি মূলত চরম এক্সেপশনাল মডেলের একটা বাইক যেটটা বাংলাদেশের রোডে খুবই কম দেখা গেছে। এমন মানুষ খুব কমই আছেন যারা এই বাইকটিকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। তবে বাইকটি একটা ইউনিক লুকের এবং মিডিয়াম কনফিগারেশনের ১২৫ বাইক। বাইকটি অনেকে দেখে পুরাতন মডেলের বাইক বলে মনেও করতে পারেন। কারণ বাইকটির মডেল অনেকটা সেই রকম।

তো চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক  UM Renegade Duty 125cc এর কনফিগারেশন।

 

 টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন :

 

Technical Specification
Bike NameUM Renegade Duty 125cc
BrandUM
Bike CategoryCruisers
Engine
Type1 Cylinder, 4 Stroke
Displacement (cc)124 cc
Max Power11.85 hp @ 7773 rpm
Max Torque9.81 nm @ 6657 rpm
Bore x Stroke56.5 x 49.5
CarburettorPZ26
Compression Ratio9.0:1
CoolingAir Cooling
Starting MethodElectric & Kick
Ignition TypeCDI
Gears5-speed
ClutchWet, multiple-plate
Body
Dimension (LxWxH)1050 x 1975 x 730 mm
Seat Height756
Wheel Base (mm)1350 mm
Fuel Tank Capacity (L)10L
Kerb Weight (KG)110kg
Max load (KG)175kg
Suspension FrontHydraulic Telescopic
Suspension RearHydraulic With Spring
Brake FrontDisc
Brake RearDrum
Wheel FrontAlloy
Wheel RearAlloy
Tyre Front2.75-18, Tubeless Tyre
Tyre Rear110/90-16, Tubeless Tyre
Electrical
Battery12V
Extra Features
OthersUM Design Gel Cushion Seat
Anti Flat Sealant Tire
USB Charging Port
360 Visibility Light
Blind Spot Mirrors
Price/Availability
PriceTk. 155000.00

 

ওভারভিউ বডি  :

বাইকটি ১২৫ বাইক হিসেবে বেশ অভিজাত এবং রুচিশীল বলা চলে। হেডলাইটটি বেশ ছোটখাট এবং কনসোলটাও অনেক ছোট। এর রয়েছে ১ টি এনালগ স্পীডোমিটার ও ফুয়েল ইনডিকেটর রয়েছে। বাইকটিতে রয়েছে বেশ আরামদায়ক একটা বসার সিট।বাইকটির বসার সিটটি সম্পূর্ণ একটা ইউনিক স্টাইলের। পেছনের সিটটাও বেশ স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক। এটা একটা ক্রুইজার টাইপের বাইক তাই হাইট স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কম ও বাইকটি ছোটখাট। বাইকটি রাইড করেও বেশ মজা রয়েছে। বাইকটির কন্ট্রোলিংটা বেশ ভাল এবং সব মিলিয়ে লুকিংটা একটা অন্যরকম লুক বলে ডিফাইন করা যায়।

ইন্জিন :

বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক ইন্জিন ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট ভার্টিকেল SOHC ইন্জিন।।এর ইন্জিনের ডিসপ্লেসমেন্ট হল 124.00 ccm (7.57 cubic inches)। এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে। এই ইন্জিনটিতে 11.85 hp @ 7773 rpm শক্তি রয়েছে এবং বাইকটির টর্ক হল 9.81 nm @ 6657 rpm যেটা ১২৫ বাইক হিসেবে বেশ ভালই বলা চলে। বর্তমানের ১২৫ বাইকগুলোর ইন্জিন পাওয়ার এর সাথে এটার ইন্জিন পাওয়ারের বেশ মিল আছে।। এটার ইলেকট্রিক ও কিক উভয় ধরণের স্টার্ট মেথড রয়েছে।। এর ইন্জিনের রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ার বক্স। এর ইগনিশন সিস্টেম হল CDI। বাইকটির বোর ও স্টোক হল 56.5 x 49.5। বাইকটিতে রয়েছে মিডিয়াম কম্প্রেশন রেশিও। এটার কম্প্রেশন রেশিও 9.০:1।বাইকটির লুব্রিকেশন সিস্টেম হল Wet sump। বাইকটির ইন্জিন সম্পর্কে বলতে গেলে টিউমেন্টটা এমন হবে যে বাইকটির ইন্জিন ১২৫ বাইক হিসেবে একদম পারফেক্ট। কোন অংশে কম না আবার খুব বেশীও না। বাইকটিতে ফুয়েল ডেলিভারী সিস্টেম হল কার্বুরেটর এবং এটার কুলিং সিস্টেম হল এয়ার কুলিং।

চাকা ব্রেকিং ডাইমেনশন :

বাইকটির চাকা অন্যান্য প্রায় সব ১২৫ সিসি বাইকের মতই। চাকার সাইজ ১৮ ইন্চি।। এর চাকাগুলো অ্যালয় হুইলের এবং টিউবলেসনয়। বাইকটির সামনের চাকাতে ২৪০ মি.মি ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে এবং পেছনের চাকাতে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। বাইকটির ডাইমেনশন হল 1050 x 1975 x 730 mm। বাইকটির হুইলবেস 1350 mm মি.মি যেটা বেশ ভালই এবং ১২৫ বাইক এত বেশী সাধারণত থাকে না। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স 160 মি.মি এবং ওজন ১১০ কেজি। ওজন কম হবার কারণে বাইকটি দ্রুত এক্সেলেরেট করতে পারলেও এটার টপ স্পীডে একটু ভাইব্রেশনের সমস্যা হতে পারে।। বাইকটির সামনে সাসপেনশন হাইড্রোলিক টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের সাসপেনশন সিস্টেম হল Hydraulic With Spring। বাইকটিতে এ্যলয় হুইলেরর সাথ সামনের চাকাতে ডিস্ক ও পেছনের চাকাতে ড্রাম ব্রেক যুক্ত রয়েছে। সামনের টায়ারের সাইজ 2.75-18 এবং পেছনের টায়ারের সাইজ 110/90-16।বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশী হবার কারণে এটা চালিয়ে বেশ মজা পাওয়া যায়।

 

অন্যান্য ফিচার :

বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার চলে থাকে। এটার টপ স্পীড হল ১১০ । এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৮ সেকেন্ড। বাইকটিতে কিক ই ইলেকট্রিক স্টার্ট রয়েছে। বাইকটিতে একটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে। বাইকটির সর্বমোট ওজন ১১০ কেজি।বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কে জ্বালানী ধরে 10 লিটার। বাইকটিতে এক্সট্রা ফিচার হিসেবে রয়েছে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, এন্টি ফ্লাট সিলেন্ট টায়ার ৩৬০ ভিজিবিলিটি লাইট, ব্লাইন্ড স্পট মিরর।

বাইকটি মূলত শখের মানুষ জনের জন্য বেশ ভাল ও এক্সেপশনাল একটা বাইক। সবার বাইকটির পারফরমেন্স ও লুকিং পছন্দ নাও হতে পারে কারণ এখন বেমীরভাগ বাইকপ্রেমীরাই স্পোর্টি টাইপের বাইক পছন্দ করেন। তবে বাইকটি ভেতর একটা বেশ অভিজাত ভাব আছে এববং এটার পারফরমেন্স বেশ ভাল। তাই, সবমিলিয়ে বলা যায়, বাইকটি বাংলাদেশের সাপেক্ষে বেশ উপযুক্ত একটা বাইক যারা এই ধরণের বাইক পছন্দ করেন তাদের জন্য।

 

বাইকটি সম্পর্কে আরও ডিটেইলস জানতে ভিজিট করুন  : Bikebd.com

 

 

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই এই টা বাংলাদেশ এ কই পওয়া যায়।

এটা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেই পাওয়া যায় ।

মডেল টা জোশ, কিন্তু তেল কিনতে কিনতে ফতুর হয়ে জেতে হবে, তার থেকে ১৪০০০০ টাকা দিয়ে হিরো বা বাজাজ কেনা ভালো, ৭০-৭৫ kmpl পাওয়া যাবে, স্টাইল ও সুন্দর ।