
বাংলাদেশের বাইক এর ৬২ পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজ একটা এক্সেপশনাল বাইক নিয়ে লিখব। এক্সেপশনাল বলছি এই কারনে যে বাংলাদেশের রোডে এই বাইকটি খুবই কম দেখা যায়। বাইকটি আমাদের দেশী কোম্পানী ওয়াল্টন এর। এটা এক্সপ্লোর সিরিজের একটা ১২৫ বাইক। আমাদের আজকের রিভিউটি হবে ওয়াল্টন এক্সপ্লোর ১২৫ নিয়ে। বাইকটি ওয়াল্টন এক্সপ্লোর এর মতনই দেখতে এবং মডেলও হবহু একই। ২ টা ভালভাবে না দেখলে বোঝঅই যায় না যে কোন টা ১৪০ আর কোনটা ১২৫।

তো চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওয়াল্টন এক্সপ্লোরার ১৪০ এর কনফিগারেশন।
| Technical Specification | |
| Bike Name | Walton Xplore 125 |
| Brand | Walton |
| Bike Category | Sports |
| Engine | |
| Type | Single Cylinder, 4-Stroke, Air-Cooling |
| Displacement (cc) | 125cc |
| Rated Power | 9.0/7500 |
| Starting Method | Kick, Electric & Remote |
| Ignition Type | CDI |
| Gears | 5 |
| Clutch | Wet-type, Multi-Plate |
| Body | |
| Dimension (LxWxH) | 1970 X 855 X 1280mm |
| Wheel Base (mm) | 1260mm |
| Fuel Tank Capacity (L) | 17L |
| Kerb Weight (KG) | 118Kg |
| Brake Front | Disc & Drum |
| Electrical | |
| Battery | 12V |
| Extra Features | |
| Others | Quick response and low maintenance engine. Five step adjustable with gas reserved rear suspension. Strong and durable body parts. Stylish matt black alloy wheel. Self staring system LED based Tail Lamp. |
| Price/Availability | |
বাইকটি হল সুপারমটো টাইপের।কিন্তু কোম্পানী থেকে এটাকে স্পোর্টস বাইক হিসেবে বলা হয়েছে। বেশ উচু একটা বাইক। স্যাডল হাইট অন্যান্য ১২৫ বাইক থেকে বেশ বেশী। কিন্তু আপনার বাইকের সাসপেনশন সিস্টেম সেটা সহজে বুঝতে দিবে না। এটির সামনের হেডলাইটটি মনে হয় কিছূটা ইয়ামাহা এফজেড এর মত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বডির তুলনায় হেডলাইটটি একটু ছোটই মনে হবে। এর রয়েছে ১ টি এনালগ স্পীডোমিটার ও ফুয়েল ইন্ডিকেটর। সামনের দিকের শেপটা বেশ গোলগাল হলেও এর পুরো বডিটা অনেক লম্বা। বাংলাদেশের প্রচলিত বাইকগুলোর ভেতর এমন লং সিটওয়ালা বাইক খুবই কম দেখা যায়। মূলত এটাকে ১৪০ মডেল এর একটা কপি বলা যায়।

বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক কুইক রেসপন্স ও লো মেইনটেইন্স ইন্জিন। ইন্জিন। এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে।এই ইন্জিনটি ইউরো ৩ স্টান্ডার্ড এর এবং ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি টেকনোলজি সমৃদ্ধ। এই ইন্জিনটিতে 9.0/7500RPM শক্তি রয়েছে যেটা ১২ N/M টর্ক উৎপন্ন করে। এইক্ষেত্রে বাইকটি অন্যান্য ১২৫ বাইকের তুলনায় সমকাতারে আছে।। এর ইন্জিনের রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ার বক্স। এর ইগনিশন সিস্টেম হল CDI। এটার ক্লাচ ওয়েট টাইপ মাল্টি প্লেট।

এক্সপ্লোর বাইকটির চাকা আসলে বাংলাদেশের পাওয়া অন্যান্য প্রায় সব ১২৫ সিসি বাইকের থেকে মোটা। ফলে এটা আপনাকে ড্রাইভিং এর সময় অনেক মজা দেয়। এর চাকাটি টিউবলেস। এর টায়ার এর সাইজ হল 2.75-18, 90/90-18। বাইকটির সামনের চাকাতে ডিস্ক ও পেছনের চাকাতে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেমটা বেশ ভাল। ফলে বাইকটির কন্ট্রোল ও দারুন।বাইকটির ডাইমেনশন 1970 X 855 X 1280mm(LxWxH)। হুইলবেস ১২৬০ মি.মি। টোটাল ওজন ১১৮ কেজি যেটা বেশীরভাগ ১২৫ বাইকের থেকে একটু বেশী।

বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার চলে থাকে। এটার টপ স্পীড হল ১১০ । এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৮ সেকেন্ড। বাইকটিতে কিক ও ইলেকট্রিকের পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোল স্টার্ট এরও ব্যাবস্থা আছে। এছাড়া এই বাইকটিতে ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে, এন্টি থেপট লক ও মোবাইল ফোন ইনডিকেটরও রয়েছে। বাইকটিতে একটা ১২ বেশ শক্তশালী ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে এবং এটার ব্যাটারী পার্টসগুলোও খুবই স্ট্রং।। বাইকটির সর্বমোট ওজন ১২৮ কেজি। বাইকটির বডি পার্টসও বেশ টেকসই এবং স্ট্রং।
সব মিলিয়ে আমরা দেখতে পাই যে ওয়াল্টন এক্সপ্লোর কে অন্যান্য বিদেশী ১২৫ সিসি বাইকের সাথে সরাসরি তুলনা না করা গেলেও এটা অনেক ফিচার এর দিক থেকে অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে আছে।
তাছাড়া দামের দিক থেকে চিন্তা করলে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বাইকটি অনেক উপযুক্ত ।
বাইকটি সম্পর্কে লেটেস্ট আপডেট পেতে ও আরও বিস্তারিত জানকে ভিজিট করুন : Bikebd.com
আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।