বাংলাদেশের বাইক [পর্ব- ৫৯] :: হিরো অ্যচিভার ১৫০

বাংলাদেশের বাইক এর ৫৯ পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।  আমাদের আজকের বাইকটি হল হিরো আর্কাইভার। এটা হিরো নতুন একটি ১৫০ সিসির বাইক। বাইকটি বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয়।। এটি মূলত বাংলাদেশে নতুন লঞ্চ হয়েছে। বাইকটি প্রথমেই এসে হইচই ফেলে দিয়েছে মার্কেটে।বাইকটি মিডল ক্লাস ১৫০ বাইকের ভেতরই ধরা যায়। খুব একটা বেশী হাই পারফরমেন্সের বাইক এটা না সেটা আগে থেকেই বলে রাখলাম। তো চলুন দেখে নিই বাইকটির খুটিনাটি সবকিছু।

ওভারভিউ :

এই বাইকটিতে একটা সুন্দর এনালগ স্পীডোমিটার রয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় বাইকটিতে কোন ট্যাকোমিটার নেই। এতে একটি ডিজিটাল ফুয়েল ইনডিকেটর রয়েছে। এর সামনের দিকটা অনেকটা হিরো সিবিজেড এবং হিরো এক্সট্রিম এর মতই এবং বডিটার সাথেও উপরের দুটি বাইকের মিল রয়েছে। বাইকটির সিট চালক সহ ২ জন বসার জন্য একদম উপযুক্ত। সামনের হেডলাইটটা হিরোর অন্যান্য বাইকের তুলনায় একটু স্টাইলিশ মনে হয়েছে। বসার সিটটা বেশ আরামদায়ক।

SpeedometerAnalogue
TachometerNo
Tachometer Type--
Shift LightNo
Electric StartYes
TripmeterNo
No Of Tripmeters--
Tripmeter Type--
Low Fuel IndicatorYes
Low Oil IndicatorNo
Low Battery IndicatorNo

 

Fuel GaugeYes
Digital Fuel GaugeNo
Pillion SeatYes
Pillion FootrestYes
Pillion BackrestNo
Pillion GrabrailYes
Stand AlarmNo
Stepped SeatNo
Antilock Braking SystemNo
KillswitchNo
ClockNo

 

ইন্জিন :

এই বাইকটির রয়েছে একটি ১৪৯ সিসির এয়ার কুলড ইন্জিন যেটি 13 bhp @ 8000 rpm শক্তি ও 13 Nm @ 5000 rpm টর্ক উৎপনন্ন করতে পারে। ফলে দেখা যাচ্ছে বাইকটির শক্তি বাংলাদেশের বেশীরভাগ ১৫০ বাইকের মতই প্রায় সেম।  এতে রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ারবক্স। ইন্জিনটি বেশ ভাল এবং ১০০ বা তার উপরে স্পীড তুললেও কোন ভাইব্রেট হয় না। বেশ স্মুথলি চলে। এটি ৬০ কিমি স্পীড তুলতে পারে ৬ সেকেন্ডের ও কম সময়ে। ইন্জিনের বোর ও স্টোক হল ৫৭ যেটা বেশ ভাল। বাইকটিতে এডভান্সড মাইকেক্রোপ্রসেসর ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে।

Engine
Displacement (cc)149
Cylinders1
Max Power13 bhp @ 8000 rpm
Maximum Torque13 Nm @ 5000 rpm
Bore (mm)57
Stroke (mm)57
Valves Per Cylinder2
Fuel Delivery SystemCarburetor
Fuel TypePetrol
IgnitionAdvanced Microprocessor Ignition System
Spark Plugs (Per Cylinder)1
Cooling SystemAir Cooled
Transmission
Gearbox TypeManual
No Of Gears5
Transmission TypeChain Drive
ClutchMultiplate Wet

 

চাকা ও ব্রেকিং :

হিরো আর্কাইভার এ রয়েছে  সামনের চাকাতে ডিক্স ব্রেক ও পেছনের চাকাতে ড্রাম ব্রেক। সামনের ডিস্কের সাইজ ১৩০ মিমি ও পেছনের ড্রামের সাইজ ও ১৩০ মি.মি। বোঝাই যাচ্ছে যে সামনের ডিস্ক ব্রেকটা অন্যান্য ১৫০ বাইকের তুলনায় বেশ ছোট। তারপরও ওজন একটু বেমী হবার কারণে ও অন্যান্য ফিচারের কারণে বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম বেশ ভালই।। এর চাকার সাইজ ১৮ ইন্চি। বাইকটির ফ্রন্টে 2.75 x 18 – 4 PR / 42 P সাইজের ও পেছনের চাকায় 3.00 x 18 – 6 P / 52 PR টায়ার লাগানো রয়েছে। কিন্তু বাইকটির কোন টায়ারই টিউবলেস নয় যেটা একটা হতাশার বিষয়। চাকাগুলো এ্যলয়। এর পেছনের চাকাটি বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রেসিং বা ড্রিফটিং এর জন্য যথেষ্ঠ উপযুক্ত।

Braking
Brake TypeDisc
Front DiscYes
Front Disc/Drum Size (mm)130
Rear DiscNo
Rear Disc/Drum Size (mm)130
Calliper Type--
Wheels & Tyres
Wheel Size (inches)18
Front Tyre2.75 x 18 – 4 PR / 42 P
Rear Tyre3.00 x 18 – 6 P / 52 PR
Tubeless TyresNo
Radial Tyres--
Alloy WheelsYes

 

ডাইমেনশন ওয়েট ও ইলেকট্রনিক্স :

বাইকটির মোট ওজন ১৩৮ কেজি, ওভারঅল লেন্থ ২০৪০ মিমি, হাইট ১১২০ মিমি। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ মি.মি। হুইলবেস ১২৯০ মি.মি। বাইকটিতে ট্যাবুলার ডায়মন্ড টাইপের চ্যাসিস রয়েছে। সামনের সাসপেনশন হল টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক এবজরবার এবং পেছনের সাসপেনশন আয়তার সুইংআর্ম। বাইকটি রাইড করে বেশ মজা পাওয়া যাবে এটা এর সাসপেনশন সিস্টেম দেখেই বোঝা যায়।

 

এই বাইকটিতে ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারী ইনটিগ্রেট করা রয়েছে। এর হেডলাইট এ ৩৫ ওয়াটের  হ্যালোজেন লাইট দেওয়া আছে। পেছনের টেইল লাইটে ৪.১ ওয়াট এর একটি এলইডি লাইট রয়েছে। সবমিলিয়ে বাইকটির লাইটিরং বা ইলেকট্রনিক্স কে আমরা বেশ এগিয়ে রাখতে পারি।

 

Dimensions & Weight
Kerb Weight (Kg)138
Overall Length (mm)2040
Overall Width (mm)760
Overall Height (mm)1120
Wheelbase (mm)1290
Ground Clearance (mm)160
Seat Height (mm)--
Chassis & Suspension
Chassis TypeTubular, Diamond type
Front SuspensionTelescopic hydraulic shock absorbers
Rear SuspensionRectangular swing arm with adjustable hydraulic sh

 

জ্বালানী ও ইলেকট্রিক্যালস :

এই বাইকটিতে ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারী ইনটিগ্রেট করা রয়েছে। এর হেডলাইট এ ৩৫ ওয়াটের  হ্যালোজেন লাইট দেওয়া আছে।এটা মাল্টি রিফ্লেক্টর টাইপের। বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কে ১২ লিটার জ্বালানী ধরে এবং এটি ৫৮ কি.মি মাইলেজ দিয়ে থাকে। ১৫০ বাইক হিসেবে এটাকে মাইলেজের দিক থেকেই সবথেকে এগিয়ে রাখা যায়। এটার রিজার্ভ ট্যাঙ্কে ২.৩ লিটার জ্বালানী ধরে। পেছনের টেইল লাইটে ৪.১ ওয়াট এর একটি এলইডি লাইট রয়েছে। সবমিলিয়ে বাইকটির লাইটিরং বা ইলেকট্রনিক্স কে আমরা বেশ এগিয়ে রাখতে পারি।

Electricals
Electric System--
Battery12V-2.5 Ah (Kick) / 7 Ah (Self)
Headlight TypeMulti-Reflector Type
Headlight Bulb Type12V-35W / 35W- Halogen Bulb
Brake/Tail Light12V- 5W / 21W
Turn Signal--
Pass LightYes

 

Fuel Efficiency & Range
Fuel Tank Capacity (Litres)12
Reserve Fuel Capacity (Litres)2.3
FuelEfficiency Overall (Kmpl)58
Fuel Efficiency Range (Km)696

পারফরমেন্স :

বাইকটি ৬.২৫ সেকেন্ডে ৬০ কি.মি/ঘন্টা স্পীড তুলতে পারে এবং এটার টপ স্পীড হল ১১১ কি.মি/ঘন্টা।এটার বেশ মিডল ক্লাস পারফরমেন্সের একটা বাইক। কারণ হিরোর আরেকটা ১৫০ বাইক হাঙ্ক বা সিবিজেড থেকে এটা পারফরমেন্সের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

Performance
0 to 60 kmph (Seconds)6.25
0 to 80 kmph (Seconds)--
0 to 40 m (Seconds)--
Top Speed (Kmph)111
60 to 0 Kmph (Seconds, metres)--
80 to 0 kmph (Seconds, metres)--

 

সব মিলিয়ে বলা চলে বাইকটি সাধারণ রাইডারদের ইউজের জন্য একটা পারফেক্ট বাইক। কিন্তু যারা অনেক হাই পারফরমেন্স আশা করেন তাদের জন্য এই বাইকটি নয়।

বাইকটি সম্পর্কে লেটেস্ট আপডেট পেতে ও আরও বিস্তারিত জানকে ভিজিট করুন  : Bikebd.com

 

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Achiever shouldn’t spell as ‘ আর্কাইভার ‘ . And the image you used is of ‘ Suzuki gs150r ‘ . As a fan and reader of your articles , it hurts .

    @M D Hussain: সংশোধিত হয়েছে । দ্রুত লেখার কারণে ভুল হয়ে যায় মাঝে মধ্যে । ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

দাদা মটর সাইলের নিয়ে আপনার প্রতিটি টিউন দেখেছি। কিন্তু আপনি মনে হয় টিউন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। চলেন বান্ধরবন নীলগিরি ঘুরে আসি। মনটা ফ্রেশে হবে তার পরে আবার কাজে নেমে পরব। জায়গাটা অনেক সুন্দর আমি অলরেডি জায়গাটার প্রেমে পরেগেছি ।

বিঃ দ্রঃ আপনি আমার অনেক প্রিয় ব্যক্তি তাই সাথে নেওয়ার ইচ্ছা আছে যদি যান।