বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-৫৮] :: ওয়াল্টন ফিউশন ১২৫NX

বাংলাদেশের বাইক এর ৪৭ পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের আজকের রিভিউটি হবে ওয়াল্টন এর একটি নতুন বাইক ওয়াল্টন ফিউশন ১২৫NX। এটা ১২৫ বাইকের মধ্যে বেশ ভাল একটা বাইক। যদিও এটা অন্যান্য ১২৫ বাইকের সাথে অর্থাৎ ইন্ডিয়ান বা জাপানী বাইকের সাথে প্রতিযোগিতায় খুব একটা ভাল পারফরমেন্স দেবে না, তবে দাম সহ বিভিন্ন বিষয় নজরে আনলে বাইকটি বেশ ভাল একটা বাইক হিসেবেই পরিচিতি পাবে। বাইকটি বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নতুন এবং ফিউশন সিরিজের নতুন একটা সংযোজন।বাইকটি বাংলাদেশের মার্কেটে এসেছে খুবই সম্প্রতি এবং এটার বিভিন্ন ফিচারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্টন থেকে। ফিউশন EX থেকে অনেক বেশী ফিচার ও ইন্জিন পাওয়ার যোগ করা হয়েছে বাইকটিতে। যদিও লুকিংটা তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি।

তো চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওয়াল্টন ফিউশন ১২৫NX এর কনফিগারেশন।

 

 টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন :

 
Bike NameWalton Fusion 125NX
BrandWalton
Bike CategoryStandard
Engine
TypeAir-Cooled, 4-Stroke, SOHC
Displacement (cc)123
Max Power9 Kw @ 8000 rpm
Max Torque9.5 N-m @6500 rpm
Max Speed (KM/H)100
Fuel Consumption (KM/L)55
Bore x Stroke54 x 54
Compression Ratio10 : 1
CoolingAir Cooled
Starting MethodElectric & kick Start
Ignition TypeCDI
Gears5 Speed Constant Mesh (1 Down & 2,3,4,5 Up)
ClutchWet, Multiple Disk
Body
Dimension (LxWxH)2050 x 910 x 1290
Wheel Base (mm)1280
Ground Clearance (mm)160
Kerb Weight (KG)122
Suspension FrontTelescopic
Suspension RearSwing arm
Brake FrontDIsc
Brake RearDrum
Wheel FrontAlloy
Wheel RearAlloy
Tyre Front2.75-17
Tyre Rear3.00-17
Electrical
Battery12v
Head LampYes
Tail LampYes
Trun LampYes
Extra Features
Others Approved Mileage 55+ kmpl*.
Fuel Efficient Vertical SOHC Engine with balanced shaft.
Electric & Kick starting system.
Ergonomic designed soft and comfortable seat.
Strong & Stylish alloy wheel with front hydraulic Disc brake.
Attractive graphics with available color.
Full function digital meter with clear day & night time visibility.
High intensity Halogen head lamp with Hawk Eye parking light.
Five step adjustable Gas reserved rear shock absorber.
Price/Availability
PriceTk. 105000.00

 

ওভারভিউ বডি  :

বাইকটি মূলত খুব বেশী স্টাইলিশ নয়, আবার কমও নয়। সামনের হেডলাইটটি ফিউশনের আগের হেডলাইটের বৈশিষ্ঠই ধারণ করেছে কিন্তু এটা আরও একটু মোড করা হয়েছে। এর বর্তমান হেডলাইটটি একটু ছোটখাট এবং আরও একধাপ বেশী স্টাইলিশ। এর রয়েছে ১ টি ডিজিটাল স্পীডোমিটার ও ফুয়েল ইন্ডিকেটর। বাইকটির ড্যাসবোর্ডটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং নাইট ও ডে টাইম এ দেখার জন্য খুব ভালভাবে তৈরী করা। সামনের দিকের শেপটা বেশ গোলগাল হলেও এর পুরো বডিটা সামনের সাথে মানানসই। বডিটা বেশ বড় এবং ৩ জন খুবই সহজে বসা যায়। বাইকটির পেছনের সিসটের অংশটা এর আগের ভার্সন থেকে অনেক মডিফাই ও স্টাইলিশ করা হয়েছে। বাইকটিতে রয়েছে এরগোনোমিক ডিচাইন ও বেশ আরামদায়ক একটা বসার সিট। বাইকটি বর্তমানে বিভিন্ন ডিজাইনে ও বিভিন্ন কালারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

ইন্জিন :

বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক ইন্জিন ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট ভার্টিকেল SOHC ইন্জিন।।এর ইন্জিনের ডিসপ্লেসমেন্ট হল ১২৩ সিসি। এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে।এই ইন্জিনটি ইউরো ৩ স্টান্ডার্ড এর এবং ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি টেকনোলজি সমৃদ্ধ।   এই ইন্জিনটিতে 9 Kw @ 8000 rpm শক্তি রয়েছে এবং বাইকটির টর্ক হল 9.5 N-m @6500 rpm যেটা ১২৫ বাইকের ক্ষেত্রে বেশ ভালই বলা যায়।। এটার ইলেকট্রিক ও কিক উভয় ধরণের স্টার্ট মেথড রয়েছে।। এর ইন্জিনের রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ার বক্স। এর ইগনিশন সিস্টেম হল CDI। বাইকটির বোর ও স্টোক হল ৫৪। বাইকটিতে রয়েছে হাইয়ার কম্প্রেশন রেশিও। এটার কম্প্রেশন রেশিও ১০:১।

 

চাকা ব্রেকিং ডাইমেনশন :

ফিউশন বাইকটির চাকা অন্যান্য প্রায় সব ১২৫ সিসি বাইকের মতই। ফলে এটা আপনাকে ড্রাইভিং এর সময় অনেক মজা দেয়। এর চাকাটি টিউবলেস। এর সামনের ও পেছনের টায়ার এর সাইজ হল  2.75-17 ও 3-17.00। বাইকটির সামনের চাকাতে ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে এবং পেছনের চাকাতে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। বাইকটির ডাইমেনশন হল 2050 x 910 x 1290। ফিউশন বাইকটির হুইলবেস ১২৮০ মি.মি যেটা বেশ ভালই। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ মি.মি এবং ওজন ১২২ কেজি। ওজন একটু বেশী হবার কারণে বেশী স্পীডে ভাইব্রেশনের সমস্যাটা এই বাইকে নেই। বাইকটির সামনে সাসপেনশন টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের সাসপেনশন সিস্টেম হল সুইংআর্ম। বাইকটিতে এ্যলয় হুইলেরর সাথ সামনের চাকাতে ডিস্ক ও পেছনের চাকাতে ড্রাম ব্রেক যুক্ত রয়েছে। সামনের টায়ারের সাইজ 2.75-17 এবং পেছনের টায়ারের সাইজ 3.00-17। এটার অ্যালয় হুইলগুলো বেশ স্টাইলিশ ও স্ট্রং এবং সামনের চকার হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেকের সাথে বাইকটি বেশ ভালই লুক নিয়েছে।

 

অন্যান্য ফিচার :

বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার চলে থাকে। এটার টপ স্পীড হল ১০০ । এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৭ সেকেন্ড। বাইকটিতে কিক ই ইলেকট্রিকের পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোল স্টার্ট এরও ব্যাবস্থা আছে। এছাড়া এই বাইকটিতে ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে, এন্টি থেপট লক ও মোবাইল ফোন ইনডিকেটরও রয়েছে। বাইকটিতে একটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে। বাইকটির সর্বমোট ওজন ১২২ কেজি।বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কে জ্বালানী ধরে ১৫ লিটার। বাইকটিতে একটা হাই ইনটেনসিটি হ্যালোজেন বাল্ব রয়েছে যেটার সাথে Hawk Eye parking light প্রযুক্তি যুক্ত।

 

সবকিছুর সাপেক্ষে এবং আমাদের বাংলাদেশের তৈরী বাইক হিসেবে বাইকটি বেশ ভালই বলা যায়। যদিও যখন সার্বিকভাবে সব পারফরমেন্সের কথা আসে তখন এটা অন্যান্য বাইকের তুলনায় একটু পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু, এক্ষেত্রে আমাদের বাইকের দামের কথাটাও মনে রাখতে হবে। এত কম দামে ১২৫ বাইক অন্য কোন ব্রান্ডের পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। তাই, দেশের মিডলক্লাস মানুষের শখ পূরণের জন্য বাইকটি একটি পারফেক্ট বাইক।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : বাইকটি যেহেতু বাজারে একদমই নতুন তাই বাইকটির বিভিন্ন পার্টসের পিকচারগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

বাইকটি সম্পর্কে লেটেস্ট আপডেট পেতে ও আরও বিস্তারিত জানকে ভিজিট করুন  : Bikebd.com

 

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস