
বাংলাদেশের বাইক এর সপ্তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । আজ লিখব আমাদের বাংলাদেশের তৈরী বাইক নিয়ে । আজ আমরা ওয়াল্টন কোম্পানীর একটা বাইক নিয়ে অঅলোচনা করব । । । আমাদের আজকের রিভিউটি হবে ওয়াল্টন প্লাজার ১৪০ নিয়ে । এটা বাংলাদেশে তৈরী ওয়াল্টন কোম্পানীর বেশ শক্তিশালী ইন্জিনের বাইক । অনেকে এটাকে অন্যান্য ১৫০ সিসি বাইকের সাথেও তুলনা করে থাকেন ।

তো চলুন , এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওয়াল্টন প্লাজার ১৪০ এর কনফিগারেশন ।
| Technical Specification | |
| Bike Name | Walton Plazar 140 |
| Brand | Walton |
| Bike Category | Standard |
| Engine | |
| Type | Single Cylinder, 4-Stroke, Air-Cooling |
| Displacement (cc) | 138cc |
| Rated Power | 10.3/9046 |
| Starting Method | Electric & Kick |
| Ignition Type | CDI |
| Gears | 5 Gears |
| Clutch | Wet-type, Rear clutch plate system |
| Body | |
| Dimension (LxWxH) | 1990 X 810 X 1200 |
| Wheel Base (mm) | 1285mm |
| Fuel Tank Capacity (L) | 16L |
| Kerb Weight (KG) | 129Kg |
| Brake Front | Disc |
| Wheel Front | 3.00-18/110/80-17 |
| Electrical | |
| Battery | 12V |
| Extra Features | |
| Others | Mobile Phone Indicator Digital Gear Display Fuel Location Meter Anti Theft Lock Hydraulic Brake Alloy Rim |
| Price/Availability | |
| Price | Tk. 134000.00 |
বাইকটি মূলত খুব বেশী স্টাইলিশ নয় , আবার কমও নয় ।এটা সামনের হেডলাইটটি একটা ইউনিক স্টাইলের । তবে বডির তুলনায় হেডলাইটটি একটু ছোটই মনে হবে । এর রয়েছে ১ টি এনালগ স্পীডোমিটার ও ফুয়েল ইন্ডিকেটর ।এটার একটা ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে মিটার রয়েছে । এছাড়া রয়েছে এন্টি থেফট লক , রিমোট স্টার্ট প্রভৃতি বেশ মজাদার ফিচার । সামনের দিকের শেপটা বেশ গোলগাল হলেও এর পুরো বডিটা অনেক লম্বা । বাংলাদেশের প্রচলিত বাইকগুলোর ভেতর এমন লং সিটওয়ালা বাইক খুবই কম দেখা যায় । বাইকটিতে মোবাইল ফোন ইনডিকেটর ফিচারটিও এড করা রয়েছে ।
বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক ইন্জিন । এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে ।এই ইন্জিনটি ইউরো ৩ স্টান্ডার্ড এর এবং ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি টেকনোলজি সমৃদ্ধ । এই ইন্জিনটিতে 10.3/9046 কিলোওয়াট শক্তি রয়েছে যেটা ১২ N/M টর্ক উৎপন্ন করে । এইক্ষেত্রে বাইকটি অন্যান্য ১৫০ এর তুলনায় একটু পিছিয়ে রয়েছে । এর ইন্জিনের রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ার বক্স । এর ইগনিশন সিস্টেম হল CDI ।
প্লাজার বাইকটির চাকা আসলে বাংলাদেশের পাওয়া অন্যান্য প্রায় সব ১৫০ সিসি বাইকের থেকে মোটা । ফলে এটা আপনাকে ড্রাইভিং এর সময় অনেক মজা দেয় । এর চাকাটি টিউবলেস । এর টায়ার এর সাইজ হল 3.00-18/110/80-17 । বাইকটির সামনের ও পেছনের দুই চাকাতেই ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে যেটা বাংলাদেশের অধিকাংশ ১৫০ সিসির বাইকে পাওয়া যায় না । ফলে বাইকটির কন্ট্রোল ও দারুন ।
বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার চলে থাকে । এটার টপ স্পীড হল ১১৫ । এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৫.২সেকেন্ড । বাইকটিতে কিক ই ইলেকট্রিকের পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোল স্টার্ট এরও ব্যাবস্থা আছে । এছাড়া এই বাইকটিতে ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে , এন্টি থেপট লক ও মোবাইল ফোন ইনডিকেটরও রয়েছে । বাইকটিতে একটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে । বাইকটির সর্বমোট ওজন ১২৯ কেজি । প্লাজার বাইকটিতে ১২ ভোল্টের একটা শক্তিশালি ব্যাটারী রয়েছে এবং সিগন্যাল লাইট , পাসিং লাইট , টার্নিং লাইট রয়েছে । সবমিলিয়ে বাইকটির লুকিং বেশ ভালই ।
সব মিলিয়ে আমরা দেখতে পাই যে ওয়াল্টন প্লাজার কে অন্যান্য বিদেশী ১৫০ সিসি বাইকের সাথে সরাসরি তুলনা না করা গেলেও এটা অনেক ফিচার এর দিক থেকে অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে আছে । অবশ্য ওয়াল্ট্ন প্লাজার এর কনফিগারেশনের সাথে আমরা এক্সপ্লোরার এর ও অনেক মিল খুজে পাই । দুটি বাইকের কনফিগারেশন প্রায় একই রকম ও ফিচারগুলোও মিলে গেছে । তবে , এটা কোন মাথাব্যাথার বিষয় না । বাইকটির পারফরমেন্সই হল আসল ।
তাছাড়া বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বাইকটি অনেক উপযুক্ত । আর এই বাইকটির ইমেজ বেশী না থাকার কারণে আপলোড করা সম্ভব হল না ।
এই বাইকটি সম্পর্কে সোর্স ও সৌজন্যে : bikebd.com ।
আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Bajaj Discover 125 st কি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে..? পাওয়া গেলে বর্তমান প্রাইস টা জানালে উপকৃত হতাম..।