বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-৫৫] :: Walton Plazar 140

বাংলাদেশের বাইক এর সপ্তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । আজ লিখব আমাদের বাংলাদেশের তৈরী বাইক নিয়ে । আজ আমরা ওয়াল্টন কোম্পানীর একটা বাইক নিয়ে অঅলোচনা করব । । । আমাদের আজকের রিভিউটি হবে ওয়াল্টন প্লাজার ১৪০ নিয়ে । এটা বাংলাদেশে তৈরী ওয়াল্টন কোম্পানীর বেশ শক্তিশালী ইন্জিনের বাইক । অনেকে এটাকে অন্যান্য ১৫০ সিসি বাইকের সাথেও তুলনা করে থাকেন ।

তো চলুন , এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওয়াল্টন প্লাজার ১৪০ এর কনফিগারেশন ।

 

Technical Specification
Bike NameWalton Plazar 140
BrandWalton
Bike CategoryStandard
Engine
TypeSingle Cylinder, 4-Stroke, Air-Cooling
Displacement (cc)138cc
Rated Power10.3/9046
Starting MethodElectric & Kick
Ignition TypeCDI
Gears5 Gears
ClutchWet-type, Rear clutch plate system
Body
Dimension (LxWxH)1990 X 810 X 1200
Wheel Base (mm)1285mm
Fuel Tank Capacity (L)16L
Kerb Weight (KG)129Kg
Brake FrontDisc
Wheel Front3.00-18/110/80-17
Electrical
Battery12V
Extra Features
OthersMobile Phone Indicator
Digital Gear Display
Fuel Location Meter
Anti Theft Lock
Hydraulic Brake
Alloy Rim
Price/Availability
PriceTk. 134000.00

 

 

ওভারভিউ বডি  :

বাইকটি মূলত খুব বেশী স্টাইলিশ নয় , আবার কমও নয় ।এটা সামনের হেডলাইটটি একটা ইউনিক স্টাইলের । তবে বডির তুলনায় হেডলাইটটি একটু ছোটই মনে হবে । এর রয়েছে ১ টি এনালগ স্পীডোমিটার ও ফুয়েল ইন্ডিকেটর ।এটার একটা ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে মিটার রয়েছে । এছাড়া রয়েছে এন্টি থেফট লক , রিমোট স্টার্ট প্রভৃতি বেশ মজাদার ফিচার । সামনের দিকের শেপটা বেশ গোলগাল হলেও এর পুরো বডিটা অনেক লম্বা । বাংলাদেশের প্রচলিত বাইকগুলোর ভেতর এমন লং সিটওয়ালা বাইক খুবই কম দেখা যায় । বাইকটিতে মোবাইল ফোন ইনডিকেটর ফিচারটিও এড করা রয়েছে ।

 

ইন্জিন :

বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ একটি ৪ স্ট্রোক ইন্জিন । এর সাথে এয়ারকুল প্রযুক্তি ইনটিগ্রেট করা রয়েছে ।এই ইন্জিনটি ইউরো ৩ স্টান্ডার্ড এর এবং ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি টেকনোলজি সমৃদ্ধ ।   এই ইন্জিনটিতে 10.3/9046 কিলোওয়াট শক্তি রয়েছে যেটা ১২ N/M টর্ক উৎপন্ন করে । এইক্ষেত্রে বাইকটি অন্যান্য ১৫০ এর তুলনায় একটু পিছিয়ে রয়েছে । এর ইন্জিনের রয়েছে একটি ৫ স্পীড গিয়ার বক্স । এর ইগনিশন সিস্টেম হল CDI ।

চাকা ব্রেকিং :

প্লাজার বাইকটির চাকা আসলে বাংলাদেশের পাওয়া অন্যান্য প্রায় সব ১৫০ সিসি বাইকের থেকে মোটা । ফলে এটা আপনাকে ড্রাইভিং এর সময় অনেক মজা দেয় । এর চাকাটি টিউবলেস । এর টায়ার এর সাইজ হল  3.00-18/110/80-17 । বাইকটির সামনের ও পেছনের দুই চাকাতেই ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে যেটা বাংলাদেশের অধিকাংশ ১৫০ সিসির বাইকে পাওয়া যায় না । ফলে বাইকটির কন্ট্রোল ও দারুন ।

 

অন্যান্য ফিচার :

বাইকটি এক লিটার জ্বালানীতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার চলে থাকে । এটার টপ স্পীড হল ১১৫  । এই বাইকটি ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে টাইম নেয় মাত্র ৫.২সেকেন্ড । বাইকটিতে কিক ই ইলেকট্রিকের পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোল স্টার্ট এরও ব্যাবস্থা আছে । এছাড়া এই বাইকটিতে ডিজিটাল গিয়ার ডিসপ্লে , এন্টি থেপট লক ও মোবাইল ফোন ইনডিকেটরও রয়েছে । বাইকটিতে একটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী সংযুক্ত করা রয়েছে । বাইকটির সর্বমোট ওজন ১২৯ কেজি । প্লাজার বাইকটিতে ১২ ভোল্টের একটা শক্তিশালি ব্যাটারী রয়েছে এবং সিগন্যাল লাইট , পাসিং লাইট , টার্নিং লাইট রয়েছে । সবমিলিয়ে বাইকটির লুকিং বেশ ভালই ।

 

সব মিলিয়ে আমরা দেখতে পাই যে ওয়াল্টন প্লাজার কে অন্যান্য বিদেশী ১৫০ সিসি বাইকের সাথে সরাসরি তুলনা না করা গেলেও এটা অনেক ফিচার এর দিক থেকে অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে আছে । অবশ্য ওয়াল্ট্ন প্লাজার এর কনফিগারেশনের সাথে আমরা এক্সপ্লোরার এর ও অনেক মিল খুজে পাই । দুটি বাইকের কনফিগারেশন প্রায় একই রকম ও ফিচারগুলোও মিলে গেছে । তবে , এটা কোন মাথাব্যাথার বিষয় না । বাইকটির পারফরমেন্সই হল আসল ।

তাছাড়া বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বাইকটি অনেক উপযুক্ত  । আর এই বাইকটির ইমেজ বেশী না থাকার কারণে আপলোড করা সম্ভব হল না ।

এই বাইকটি সম্পর্কে সোর্স ও সৌজন্যে :  bikebd.com 

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Bajaj Discover 125 st কি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে..? পাওয়া গেলে বর্তমান প্রাইস টা জানালে উপকৃত হতাম..।