
বাংলাদেশের বাইক এর ২৬ তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । আশা করি সবাই ভাল আছেন । আজ আমরা বাংলাদেশের মোস্ট ইউজড দুটি বাইকের মধ্যে কমপেয়ার করে একটা রিভিউ দেখব । বাইক দুটি হল ইয়ামাহা এফজেড এবং বাজাজ পালসার ১৫০ । বাইকদুটি হল বাংলাদেশের মনে হয় সবথেকে বেশী বিক্রিত ১৫০ সিসির বাইক এবং এই দুটি বাইকের পারফরমেন্সও চরম । আর বাংলাদেশের যেকোন পাবলিক কোন ১৫০ সিসির বাইক নিতে গেলে মনে হয় সবার আগেই এই দুটি বাইকের কথা চিন্তা করে । লুকিং , কন্ট্রোলিং , পারফরমেন্স সবদিক থেকে বাইকদুটি অন্যান্য সব বাইককে অনেকটা অতিক্রম করেছে । তো , চলুন , আজ দেখে নিই এই দুটি বাইকের মধ্যে আসলে পার্থক্য কোথায় বা কোন দিক থেকে কোন বাইকটি পারফেক্ট । প্রথমেই বাইক দুটির একটা পিক এবং ফুল স্পেসিফিকেশন দেখে নিই ।

| Bajaj Pulsar 150 DTS-i | Yamaha FZS |
Dimensions | ||
| Full Length(mm): | 2055 mm | 1973 mm |
| Full Width(mm): | 755 mm | 770 mm |
| Full Height(mm): | 1170 mm | 1090 mm |
| Wheelbase(mm): | 1320 mm | 1334 mm |
| Ground Clearance(mm): | 165 mm | 160 mm |
| Fuel Tank Capacity(litre): | 15 litre | 12 litre |
Engine | ||
| Kerb Weight(Kg): | 143 Kg | 135 Kg |
| Engine Type: | 4-stroke, DTS-i, air cooled, single cylinder | Air-cooled, 4-stroke, SOHC |
| Displacement CC: | 149.01 CC | 153 CC |
| Max Power: | 15.06 @ 9000 (Ps @ RPM) | 14PS @ 7500 rpm |
| Max Torque: | 12.5 @ 6500 (Nm @ RPM) | 13.6 N.m @ 6000 rpm |
| Bore x Stroke: | 57 X 56.4 | 58.0 × 57.9 |
| Compression Ratio: | 9.5:1 | 9.5:1 |
| Starting: | Electric & Kick | Electric & Kick |
| Clutch: | Wet, multi-plate | Wet, multiple-disc |
| Gear Box: | 5 Speed constant mesh | 5 Speed constant mesh |
| Chassis Type: | Double Cradle | Diamond |
| Front Suspension: | Telescopic, with anti-friction bush | Telescopic |
| Rear Suspension: | 5 way adjustable, Nitrox shock absorber | Swingarm |
Brakes | ||
| Front Brakes: | 240 mm Disc | Disc brake |
| Rear Brakes: | 130 mm Drum | Drum brake |
Wheels & Tyres | ||
| Tyre Size Front: | Tube-type - 2.75 x 17 | 100/80-17 |
| Tyre Size Rear: | Tube-type - 100 / 90 x 17 | 140/60-R17 |
Electricals | ||
| Battery: | 12 V Full DC | 12 V, 5 AH (10 AH) |
| Head Light: | 35/35 W with 2 pilot lamps | Halogen bulb 12V,35W/35W X1 |
Other Features | ||
| Features: | Ultra-stylish LED tail lampSporty split seats and split rear grab railsAll Black Engine. Aerodynamic tank flapsUniform illumination at variable speed even at stand still Top Speed 115 km/h | Powerful Engine of 153 cc, Monocross Suspension provides 120 mm of wheel travel,Midship Muffler,Widest Radial Tyre, More Seat Space |
| Colors: | Plasma Blue, Cocktail Wine Red, Midnight Black | Fearless Black, Glory Gold, Raging Red, Tempest Blue |
Overall | ||
|
|
|
বাজাজ পালসারের থেকে উচ্চতা বা লেন্থের দিক থেকে এফজেড একটু ছোট একটা বাইক কিন্তু এটার লুকিং টা চরম । পালসারের একটা চরম ক্লাসিক লুক রয়েছে যেটা যেকোন রুচিশীল মানুষকে আকৃষ্ট করবে । কিন্তু , এক্ষেত্রে এফজেড এর লুকটা অনেকটা রাফ এন্ড টাফ ।সামনের হেডলাইট এর স্টাইলটা চরম এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বা চাইনিজ অনেক বাইক এর হেডলাইট এর স্টাইল নকল ও করতে শুরু করেছে । এর বেশ মাসকিউলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক , ডিজেটাল স্পীডোমিটার , বসার সিট , পেছনের দিকে কিছুটা উচু সিট , সব মিলিয়ে বাইকটিকে চরম লুক দিয়েছে । এক্ষেত্রে পালসার এর স্টাইলটা একটা ইউনিক স্টাইল । এটা বেশ নম্র ভদ্রই বলা যায় । ফুয়েল ট্যাঙ্ক বেশ বড় , কিন্তু বোঝা যায় না ম বসার সিটটাও বেশ আরামদায়ক এবং সামনের হেডলাইটের স্টাইলটা ইউনিক । ডিজিটাল স্পীডোমিটার ও মেটালিক হ্যান্ডেল এটাকে একটা বেশ শক্তিশালী বাইকের লুক দিয়েছে ।
এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে যেই রকম স্টাইল পছন্দ করে , সে সেইটা চয়েজ করতে পারে । কাউকেই কম বা বেশী বলা যাবে না ।
ইন্জিনের দিক থেকে যদি আমরা দিখি তাহলে দেখা যাবে ইয়ামাহা এফজেড অনেকটা এগিয়ে আছে সবদিক থেকেই । কারণ , এটাতে রয়েছে ১৫৩ সিসির এয়ার কুলড ইন্জিন যেটা 14 bhp @ 7500 rpm শক্তি উৎপন্ন করতে পারে এবং 13.6 Nm @ 6000 rpm টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । বাইকটির টপ স্পীড ১৩০ কি.মি/ঘন্টা । ইন্জিন হিসেবে এফজেড এর ইন্জিনটা খুবই পাওয়ারফুল এবং এটা মাত্র ৫ সেকেন্ডেই ৬০ কিলোমিটার/ঘন্টা স্পীড তুলতে পারে । বাইকটির সাউন্ড বেশ স্মুথ এবং এটা একদম টপ স্পীডে খুবই কম ভাইব্রেট করে ।

অপরদিকে দেখা যাচ্ছে পালসারের একটা ১৪৯ সিসির এয়ার কুলড ইন্জিন রয়েছে যেটা 15 bhp @ 9000 rpm উৎপন্ন করতে পারে এবং এটা 12 Nm @ 6500 rpm টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । তবে পালসারের ইন্জিন সাউন্ডটা আমার মোটেও পছন্দ হয় না , কারন এটা অনেক বেশী সাউন্ড ক্রিয়েট করে । এটার টপ স্পীড হল ১১৮ কি.মি/ঘন্টা । বাইকটির ইন্জিন টপ স্পীডের কাছাকাছি গেলে ওজন বেশী হবার কারণে খুব বেশী ভাইব্রেটিং করে না ।পালসারের ওজন এফজেডের থেকে অনেক বেশী হবার কারণে এটা খুব একটা ভাইব্রেট করে না ।
ফলে ইন্জিনের দিক থেকে আমরা এফজেড কেই এগিয়ে রাখতে পারি ।
এবার আসি অন্যান্য বিষয়ে । পালসারের সাথে এফজেডের চাকার তুলনা করলে এখানেও হেরে যাবে পালসার । কারণ , এফজেডের বিশাল সাইজের টায়ার এবং চাকা এটার রাইডিংকে অনেক কমফর্টেবল করে দেয় এবং কর্নারিং এর সময় অনেক হাই স্পীডে এটা কর্নারিং এলাও করে । ব্রেকিং এর দিক থেকেও পালসার পিছিয়ে পড়েছে কারণ যেখানে ৬০ কি.মি/ঘন্টা থেকে বাইক এফজেড ১৬ মিটারের মধ্যে থামিয়ে দেয় সেখানে পালসার ১৮ মিটারের মধ্যে বাইকটিকে থামাতে পারে ।উভয় বাইকেই সামনের চাকাতে ডিস্ক ও পেছনের চাকাতে ড্রাম বেক রয়েছে । তবে পালসারের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এফ জেডের থেকে একটু বেশী যেটা আপনাকে কমফোর্ট দেবে । তবে এফজেড এর সাসপেনশন সিস্টেম অনেক ভাল হবার কারণে আপনি বাইকটি সব ধরণের রোডে রাইপেং করেই মজা পাবেন । ইলেকট্রিক্যালের দিক থেকে ধরলে দুটি বাইকই প্রায় সেম । এদের দুটিরই ১২ ভোল্টের ব্যাটারী রয়েছে কিন্তু এফজেড এ অতিরিক্ত হিসেবে রয়েছে হ্যালোজেন বাল্ব যুক্ত হেডলাইট ।

এবার অন্যান্য দিক থেকে দেখলে আমরা দেখি যে এফ জেড একটা দিক থেকে পালসারের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে , সেটা হল মাইলেজ । যেখানে নতুন পালসারগুলো প্রায় ৫০কি.মি/লিটার মাইলেজ দেয় সেখানে এফজেডের মাইলেজ প্রায় ৩৮কি.মি/ঘন্টা । এদিক থেকে বিবেচনা করলে পালসারকে এগিয়ে রাখা যায় ।
এখন আমরা দেখি যে মাইলেজ হিসেব করলে আমরা পালসারকে এগিয়ে রাখতে পারি যেটা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটা বিশাল ফ্যাক্ট । আর যারা মূলত পারফরমেন্স ও কমফোর্ট চায় তাদের জন্য পারফেক্ট বাইক হল ইয়ামাহা এফ জেড ।
সৌজন্যে : bikebd.com
আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।