বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-২৫] :: বাংলাদেশের ৩ টি টপ ১২৫ সিসি বাইক

বাংলাদেশের বাইক এর ২৫ তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । বাংলাদেশে মূলত ব্রান্ডের ১২৫ সিসি বাইক রয়েছে বেশ কয়েকটি । আর চায়না বাইক তো অনেকই রয়েছে । এখন , অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে বাংলাদেশের টপ ১২৫ সিসি বাইক কোনগুলো ? এটা একটা বিষয় । আসলে বাইকের রেটিং করতে গেলে শুধু এক দিকে খেয়াল রাখলে হয় না , বাইকের টোটাল ওভারভিউ নিয়েই তবে বলা যায় একটা বাইক কেমন বা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেমন ।তো , লুকিং , পারফরমেন্স , কন্ট্রোলিং সবকিছূ মাথায় রেখে বাইকবিডি টিম থেকে বাংলাদেশের টপ ৩ টি বাইকের একটা রিভিউ প্রকাশ করেছে । সেটা এখন আমি আপনাদের কিছূটা সেখান থেকে বাংলায় অনুবাদ ও কিছুটা নিজের মত করে লিখে প্রকাশ করার চেষ্টা করব । বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে টপ ৩ টি১২৫ সিসি বাইক হল :

১.হিরো হোন্ডা গ্ল্যামার

২. টিভিএস ফোনিক্স

৩. বাজাজ ডিসকভার ১২৫

তো চলুন , আজ জেনে নিই কেন এই বাইক ৩ টি কে টপে রাখা হয়েছে । সেই সাথে এদের খুটিনাটিও ।

৩. বাজাজ ডিসকভার ১২৫ :

নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের একটা সেরা বাইক । এবং সেই একই সাথে বাংলাদেশে সবথেকে বেশী সেল হওয়া একটা ১২৫ সিসি বাইক । বাইকটির লুক চরম ক্লাসিক এবং কুল । বাইকটির পিকআপ আপনাকে খুবই দ্রুত স্পীড আপ করতে সহায়তা করবে । বাইকটিতে একটি ১২৫ সিসির ইন্জিন রয়েছে যেটা ১০.৮ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৮ N/M টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । ফলে বাইকটির ইন্জিন ১২৫ হিসেবে যথেষ্ঠ শক্তিশালীই বলা যায় । এটার ইন্জিন কুলিং মেথয হল এয়ার কুলিং । বাইকটি এর টপ স্পীডের কাছাকাছি না গেলে এটা খুব একটা ভাইব্রেট করে না । এটার টপ স্পীড প্রায় ১০৫ কিমি./ঘন্টা এবং এটার মাইলেজ ৫০-৫৫ কিমি/লিটার । ডিজিটাল স্পীডোমিটার , স্টাইলিশ হেডলাইট , সুন্দর বডি সবকিছু মিলিয়ে বাইকটি চরম । আপনি যখন কোন খারাপ রাস্তায় এটা রাইড করবেন , তখন রাস্তাটা আর আপনার কাছে খারাপ বলে মনে হবে না । বাইকটির ওজন ১১৮ কেজি । বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি ৮ লিটার ।

বাইকটি কেন ৩ নম্বরে এইটা নিয়েও আপনাদের অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে ।এর অনেক কারণও রয়েছে । প্রথমত , এই বাইকটির ইন্জিন সম্পর্কে ইউজার রিভিউ খুব একটা ভাল না । , দ্বিতীয়ত বাইকটি খুব বেশী কমফর্টেবল না ।তৃতীয়ত , বাইকটি ১২৫ সিসির বাইক হিসেবে খুব একটা ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট না ।

২. টিভিএস ফোনিক্স :

এটা টিভিএস এর একটা নতুন বাইক । টিভিএস এই বাইকটির অনেক সময় ও টাকা ব্যায় করেছে এর ইন্জিন ও ডিজাইনের পেছনে । এর হেডলাইটটি চরম এবং এর এলইডি পার্কিং লাইট হল এ্যাপাচি ১৫০ এর সেইম । বাইকটির একটা ডিজিটাল স্পীডোমিটার রয়েছে যেটা বেশীরভাগ ১২৫ বাইকে দেখা যায় না । বাইকটি অনেক হাই স্পীডে খুবই কম ভাইব্রেট করে । বাইকটিতে একটি ১২৫ সিসির এয়ারকুলড ইন্জিন রয়েছে যেটা ১০.৮ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৮ N/M টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । এটা বাজাজ ডিসকভার ১২৫ এর সেইম পাওয়ার । এটার টোটাল ওজন ১১৬ কেজি । কম ওয়েটের কারণে এটা নিয়ে আপনি অন্যান্য বাইকের সাথে রেসিং এর সময় আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে ।তবে এই কম ওয়েটের কারণে এটার ইন্জিন খুব বেশী স্পীডে হালকা ভাইব্রেট করে ।  এটার ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক এ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ এর টার সেইম । বাইকটির টপ স্পীড প্রায় ১০০+ কিমি./ঘন্টা এবং এটা গড়ে ৫৫কিমি./লিটার মাইলেজ দিয়ে থাকে । ফলে বাইকটি বেশ ফুয়েল ইফিসিন্টেও ।বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি ১২ লিটার ।  টিভিএস কোম্পানী এটাকে এ্যাপাচির আরটিআর ১৫০ এর ছোট ভাই বানানোর একটা চেষ্টা করেছে বলে আমার মনে হয় ।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এটা কেন ২য় পজিশনে । কারণ হল , এর দাম । এটার দাম অন্যান্য ১২৫ এর থেকে একটু বেশী । তারপরও টিভিএস খুব রিলায়েবল একটা ইন্জিন মেকার হিসেবে পরিচিত না । আর একটা যে জিনিস , যেটা এর লুকটা অনেকটা নষ্ট করেছে সেটা হল এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের উপর ১২৫ লেখা ।

১.হিরো হোন্ডা গ্ল্যামার :

বাইকটির লেটেস্ট এডিশনটার লুকিংটা চরম এবং এর হেডলাইটটা অনেকটা হাঙ্ক এর মত করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে । বাইকটির ওজন ১২৯ কেজি । এটা খুবই ভারী একটা ১২৫ সিসির বাইক । তাই আপনি যদি মনে করেন যে উপরের ২ টার সাথে এই বাইকটা নিয়ে আপনি ড্রাগ রেসিং করবেন , তাহলে আপনি নিশ্চিত হেরে যাবেন । বাইকটিতে একটি ১২৫ সিসির এয়ারকুলড ইন্জিন রয়েছে যেটা ৯ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৩ N/M টর্ক উৎপন্ন করতে পারে ।এটার ইন্জিন পাওয়ারও উপরের ২ টার থেকে কিছুটা কম । এটার টপ স্পীড ১১০ কিমি./ঘন্টা । বাইকটি আপনাকে ৫৫-৬০ কিমি./লিটার এর একটা মাইলেজ দিবে যেটা আপনার পকেটের পক্ষেও খুবই ভাল ।

কিন্তু , সবথেকে বড় কথা হল এটার ভূমির সাথে সমান্তরাল ইন্জিন যেটার একটা লো সেন্টার অব গ্রাভিটি রয়েছে সেটা আপনাকে কর্নারিং এর সময় ব্যাপক একটা সুবিধা দেবে এবং আপনি অন্যান্য বাইকের থেকে বেশী স্পীডে এবং আরামদায়কভাবে কর্ণারিং করতে পারবেন । এটার অনেক চওড়া সিট আপনাকে বসার ক্ষেত্রে সর্বাধিক সুবিধা দেবে । এর সাসপেনশন উচুনিচু রাস্তায় রাইডিং এর জন্য পারফেক্ট বাইকটির গিয়ারবক্সটাও খুবই স্মুথ এবং বাইকটি ভারী হবার কারণে  এর টপ স্পীডেও এটি কোনরকম ভাইব্রেট করে না ।

এই বাইকটিকে ১ম স্থানে রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে উপরের দুইটিকে বাদ দিয়ে ।

প্রথম কথা হল হোন্ডা ইন্জিন , আর আমরা সবাইই কমবেশী জানি হোন্ডা ইন্জিন কী জিনিস ?

তারপর বাইকটি রাফ ইউজের জন্য খুবই ভাল এবং এর সব পার্টস খুবই হার্ডি এবং সাসপেনশন সিস্টেমও উন্নত ।

বাইকটি অপর দুইটি বাইকের থেকে অনেক বেশী কমফর্টেবল ।

বাইকটি অনেক বেশী ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট ।

এছাড়াও অনেক ১২৫ সিসির বাইক বাংলাদেশে আছে যেগুলোও অনেক ভাল পারফরমেন্স দেয় । কিন্তু , দেখা গেছে সেগুলোর অনেক বাইকই এখন বাজারে সব স্থানে পাওয়া যায় না বা খুবই নতুন , এখনও ভাল কোন রিভিউ সেই সব বাইক সম্পর্কে জানা যায় নি । সেই সব বিবেচনা করেই এই আর্টিকেলটা লেখা ।

সৌজন্যে : bikebd.com

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

টিভিএস ফোনিক্স এর কথা জানি না। তবে ডিসকভার ১২৫ এরচেয়ে গ্ল্যামার চালাতে বেশী আরাম।

glamourer sound ta.khub e baje ar discover onek comfortable