
বাংলাদেশের বাইক এর ২৩ তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । আশা করি সবাই ভাল আছেন । আজ আমরা বাংলাদেশের ২টি টপ ১২৫ সিসি বাইকের কমপেরিসন রিভিউ দেখব । বাইক দুটি হল হোন্ডা সিবি সাইন এবং হিরো গ্ল্যামার । বাইক দুটি বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় দুটি বাইক এবং বাংলাদেশে এই বাইক দুটির চাহিদাও প্রচুর । যদি ও হিরো গ্ল্যামার বাংলাদেশে বহু দিন ধরে প্রচলিত এর পরিবর্তে হোন্ডা সিবি সাইন বাংলাদেশে কিছুটা নতুন । ফলে দেখা যায় , বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হিরো গ্ল্যামার এর বহু দিন ধরে একটা বিশাল মার্কেট রয়েছে কিন্তু হোন্ডা সিবি সাইন এখনও খুব বেশী জনপ্রিয়তা পায়নি । সেই সব কিছু বিবেচনা করে আমরা আজ এই দুটি বাইকের কমপেয়ার করে দেখব কোনটা কোন দিক থেকে এগিয়ে বা পিছিয়ে আছে ।
প্রথমেই এক ঝলকে বাইক দুটির ছবি ও রিভিউ দেখে নিই ।

Honda CB Shine | Hero Glamour | |
Dimensions | ||
| Full Length(mm): | 2014 mm | 2005 mm |
| Full Width(mm): | 762 mm | 735 mm |
| Full Height(mm): | 1071 mm | 1070 mm |
| Wheelbase(mm): | 1266 mm | 1265 mm |
| Ground Clearance(mm): | 157 mm | 150 mm |
| Fuel Tank Capacity(litre): | 10.5 litre | 13.6 litre |
Engine | ||
| Kerb Weight(Kg): | 120 Kg | 129 Kg |
| Engine Type: | Air Cooled, 4 Stroke, SI Engine | Air-cooled, 4-stroke single cylinder OHC |
| Displacement CC: | 124.7 CC | 124.7 CC |
| Max Power: | 7.55 KW (10.12 bhp)@ 7500 rpm | 6.72 KW (9 BHP) @ 7000 rpm |
| Max Torque: | 10.54 Nm @ 5500 rpm | 10.35 Nm @ 4000 rpm |
| Bore x Stroke: | 52.4 X 57.8 | 52.4 X 57.8 |
| Starting: | Kick & Electric Star | Self & Kick |
| Ignition: | DC - Digital CDI(Mul | Advanced micro proce |
| Clutch: | Multiplate Wet | Multi-plate wet |
| Chassis Type: | Advanced Design Diamond Frame | Tubular double cradle frame |
| Front Suspension: | Spring Loaded Hydraulic Type | Telescopic hydraulic shock absorbers |
Brakes Wheels And Tyres | ||
| Rear Suspension: | Spring Loaded Hydraulic Type | Swing arm with hydraulic shock absorber |
| Front Brakes: | Dia 240 mm Disc | 240 mm Dia, Pad – Non asbestos type |
| Rear Brakes: | 130mm Drum Brake | Internal expanding shoe type (130 mm) Liners – Non asbestos type |
| Tyre Size Front: | Tubeless Tyres 80/100-18 47P | 2.75 x 18 – 42 P / 4 PR |
Electricals | ||
| Battery: | 12 V -2.5 Ah | 12V 3Ah |
| Head Light: | 12V - 35/35W ( Halogen bulb ) , Round MF | 12V - 35/35W Multi reflector, halogen bulb - AC type |
Other Features | ||
| Features: | Superb Mileage, Tubeless Tyres, Front Disc Brake, Premium Design, 125 CC Optimax Engine, 3D Emblem,Body coloured GrabIt has handle bar weight which dampens vibrations and improves stability of the bikeViscous Air filter which requires no maintainance and replacement even after 15000 kms.It comes with ergotec design providing easy handling and superior riding comfort. | Air cooled, 4 stroke single cylinder OHCAttractive Meter ConsoleClassy Head LightDC - Digital CDI with TCIS Ignition 5 step adjustable hydraulic shock absorber |
| Colors: | Force Silver Metallic,Black,Genny Gray Metallic,Rebel Red Metallic, Monsoon Grey Metallic | Black with Frost Blue, Black with Sports Red, Candi Blazing Red, Grey Metallic, Vibrant Orange |
| Mileage Highway: | 65 km/l | 80 km/l |
| Mileage City: | 53 km/l | 62 km/l |
| Mileage Overall: | 60 km/l | 70 km/l |
Overall | ||
|
|
|
বাইক দুটির উপরের রিভিউ দেখেই বুঝতে পারছেন যে কোন বাইকই কোনটা থেকে কম যায় না । তারপরও কিছু কথা থেকে যায় । সেগুলোই আমরা এখন বিবেচনায় আনব ।
প্রথমেই আমরা দেখতে পাই যে বাইক দুটির ডাইমেনশন প্রায় একই কিন্তু সিবি সাইন বাইকটি গ্ল্যামার থেকে একটু বড় বাইক উচ্চতা এবং লেন্থের দিক থেকে যেটা অনেকেই বিবেচনাঙ আনবে না । তবে হোন্ডা সিবি সাইন গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স গ্ল্যামারের থেকে একটু বেশী যেটা আপনাকে রাইডিং এর সময় হালকা একটু হলেও আরাম প্রদান করবে । আবার আমরা দেখতে পাই যে গ্ল্যামারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি সিবি সাইনের থেকে অনেক বেশী । যেখানে সিবি সাইনে জ্বালানী ধরে ১০.৫ লিটার সেখানে গ্ল্যামারে জ্বালানী ধরে ১৩.৬ লিটার । ফলে আমরা দেখতে পাই যে গ্ল্যামারের ফুয়েল ট্যাঙ্কটা সাইনের থেকে বেশ বড় যেটা দেখলেই বোঝা যায় এবং সেই কারণে গ্ল্যামারের লুকটাও অনেক সুন্দর যেখানে সাইনের লুকটা খুবই ন্যচারাল । হিরো গ্ল্যামারের ওজন ১২৯ কেজি এবং সিবি সাইনের ওজন ১২০ কেজি যেটা মোটামুটি কাছাকাছি তারপরও বাইক কন্ট্রোলিংএ ও কোয়ালিটিতে বেশী ওজনের একটা প্রভাব আছে সেটা আমরা সবাই জানি ।

ইন্জিনের দিক থেকে বিবেচনা করলে আমরা দেখি যে দুটি বাইকেরই ডিসপ্লেসমেন্ট ১২৪.৭ সিসি । কিন্তু এক্ষেত্রে সিবি সাইনের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ৭.৫৫ কিলোওয়াট সেখানে গ্ল্যামারের হল ৬.৭২ কিলোওয়াট । আবার এদের ম্যাক্সিমাম টর্কও প্রায় সেম । সাইনের হল ১০.৫৪ N/M এবং গ্ল্যামারের ১০.৩৫ N/M । ইন্জিনের ক্ষেত্রে উভয় ইন্জিনই এয়ার কুলড এবং অন্যান্য ইন্জিন ফিচার একই । কিন্তু গ্ল্যামারের সাসপেনশন হিসেবে রয়েছে টেলিস্কোপিক ও সুইন আর্মড হাইড্রোলিক এবং সাইনের রয়েছে প্রচলিত স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক । উভয় বাইকই কিক ও ইলেকট্রিক সিস্টেমে স্টার্ট করা যায় । ফলে এদিক থেকে সিবি সাইন বা গ্ল্যামার কোনটাকেই এককভাবে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না । যদিও সিবি সাইনের ইন্জিন পাওয়ার গ্ল্যামারের থেকে একটু বেশী যেটা রাইডিং এর সময় খুব একটা অনুভব করা যায় না ।

চাকা ও ব্রেকিং এর দিক থেকে বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই এদের চাকার সাইজ একই এবং উভয় বাইকেরই সামনে ২৪০ মিমি . ডিস্ক এবং পেছনে ১৩০ মিমি ব্রেক রয়েছে । যেখানে গ্ল্যামারের পেছনের ব্রেকিং সিস্টেমটা হল ইন্টারনাল এক্সপ্যান্ডিং সু টাইপ ব্রেক । আবার এখানে টিউবলেস টায়ার নিয়ে এগিয়ে আছে সিবি সাইন যেটা পাংচার হবার সম্ভাবনা কম এবং হলেও খুব বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । ফলে এক্ষেত্রেও আমরা দেখতে পাচ্ছি দুটি বাইক সমান তালে একটার সাথে আরেকটা পাল্লা দিয়ে চলেছে ।
আমরা ইলেকট্রিক্যাল এর দিকে দেখলে পাই সিবি সাইন ও গ্ল্যামারের উভয়েরই ১২ ভোল্টের ব্যাটারী রয়েছে । কিন্তু এক্ষেত্রে গ্ল্যামারের রয়েছে মাল্টি রিফ্লেক্টর টাইপের ৩৫ ওয়াটের হ্যালোজেন লাইট যেটা গ্ল্যামারকে একটু হলেও ওগিয়ে রেখেছে ।
এবার যদি আমরা পারফরমেন্সের দিকে তাকাই তাহলে একদিক থেকে গ্ল্যামার এগিয়ে আবার আরেকদিক থেকে সাইন এগিয়ে থাকবে । সাইনের স্পীড আপ করার সময় গ্ল্যামারের থেকেকিছুটা কম । যেখানে হিরো গ্ল্যামার ৭ সেকেন্ডে ৬০ কিমি./ঘন্টা স্পীড তুলতে পারে সেখানে সাইন এই কাজটা করতে পারে ৬ সেকেন্ডে । দুটি বাইকেরই টপ স্পীড হল ১০০ কিমি./ঘন্টা । কিন্তু মাইলেজের দিকে তাকালে আমাদের হিরো গ্ল্যামারকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে । কারণ যেখানে সাইন শহরে ৫৩ কিমি ও হাইওয়েতে ৬৫ কিমি. মাইলেজ দেয় এবং গড়ে ৬০কিলোমিটার মাইলেজ দেয় , সেখানে হিরো গ্ল্যামার শহরে ৬২ কিলোমিটার , হাইওয়েতে ৮০ কিলোমিটার এবং ওভারঅল ৭০ কিলোমিটার/লিটার মাইলেজ দিয়ে থাকে যেটা আপনার পকেটকে ব্যাপক ভাবে সেভ করবে ।
এ্ই হল দুটি বাইকের ওভারঅল কমপেয়ার । এবার আপনি যেদিকগুলো বিবেচনা করবেন সেই দিকগুলো ভাল দেখে এদের যেকোন একটা বাইক বেছে নিবেন । তবে বাইকদুটির এটি ভাল ওটি খারাপ এমন বলার কোন সুযোগ নেই ।
সৌজন্যে : bikebd.com
আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ধন্যবাদ, অরিন্দম পাল ভাই। আপনার কাছ থেকে এতো দ্রুত ফিডব্যাক পাবো আশা করি নি। আশাটা যে তাড়াতাড়ি পূরণ করেছেন এজন্য ধন্যবাদ বেশি দেওয়ার নিয়ম থাকলে দিয়ে দিতাম। ভালো থাকুন।