বাংলাদেশের বাইক [পর্ব-১৯] :: বাংলাদেশের বাইকের টায়ারের সাতকাহন

বাংলাদেশের বাইক এ ১৯ তম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম  । আশা করি সবাই ভাল আছেন । আজ আমরা আলোচনা করবে বাইকের টায়ার নিয়ে । বিষয়টি আসলে অনেক ভেবে দেখার মত । সাধারণত বাংলাদেশের রাইডারা বাইক কেনার সময় টায়ার এর তেকে ইন্জিন এর দিকে বেশী নজর দেয় । হ্য া, ভঅল পারফরমেন্সের জন্য ভাল ইন্জিন অবশ্রই দরকা । কিন্তু , সেই সাতে যদি আপনার বাইকের টায়ারটা ভাল না হয় তাহলে আপনি রাইডিং করে ভাল মজা পাবেন না । টায়ার রাইডিং এর ক্ষেত্রে একটা বিরাট ভুসমকা পালন করে । এটিই আপনার বাইককে সচল রাথে ও ব্রেকিং এর সময় টায়ার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় । সো , আমরা কোভাবেই বাইকের টায়ারের বিষয়টা মাথ থকে নামাতে পারি না । বাইকের টায়ার ভাল হলে বাইকটি অনেক ভাল পরফরমেন্স দেয় । তো , চলুন , আজ জেনে নেওয়া যাক মোটরবাইকের টাযার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যা হয়তবা আপনারা আগে কখনও শোনেননি ।

 

Radial Tire vs Conventional Normal Motorcycle Tires

রেডিক্যাল টায়ার মূলত ইউজ করা হয় বাংলাদেশের ইয়ামাহা এফ জেড বা ইয়ামাহা R15  এই বাইকগুলোতে । রেডিক্যাল টায়ারের বৈশেষ্ঠ হল এর ফ্লেক্সিবল সাইডওয়ালস যেটা আপনাকে টাণিৃর্ং বা কর্ণারিং এর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দেবে এবং আপনি অনেক সেফটির সাথে কোন কর্ণারিং করতে পারবেন । রেডিক্যাল টায়ারে লো রোলিং রেজিট্যান্স রয়েছে যেটা আপনাকে বাইক ড্রাইভিং এর সময় অনেক বেশী স্পীড দিতে সহায়তা করবে । এই ধরণের টায়ারগুলো কোন রকম ভাইব্রট করে না এবং এগুলো অনেক লং লাস্টিং টায়ার ।

অপরদিকে কনভেনশনাল টায়ারগুলা সাধারণত ওল্ড জেনারেশনএর বাইকে ব্যাবহৃত হয় কারণ এর পরফরমেন্স রেডিক্যাল টায়ারের থেকে অনেক কম । যেমন , টিভিএস , হিরো হোন্ডা , বাজাজ , প্রভৃতি কোম্পানী কনভেনশনাল টায়ার ব্যাবহার করে থাকে । কিন্তু , পারফরমেন্স রেডিক্যাল টায়ারের থেকে কম হওয়া সত্ত্বেও এই টায়ারগুলো বাংলাদেশে খুব বেশী চলে কারণ এর কম দাম এবং এগুলো রেডিক্যাল টায়ারের থেকে বাংলাদেশের রোডে খুব একটা খারাপ পারফরমেন্স দেয় না । তারপরও বাংলাদেশের রাস্তায় নন রেডিক্যাল অর্থাৎ কনভেনশনাল টায়ারগুলো বেশী চলে কারণ এর শক্ত সাইডওয়াল বাংলাদেশের রাস্তাগুলোতে খুব বেশী ক্য় হয় না । ফলে টায়ারগুলো অনেক দিন লাস্টিং করে ।

 টিউবলেস টায়র VS টিউব টাইপ টায়ার :

বর্তমানে সবধরণের মডার্ণ বাইকে টিউবলেস টায়ার ব্যাবহার করা হচ্ছে । এর কারণ আসলে কী ? এর আসলে ই অনেকগুলো ভাল কারণ রয়েছে । যখন আপনার বাইকের টিউবটাইপ টায়ার হঠাৎ করে পাংচার হয়ে যাবে , তখন আপনি বিপদে পড়তে পারেন । ধরুন , আপনি খুবই বেশী স্পীডে বাইক রাইড করছেন । এই সময় আপনার টায়ার বাস্ট হল । তখন তো এক্সিডেন্ট নিশ্চিত । এইসময় আপনার টায়ার বা টিউব চাকার রিম থেকে ছাড়িয়ে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে । সো , টিউব টাইপ টায়া আপনার জন্য অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ ।

অপরদিকে টিউবলেস টায়ার্ এর বৈশিষ্ট হল এটা থুব সহজে পাংচার হয় না , এবয যদিও পাংচার হয় , তারপরও এটা বাইকের চাকার রিমের সাথে আটকে থাকে এবং আপনি এই অবস্থাতেই প্রায় ১০০ কিলোমিটার ড্রাইভ করতে পারবেন । ফলে এই সময়ের ভেতর আপনি আপনার চাকা সারিয়ে নিতে পারছেন ।

মোটরসাইকেল কেনার সময় টায়ারের ব্যাপারে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিৎ :

একটা মোটরসাইকেল বা বাইকের টায়ার কেনার সময় আপনার বেশ কিছূ বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে । না হলে আপনার বাইক মোটেও সেফ না । বিষয়গুলো নিচে দেওয়া হল ;

১. কোন সেকেন্ড হ্যান্ড টায়ার কেনা যাবে না ।

২. যেসব টায়ার সোরুমে বা দোকানে ১ বছরের বেশী সময় ধরে পড়ে আছে সেসব টায়ার কেনা উচিৎ নয় । কারণ , রাইডিং না করলেও টায়ার অনেকদির ফেলানো থাকলে এর পাওয়ার লস হয়ে যেতে পারে ।

৩.আপনার যদি একটা রোড বাইক থাকে তাহলে অফরোড টায়ার কিনবেন না । কারণ এটা আপনার বাইকের জন্য ঝুকিপূর্ণ । অফরোড টায়ারগুলো এক্সেল বাইক বা ওই ধরণের রেসিং বাইকের জন্য ব্যবহৃত হয় ।

৪. আপনার বাইকের জন্য টায়ারের যে সাইজ রিকমেন্ড করা আছে সেই টায়ারই কিনুন । এর থেকে বড় বা ছোট সাইজের টায়ার কিনবেন না ।

৫. তারপরও যদি আপনি বড় বা ছোট টায়ার নেন , তাহলে আপনার এ্যলয়  হুইল সর্বোচ্চ কোন সাইজের টায়ার বিয়ার করতে পারবে সেটা দেখে কিনুন ।

কখন একটা বাইকের টায়ার চেঞ্জ করা প্রয়োজন :

আসলে আপনি যদি নরমাল ড্রাইভ করেন তাহলে আপনার বাইকের টায়ার ন্যাচার‌্যালি ২০০০০ কিলেমিটার পর্যন্ত অক্ষত থাকবে । কোন কোন সময় এটি ৩০০০০ কিলোমিটাও হতে পারে । ন্তিু , আপনি যদি ঘন ঘন কড়া ব্রেক করেন বা রেসিং কর থাকেন তাহলে আপনার বাইকের টায়ার ৫০০০০ কিলোমিটারের ভেতরও পাল্টাতে হতে পারে । তারপরও নীচের বিষয়গুলো কনসিডার করে আপনি আপনার বাইকের টায়ার বদলাতে পারেন :

১. যদি বাইকের চাকায় গ্যীপ ক্ষয়ে যায় বা কমে যায়

২.যদি বাইকের চাকায় কোনরকম  ফাটল সৃষ্টি হয় ।

৩.বাইকের চাকার অন্য কোন সমস্যা যদি আপনি বুঝতে পারেন ।

বাংলাদেশের বাইকের টায়ার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন bikebd.com এ ।

আর বাংলাদেশের বাইক সম্পর্কে তথ্য ও লেটেস্ট আপডেট পেতে চোখ রাখুন bikebd.com এ । এবং বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের প্রাইস সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন Motorcycle Price in Bangladesh

Level 0

আমি বাইক বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই,বাইক কেনার সামর্থ্য এখনো হয়ে ওঠে নি।তবে বাইক নিয়ে আমার আগ্রহেরো কোন কমতি নেই।আপনার টিউনগুলো পড়ে অনেক কিছু জানতে পারছি।চালিয়ে যান ভাই।

HERO Honda CBZ নিয়ে একটা টিউন করেন। 😛

যদিও মোটরসাইকেল নাই ( তবে সাইকেল আছে :p ) তবুও বেশ তথ্যবহুল টিউন ! অসংখ্য ধন্যবাদ !!!

ভাই আমি rtr bike কিন্তে চাই তো এ সমর্পকে কিছু লেখেন।