বাংলাদেশের বাইক এর নবম পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । আমাদের এবারের বাইক হল বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ১০০ সিসির বাইক হিরো হোন্ডা প্যাশন প্রো । বাংলাদেশে যে ১০০ সিসির বাইকগুলা আছে তার মধ্যে এটা সবদিক থেকে নিজেকে এগিয়ে ধরে রেখেছে । কিছূ অসাধারন বৈশিষ্ঠ দ্বারা এটি নিজের স্থান ধরে রেখেছে শক্ত ভাবে । চলুন , আজ আমরা জেনে নিই এ্ই বাইকটির খুটিনাটি ।

ওভারভিউ :

প্যাশন  প্রো বাইকটিতে রয়েছে একটি নিজস্ব স্টাইলের সুন্দর হেডলাইট । এর একটি এ্যানালগ স্পীডোমিটার ও একটি ডিজিটাল ফুয়েল ইনডিকেটর রয়েছে । এটার কোন গিয়ার ডিসপ্লে স্ক্রীন নেই । আসলে হেডলাইটের টোটাল বডি তিনটি পার্টে বিভক্ত কিন্তু দেখলে একসাথে বেশ সুন্দরই লাগে । বাইকটির রয়েছে  একটা সুন্দর বেশ চওড়া আরামদায়ক বসার সিট । সিটটা অন্যান্য বাইকের তুলনায় একটু চওড়া বলে এটাতে বসেও বেশ মজা পাওয়া যায় ।

ইন্জিন :

বাইকটিতে রয়েছে একটি ১০০ সিসির এয়ার কুলড ইন্জিন যেটা সর্বোচ্চ ৭ বিএইচপি শক্তি ও ৮N/M  টর্ক উৎপন্ন করতে পারে । এটার ফুয়েল ডেলিভারী সিস্টেম হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে কার্বুরেটর  ।এটাতে ডিজিটাল সিডিআই সিস্টেমের ইগনিশন  পদ্ধতি রয়েছে । এটির একটা ৫ স্পীড গিয়ারবক্স রয়েছে । বাইকটির ইন্জিনের সবথেকে ভাল গুন হল এটা অনেক বেশী স্পীডেউ ভাইব্রেট হয় না বা কোন ধরণের সমস্যা করে না । এটাতে ৬০ কিলোমিটার স্পীড তুলতে টাইম লাগে প্রায় ৮ সেকেন্ড । এর টপ স্পীড হল ৯০কি.মি/ঘন্টা ।

ব্রেকিং ও চাকা :

প্যাশন প্রো বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে দুই চাকাতেই ড্রাম ব্রেক । অবশ্য এখন এর একটি ভার্সন সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক সহ পাওয়া যাচ্ছে । সামনের চাকার ডিস্কের সাইজ ২৪০ মিমি . এবং পেছনের চাকার ব্রেকের সাইজ ১৩০ মিমি . । এটার ব্রেকিং সিস্টেম একটি ১০০ সিসির গাড়ির তুলনায় অনেক ভাল । ৬০ কিলোমিটার/ঘন্টা থেকে বাইকটি ৩০ মিটারের মধ্যেই থামানো যায় । বাইকটির পেছনের চাকাটা অন্যান্য ১০০ সিসির বাইকের তুলনায় কিছুটা মোটা ও একটু অন্যরকম শেপের । আপনি যতই রাস্তার দিকে হেলে পড়েন না কেন , এটার চাকা আপনাকে কখনই স্লিপ করাবে না । এর চাকার সাইজ হল ১৮ ইন্চি । এর পেছনের চাকাতে 3.00 x 18 – 6 P / 52 PR সাইজের ও সামনের চাকাতে 2.75 x 18 – 4 PR / 42 P সাইজের টায়ার লাগানো রয়েছে । তবে এটার চাকা টিউবলেস না ।

ডাইমেনশন ওয়েট ও ইলেট্রিক্যাল :

বাইকটির মোট ওজন হল ১১৯ কেজি । এই হিসেবে বাইকটি বেশ হালকাই বলা চলে । এর মোট দৈর্ঘ্য ১৯৮০ মিমি . এবং উচ্চতা ১০৭৫ মিমি. । বাইকটিকে প্রথমে দেখলে অন্যান্য বাইকের তুলনায় একটু মোটাই মনে হবে । কিন্তু রাইডিং এর সময় বিষয়টা বোঝাই যায় না । বডিটা একটু মোটা হবার কারনে বসেও মজা পাওয়া যায় । বাইকটিতে রয়েছে একটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারী । এটার একটি মাল্টি রেফ্রিক্টর টাইপের হেডলাইট রয়েছে । হেডলাইটি ৩৫ ওয়াট এর । এর পেছনের ব্যাক  বা টেইল লাইটটি ৫ ওয়াটের লাল রঙের বেশ স্টাইলিশ । বাইকটিতে খুবই সুন্দর হলুদ রঙের সিগন্যাল লাইট রয়েছে ।

জ্বালানী :

বাইকটি জ্বালানীর দিক থেকে বেশ কৃপনই । এটাতে আপনি ১ লিটার পেট্রোলে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার যেতে পারবেন । এর ফুয়েল ট্যাঙ্কটা বাইকের বডির সাথে একদম পারফেক্ট । সুন্দর স্টাইলিশও বটে । এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের জ্বালানী ধালন ক্ষমতা ১৩ লীটার ও রিজার্ভ ট্যাঙ্কিতে জ্বালানী ধরে ১ লিটার ।

যাইহোক , সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ১০০ সিসির বাইকের ভেতর বেশ প্রথম  দিকেই স্থান করে নিয়েছে বাইকটি । এটার বডি , স্টাইল , ইন্জিন , লুকিং সবকিছূ মিলিয়ে এটাকে বাংলাদেশের একটা লিডিং ১০০ সিসির বাইক বলে দাবী করা যায় । এবং বাংলাদেশের টপ বাইক রিভিউ সাইট বাইকবিডির সাম্প্রতিক জরিপে এটা প্রকাশ পেয়েছে যে বাংলাদেশের টপ ৩ টি ১০০ সিসি বাইকের ভেতর এটা একটা । এটা এখানে গিয়ে দেখে আসতে পারেন ।

বাংলাদেশের বাইক সম্পর্কে তথ্য ও লেটেস্ট আপডেট পেতে চোখ রাখুন bikebd.com এ । এবং বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের প্রাইস সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন Motorcycle Price in Bangladesh