দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন বাইক ও সেরা পাঁচ বাইক রিভিউ

আপনারা যারা টর্ক ছবি দেখেছেন তারা যানেন বাইক চালানো কতটা এডভেন্চার। টর্কের কথা নাহয় বাদ দিলাম ভারতে ধুম ও ধুম ২ ছবি মুক্তির পর যে হোন্ডা নিয়ে এশিয়ায় কি পরিমাণ মাতামাতি শুরু হয়েছে তা তো আপনারা রাস্তঘাটেও দেখতে পান। অপ্রাপ্তবয়স্করাও এখন দেদারসে বাইক চালায় আর নিজেকে জন আব্রাহাম, রিত্তিক রোশন মনে করে। আজ আমি আপনাদের এমন কিছু বাইকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যা কিনা আপনাদেরও ফ্যান্টাসীতে ভোগাতে পারে।

তো আমরা এই টিউনে পরিচিত হয়ে নিই দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুততম গতিসম্পন্ন পাঁচটি বাইকের সাথে

৫. বিমডব্লিউ কেওয়ান১২০০এস :

ব্র্যান্ডটির নামই যথেষ্ঠ আগ্রহীদের টেনে আনতে। বের হওয়া মাত্রই এটি প্রচুর জনপ্রিয় হয়েছিল। মাত্র ২.৮ সেকেন্ডে এটি ৬০কি.মি স্পীড তুলতে পারে। হলিউডের বহু ছবিতে এটির বহু ব্যাবহার হয়েছে। বাইকটির টপ স্পীড ২৬৮(কি.মি./ঘন্টা) এবং ১৬৭মএইচএইচ।এটি পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে।


৪. ডুকাটি ১০৯৮এস :

ডুকাটি ১০৯৮এ্স হলো ১০৯৯সিসি বিশিষ্ট যা ডুকাটি কোম্পানী স্পেশাল ভাবে তৈরী করেছে। ২০০৬ সালের ৮ নভেম্বর এটি প্রথম বের হয় এবং ২০০৭ সালে তার নতুন ভার্সন বাজারে আসে।এটি ১৬০ হর্সপাওয়ার বিশিষ্ট, ৯০.৪ফিট-পাউন্ড টর্ক ্বং ওজন ১৭৩ কেজি। এটার টর্ক রেশিও এখন পর্যন্ত দুনিয়ার সবচেয়ে টর্ক টু হাইট রেশিও অন্য যেকোন কোম্পানীর বাইক থেকে।এটি (২৭১কি.মি./ঘন্টা) স্পীডে চলে এবং চার নম্বরে অবস্থান করছে।


৩. এপ্রিলা আরএসভি ১০০০আর :

এটি এপ্রিলার আরএসভি মাইল ফ্যাক্টরীর লিমিটিড এডিশন বাইক। এটির ইনজিন অস্ট্রিয়ান কোম্পানি রোটাক্স ১৪৩ এইচ ৯৯৮সিসি বিশেষভাবে প্রস্তুত করে।বাইকটির টপ স্পীড ২৮১(কি.মি./ঘন্টা)। এটির জন্য ২০০৬ সালে আরএসভি মাইল ফ্যাক্টরী ম্যাক্সিস্পো্র্ট আ্যওয়ার্ড জেতে সুপারবাইক কম্পিটিশনে। এর অবস্থান তিন নম্বরে।

২. ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আরওয়ান :

এই সিরিজের প্রথম বাইক বের হয় ১৯৯৮ সালে। তারপর থেকে আজও এটি দাপটের সাথে রাজত্ব করে আসছে। ১০০০ সিসি ইন্জিন বিশিষ্ট বাইকটিতে রয়েছে হোন্ডা, কাওয়াসাকি সূযুকি ও ইয়ামাহার সমন্বিত 'হ্যান্ডলিং আর্মস রেস' প্রযুক্তি। এটির সর্বশেষ ভার্সনটি গতি এবং ব্রেকিং খমতার জন্য সমাদ্রিত। এটির টপ স্পীড ২৮৩(কি.মি./ঘন্টা)। এটি দুই নম্বরে অবস্থান করছে।

১. হোন্ডা সিবিআর ১১০০এক্সএক্স সুপারব্ল্যাকবার্ড :

হোন্ডা সিবিআর ১১০০এক্সএক্স সুপারব্ল্যাকবার্ড হোন্ডা কোম্পানী নিজস্ব পদ্ধতিতে স্পোর্টস বা রেসারদের জন্য বানিয়েছে, যদিও পরে তা কাওয়াসাকির প্রযুক্তি বলে প্রমাণিত হয়েছিল। প্রথম বের হয়েছিল ১৯৯৭ সালে এবং এর সর্বশেষ ভার্সন ২০০৬ সালের। ইন্জিন পাওয়ার ব্রেক পাওয়ার এটি ব্যাবহারে সাবলীল করে তুলেছে। এটির টপ স্পীড ২৮৬(কি.মি./ঘন্টা)। এবং এটিই সবার আকাংখিত নাস্বার ওয়ান বাইক।

বাংলাদেশে এগুলোর একটাও নাই। আসবে বলে মনেও হয় না। সবাই পালসার, হাংক, সিবিজেড, আর১৫ এগুলা চালিয়ে দুধের সাধ ঘোলে মেটাচ্ছে। তাদের আমার তরফ থেকে শুভকামনা রইল।

আর এটা আমার দ্বিতীয় টিউন। কেমন হলো জানাবেন।

Level New

আমি অয়ন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 78 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I am now student in United international university(UIU). And studying in Electrical and Electronic Engineering(EEE).


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এই বাইক গুলো ঢাকার রাস্তায় চলা চলের জন্য রাখা যেতে পারে।যাতে দ্রুত গতির সাথে সাথে ধীর(যান জটে) গতীর পরিচয় দিতে পারে।

টিউনের জন্য ধন্যবাদ

    Level New

    বাংলাদেশে আসলে এগুলো যানযটে পড়ে অন্যান্য বাইকের সাথে তফা্ত থাকবেনা। কদিনেই ধোলাইখালে পার্টস হেরাফেরির জন্য চলে যাবে।

    Level 0

    হাহ হাহ হাহ

    আসলেই এটাই দুঃখ

বাংলাদেশ এর জন্য এগুলো বাইক না ………… বাংলাদেশ এর জন্য বেস্ট গাড়ী উত্তর বংজ্ঞের নসিমন 😉 । বাট টিউন টা ভালো হয়েছে ।

    Level New

    ঠিক বলেছেন! একমত তবে রিকশার কথা ভুলে যাবেন না।

সুন্দর টিউন চালিয়ে যান শুভকামনা রইল,ধন্যবাদ।

    Level New

    চালিয়ে যেতেই এসেছি। পাশে থাকুন(গ্রামীণফোন)।

হোণ্ডা র প্রতি আমার দূবলতা আছে।কিন্ত আক্সিডেন্ট এর জ়ন্য ভয় লাগে

হোণ্ডা র প্রতি আমার দূবলতা আছে।কিন্ত আক্সিডেন্ট এর জ়ন্য ভয় লাগে…….Nice Tune

    Level New

    অ্যাক্সিডেন্টের ভয় সবাই করে, কিন্তু তাই বলে নিজের শখ পূরণ করবেন না।
    দেখেশুনে বুঝে চালাবেন।

    Level 0

    @আল মাহমুদ: ভাই, বিয়ে করলে তো বউয়ের ঝাঁটার সোহাগের রিস্ক আছে( একটু না, অনেক 😀 ) । তাই বলে কি আমরা ধরে নিব??? ……………………………………………………………………………………………….. ( ভুলত্রুটি হলে মার্জনীয়)

ইসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস

Level 0

অয়ন ভাই,লোভ লাগাইয়া দিলেন তে, এগুলোর হোণ্ডার জন্য বাংলাদেশে রাস্তা হয়নি তাই আবসেস করা ছাড়া কিছুই করার নিই,সুন্দর টিউন ধন্যবাদ।

    Level New

    আমারও ভাই একই অবস্থা, তবে ভবিষ্যতে কি হবে কেউ বলতে পারেনা। স্বপ্নে অনেক প্র্যাকটিস করসি এবার বাস্তবের পালা

অয়ন ভাই ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

    Level New

    ধন্যবাদ, শেয়ার করলে বিদ্যা বাড়ে তাইতো শেয়ার করার চেষ্টা করি।

এক আমলে দুর্ধষ রেসার আছিলাম।
একটা আক্সিডেন্ট আমারে পাল্টাইয়া দিছে।
ভালো টিউন।

এক কালে খুব দুর্ধষ বা বেপরোয়া রেসার ছিলাম।
একটা আক্সিডেন্ট এক্কেরে সব ভুলায়া দিছে।

ভালো টিউন।

    Level New

    হাত পা গেসে নাকি

ভাই, লোভ লাগিয়ে দিলেন…
~ !

    Level New

    অতি লোভে মাথা নষ্ট।

Level 0

ভাল লেগেছে অনেক 😀 ধন্যবাদ অয়ন ভাই 🙂

    Level New

    রাসেল ভাই ধন্যবাদ

ভালো টিউন । কিন্তু প্রতিটা বাইকের ইমেজ থাকলে ভালো হতো ।

    Level New

    এইটা কি বললেন, প্রতিটা বাইকের তিনটি করে স্পষ্ট রেজুলেশনের ছবি দেওয়া আছে। ভালো করে দেখুন।

Level 0

সুন্দর টিউন ধন্যবাদ।

    Level New

    সুন্দর কমেন্ট

Level 0

Vi Prize Ta dele Valo hoto…

Level 0

Korrrrraaaaaaaaaa……………….

Level 0

অনেক ভাল হইছে… বাইক নিয়া আরও টিউন চাই…। ধন্যবাদ।

Level New

হমম। ঈচছা আছে সামনে করার।

বেশ ভালো লাগলো… মোটর সাইকেল নিয়ে আরও কিছু জানতে দেখুন http://www.bikebd.com