আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আমাদের এই চেনা লাল-সাদা ক্যালেন্ডারের পাতার পেছনে ঢাকা রয়েছে অতীতের এমন এক গল্প, যা সম্রাটদের স্বপ্ন, জ্যোতির্বিদদের গণনা, এবং কৃষকদের ক্ষেতের মাটির গন্ধ মিলে এক অপূর্ব সুরভি ছড়িয়ে দেয়? হ্যাঁ, সেই গল্পই হলো বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস - এক কালপঞ্জিকার কাহিনী, যেটি কেবল তারিখ আর মাসের হিসাব রাখে না, বরং বুকে ধরে রাখে বাঙালির সংস্কৃতির শেকড়, ঋতুর চক্রের গতি, এবং ইতিহাসের ধারা।
এই বছরগণনার পদ্ধতির উৎস খুঁজে পেতে, আমাদের পা বাড়াতে হবে ষোলো শতকে, মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে। তখন কৃষকদের কর আদায়ের সুবিধার জন্য, ফসলের চক্রের সঙ্গে মিলে যাবে এমন এক ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন দেখা দেয়। ফলে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতুল্লাহ শিরাজির সহায়তায় তৈরি হয় তারিখ-এ-এলাহি নামে নতুন বর্ষপঞ্জি, যা ক্রমে বাংলা সন নামে পরিচিতি লাভ করে।
কিন্তু এই পথচলা এখানেই শেষ নয়! সময়ের সাথে সাথে, শাহজাহানের আমলে সপ্তাহের দিনগুলির সংখ্যা বাড়ানো, মাসের নাম পরিবর্তন, এমনকি বঙ্গাব্দের গণনাও পরিবর্তিত হয়। এই ক্রমবিকাশই প্রমাণ দেয়, বাংলা বর্ষপঞ্জি কোনো জড় পদ্ধতি নয়, বরং বাঙালির জীবনযাত্রার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে থাকা, ক্রমবিকাশমান একটি ঐতিহ্য।
তাহলে চলুন, এই কালপঞ্জিকার পাতা উল্টে, অতীতের ধোঁয়াটে ঢাকা সেই গল্পটি আবিষ্কার করি। কে জানে, হয়তো আমরাও খুঁজে পাবো নিজেদের জীবনের ছন্দ এই ঋতুর চক্রের মধ্যে, আর বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস হয়ে উঠবে আমাদের শেকড়ের সন্ধানের এক পথনির্দেশক।
তাহলে আর দেরি কেন? সঙ্গে থাকুন, কালের স্রোতে ভাসিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন!
সময়ের ধারায় হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুরই মতো বাংলা বর্ষপঞ্জি ইতিহাস এক অস্পষ্ট ধোঁয়াটে পটভূমি। কবে, কীভাবে এই স্বতন্ত্র ক্যালেন্ডার আমাদের হাতে এলো, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মতামতের মধ্যেও মৃদু মতানৈক্য। তবুও, কিছু নির্দেশনা, কিছু সূত্র ধরে ধরে আমরা ঝিঁঝিয়ে উঠতে পারি এই সময়ের সাগরে, একটুখানি হলেও আলোকপাত করতে পারি বাংলা বর্ষপঞ্জির অচেনা উৎসমুখে।
প্রাচীন গ্রন্থের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায়, সূর্য ও চাঁদের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করেই মানুষের প্রথম ক্যালেন্ডার রচনা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নই। বছরের ঋতুচক্র অনুসরণ করে, কৃষি কাজের তালে তালে এগিয়েছে বাঙালির জীবন। ফাল্গুনের মধুর হাওয়ায় ধান কাটা হয়, বৈশাখে নববর্ষের আনন্দ, আষাড়ের বৃষ্টির ঝিরিঝিরি আর ভাদ্রে শ্রাবণের ধান রোপা - এই গতিধারায় গড়িয়েছে জীবন, আর তারই ছন্দে তৈরি হয়েছে বাংলা বর্ষপঞ্জি।
তবে কেবল ঋতুচক্রই নয়, জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও নিগূঢ় ছায়া পড়েছে বাংলা বর্ষপঞ্জির গঠনে। নক্ষত্রের গতিপথ, গ্রহের অবস্থান - এসব বিষয় বিবেচনা করেই নির্ধারিত হয়েছে মাসের সংখ্যা, দিনের গণনা। ফলে, ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে মিলে গেছে আকাশের গল্প, জীবনের চলাচলের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে নক্ষত্রের নৃত্য।
এই ঐতিহ্যের সূত্র ধরেই আজও আমরা পালন করি বাংলা বর্ষপঞ্জি। কে জানে, হয়তো কোনো একদিন ঠিক এই মতোই কোনো পূর্বপুরুষ, আকাশের দিকে চেয়ে, হিসাব করেছিলেন দিন, মাস, বছর - আর জন্ম নিয়েছিল আমাদের অপূর্ব বাংলা বর্ষপঞ্জি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের সুতীবদ্ধ হস্তক্ষেপে ও কৃষিজীবনের ছন্দে মিশে গিয়ে যে ঋতুচক্র গড়িয়ে চলে, তারই এক সাক্ষী বাংলা বর্ষপঞ্জি. এই বর্ষপঞ্জির ইতিহাস রচিত হয়েছে সম্রাটদের আদেশে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নিপুণতায় এবং কৃষকদের জীবনধারার সাথে নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়ে।
প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন বর্ষপঞ্জি প্রচলিত ছিল, যেমন শক বর্ষপঞ্জি বা লক্ষণাব্দ। কিন্তু, চান্দ্র-সৌর মিশ্র এই পঞ্জিকাগুলো কৃষি কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। ফসল কাটার সময় ঋতু পরিবর্তিত হয়ে কৃষকদের হিসাব-নিকেশে ত্রুটি হতো। সেকারণেই সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা বর্ষপঞ্জি ইতিহাস-এ নতুন অধ্যায় রচনা করেন। ইরানি জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীর সহায়তায় তিনি হিজরি সৌর বর্ষপঞ্জী চালু করেন, যা পরবর্তীতে বাংলা বর্ষপঞ্জি নামে পরিচিত হয়।
এই নতুন বর্ষপঞ্জিতে বৈশাখ মাসকে প্রথম মাস হিসেবে স্থির করা হয়, কারণ এ সময়েই বাংলাদেশে ফসল কাটা হয়। মাসগুলোর নাম রাখা হয় প্রাকৃতিক উপাদান এবং ঋতুচক্রের সাথে মিল রেখে, যেমন বৈশাখের তাপ ও চৈত্রের ফুলঝুড়। এই বর্ষপঞ্জি কৃষি অর্থনীতির চালনায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।
চৈত্রের মৃদু তাপে গায়ে শিহরন, আম গন্ধে ভরা বাতাস, আর আকাশে উড়ন্ত পতংগ - এই চৈত্রেই আমরা পালন করি বাংলা নববর্ষ। কিন্তু কেন ১৪ এপ্রিল? এই প্রশ্নটি অনেক বাঙালির মনেই ঘুরপাক খায়। উত্তর খুঁজতে হলে এক ঝাঁপ লাগতে হবে বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস-এ, বুঝতে হবে কৃষি ও আবহাওয়ার রহস্য।
প্রাচীন কালে, বাংলায় চালু ছিল চান্দ্র-সৌর মিশ্র ক্যালেন্ডার। এর ফলে, কখনো বৈশাখ শীতকালে পড়ে যেত, আবার কখনো গরমে। ফসল কাটার সময় সঠিক মাস শনাক্ত করা মুশকিল হয়ে পড়ত। এ অবস্থা বদল করতেই সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে চালু করেন হিজরি সৌর বাংলা বর্ষপঞ্জি। এই বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস-এ কৃষি কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশাখকে প্রথম মাস হিসেবে স্থির করা হয়। কিন্তু, সে সময় এই বাংলা বর্ষপঞ্জির ভিত্তি ছিল ইসলামী হিজরি সন। অর্থাৎ, প্রতি বছর ১১ দিন করে এগিয়ে যেত ইংরেজি ক্যালেন্ডারের তুলনায়।
স্বাধীনতার পর ১৯৬৬ সালে এই অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বাংলাদেশে চালু করা হয় জাতীয় পঞ্জিকা। এই পঞ্জিকায় সৌর বছরকে ভিত্তি ধরা হয়, কিন্তু মাসের নাম ও ঋতুচক্র বাংলা বর্ষপঞ্জির মতোই রাখা হয়। ফলে, প্রতি বছর একই সময়ে, ১৪ এপ্রিলের কাছাকাছি সময়ে, আমরা উদযাপন করি পহেলা বৈশাখ।
এই দিনটি বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বছরের ফসল কাটা শেষ হয় মার্চের শেষের দিকে। চৈত্রের মৃদু গরমে মাঠ চাষাবাদে প্রস্তুত হয়। ফলে, ১৪ এপ্রিলের কাছাকাছি সময়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা কৃষিকাজের চক্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তাই, একদিকে বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখা, অন্যদিকে আধুনিক ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতেই ১৪ এপ্রিল আমরা উদযাপন করি বাংলা নববর্ষ।
কেবল তারিখ গণনার এক বিধি নয়, বাংলা বর্ষপঞ্জি আমাদের সংস্কৃতির জীবন্ত নিদর্শন। বাংলা বর্ষপঞ্জি ইতিহাসের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ঋতুর ছন্দ, ঐতিহ্যের সুর, আর কৃষিজীবনের সঙ্গীত। মেঘমলিন বৈশাখে নববর্ষের আনন্দধ্বনি, ফাল্গুনের মৃদু হাওয়ায় হোলির রঙিন উৎসব, মাঘের শীতল সকালে পিঠার ঘ্রাণ - প্রতি মাসে প্রতিদিন জেগে ওঠে ঐতিহ্যের স্মৃতির সুতো।
চৈত্রের উৎসবে শস্যদানের কৃতজ্ঞতা, আষাঢ়ের বৃষ্টিতে জাগরিত কৃষিজীবন, পৌষের শীতের আনন্দমেলা - প্রতিটি ঋতু আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ঋতুচক্রকেই ধারণ করেছে বাংলা বর্ষপঞ্জি। প্রতি তারিখে নেই শুধু সংখ্যা, আছে গল্প, আছে ইতিহাস, আছে এক অনন্য জীবনযাপনের ঝলক।
তাই বাংলা বর্ষপঞ্জি শুধুই সময় গণনার পদ্ধতি নয়, আমাদের সংস্কৃতির চিহ্ন। প্রতি তারিখেই মনে করিয়ে দেয় অতীতের সাথে বর্তমানের বন্ধন, ঋতুর ছন্দে ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ। এই বর্ষপঞ্জি আমাদের হৃদয়ে বাঁধন রাখে ঐতিহ্যের সাথে, মনে করিয়ে দেয় আমাদের গতকাহিনী, শিক্ষা দেয় ভবিষ্যতের পথচলা।
বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস বুঝতে চাইলে শেষ পাতায় থামা যাবে না। এই বর্ষপঞ্জি মাত্র কয়েকটি তারিখ বা মাস নিয়ে গঠিত নয়, এটি একটি জীবন্ত জ্যামিতি, যেখানে প্রতিটি দিন, মাস, ঋতু একে অপরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। চৈত্রের শেষ সন্ধ্যায় পুরনো বছরের বিদায় গান গেয়ে ওঠে, আর বৈশাখের নবোদয়ে ধ্বনিত হয় নতুন জীবনের শंख।
এই কালগণনার পদ্ধতি শুধুই কোনো রাজার ফরমান বা বিজ্ঞানীর নির্দেশ নয়, এটি হাজার বছরের অভিজ্ঞতা, ঋতুর ছন্দে গড়া সংস্কৃতির ফসল। মাঘের শীতের কামিটে বোনা গরম কাপড়, ফাল্গুনের রঙিন উৎসবে হোলির গান, বৈশাখের ঝিরঝির বৃষ্টিতে মাঠে নামা বীজ - প্রতিটি কাজ, প্রতিটি উৎসব বুঝিয়ে দেয় বাংলা বর্ষপঞ্জির সাথে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক।
আমি এম আর শাকিল। ৩য় সেমিস্টার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাভার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
প্রযুক্তির নতুন নতুন বিষয়াদি জানতে ও শিখতে আমার ভালো লাগে। যেটুকু শিখতে পারি তা অন্যদের সাথে শেয়ার করতেও ভালো লাগে। তাই আমি নিয়মিত প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ টেকটিউনসে লেখালেখি করি। আমার লেখালেখির উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ ও জ্ঞান বৃদ্ধি করা। আশা করি আমার লেখাগুলো আপনাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন কিছু...
টেকটিউনস থেকে আর্ন শুরু করতে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার একটি পেশা। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার পেশায় অনেকে নিয়োজিত আছেন এবং নিয়মিত টেকটিউনস থেকে আর্ন করেন।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে, টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদনের তারিখ থেকে সর্বশেষ, ৩০ দিন এর মধ্যে, টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের জন্য করা ১০ টি টিউন নির্দিষ্ট গাইডলাইনে প্রকাশ থাকতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হতে আপনার বেসিক SEO কন্টেন্ট রাইটিং এর পারদর্শীতা থাকতে হয়। এবং বেসিক কন্টেন্ট ফরমেটিং এর পারদর্শীতা থাকতে হয়। সেই সাথে অবশ্যই SEO টেকনিকাল ব্লগ রাইটিং এর পারদর্শীতা প্রয়োজন হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হওয়া নির্ভর করে আপনার IQ ও Skill এর উপর।
টেকটিউনসে রিচ, হাই কোয়ালিটি, ইউনিক এবং টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন ও টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন ফলো করে টিউন করা পারদর্শীতা সম্পন্ন যে কেউ টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে পারে।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় স্কিল থাকতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে এই সকল টিউন টপিকের উপরে টিউটোরিয়াল বেইজড টিউন লিখতে হয়।
এখানে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার টিউন টপিক এর আংশিক রয়েছে। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার টিউন টপিক এর বিস্তারিত দেখুন টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার গাইডলাইনে।
লক্ষ করুন: টিউন ক্যাটাগরি ও টিউন টপিক এক বিষয় নয়। দুটো আলাদা বিষয়। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হিসেবে কাজ করতে আপনাকে অবশ্যই বেসিক কন্টেন্ট রাইটিং এর পারদর্শীতা থাকতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের আগে এ বিষয় গুলো সঠিক ভাবে নিশ্চিত হয়ে, টেকটিউনস ডেস্কে টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদন করতে হয়।
লক্ষ করুন
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদনের তারিখ থেকে সর্বশেষ, ৩০ দিন এর মধ্যে প্রকাশিত ১০ টি টিউন, টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের রিভিউ এর জন্য কাউন্ট হয় অর্থাৎ আপনার সর্বশেষ প্রকাশিত ১০ম থেকে ১ম টিউন, টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের রিভিউ এর জন্য কাউন্ট হয়। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদনের তারিখ থেকে সর্বশেষ, ৩০ দিন এর মধ্যে প্রকাশিত ১০ টি টিউনের যে কোন ১ টি টিউন টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন পূরণ না হলে পুরো ১০ টি টিউনই বাতিল হয়। এই ১০ টি বাতিল হয়ে যাওয়া টিউন আর পরবর্তি কোন আবেদনের জন্য কাউন্ট হয় না।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন বাতিল হলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আর নতুন করে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন করা যায় না।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন বাতিল হলে ৬০ দিন অতিক্রান্ত হলে পুনরায় আবার টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন পূরণ করে, নতুন করে, সর্বশেষ ৩০ দিন এর মধ্যে নতুন ১০ টি টিউন প্রকাশ করে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন করা যায়।
আপনি যদি কনফিডেন্ট থাকেন যে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হবার সকল স্কিল আপনার রয়েছে তবে আপনি টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে পারবেন।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হবার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে আপনাকে সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় এরপর আলাদা ভাবে আবেদন করতে হয়। আরও জানতে দেখুন টেকটিউনসে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হওয়ার জন্য প্রথমত টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ গাইডলাইন অনুযায়ী টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ব্যাজ অর্জন করতে হয়।
এরপর টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার কীভাবে? গাইডলাইনে উল্লেখিত সকল প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে হয়। সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এরপর আলাদা ভাবে টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হবার আবেদন করতে হয়।
টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ও টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার দুটি আলাদা বিষয়। টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ব্যাজ ও টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার ব্যাজ দুইটি আলাদা আলাদা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়।
টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ব্যাজ অর্জন ব্যতিত ও টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার কীভাবে? গাইডলাইনে উল্লেখিত সকল প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন ব্যতিত টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হবার আবেদন করা যায় না।
আরও দেখুন টেকটিউনসে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন