ব্র্যান্ডিং ব্যার্থতা: নতুন ই-কমার্স ও উদ্যোক্তাদের ঝরে পড়ার মূলে

অনেক উদ্যোক্তাই দেখা যায় এখন। আবার অনেকে হারিয়েও যায়। বিশেষ করে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এটি তো নিত্য দিনের ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের মার্কেটে এখন সবচেয়ে বেশি প্রচলন অপরকে কপি করা। হোক তা আইডিয়া, পন্য বা কন্টেন্ট। সব কিছুতেই পুরোনোকে লিপে-পুছে আবার সামনে আনার প্রচেষ্টা। কিন্তু স্টার্ট-আপ বা উদ্যোক্তার সংজ্ঞায় কেউ যেন যেতেই চায় না। সে কথা আরেক দিন হবে। মূল কথায় আসি। তা হল কেন আমাদের ব্যবসাগুলো ডানা মেলতে পারে না? সহজ উত্তর, শিরোনেমেই বলেছিঃ “ব্র্যান্ডিং এ ব্যর্থতা”।

অনেকেই ভাবেন ফেসবুকে টাকা দিয়ে বুস্ট করলাম আর হয়ে গেল বিজনেস। আগে পিছে কোন প্ল্যানিং বা ব্রেইনস্টর্মিং ছাড়া এগিয়ে খুব ফায়দা হয়না এটা আমরা বরাবরই ভুলে যাই। আপনার বাজেট কম থাকতে পারে, এতে দোষের কিছু নেই। তবে আপনার উচিৎ হবে, রিসোর্স বা অর্থ যতটুকু আছে তার সঠিক ব্যবহার করা। এন্ট্রেপ্রিনিয়রশিপ এ সবচে প্রচলিত একটি টার্ম হল ROI = Return On Investment বা সোজা কথায় আপনার বিনিয়োগের বিপরীতে কতটুকু রিটার্ন পাচ্ছেন। বেশির ভাগই তো এটি নিয়ে ভাবেন না। কেউ হয়ত ব্যবসা শুরু করতে যেয়ে একবার ইউটিউবে এটি নিয়ে অত ঘাটতেও চান না। সব কিছুর মূলে হচ্ছে আমরা জেনেটিকলি একটু অধৈর্য্য। কিছু টাকা আছে, নিয়ে নেমে যাই কাজে… টাকায় টাকা আনে। কিন্তু অপরিকল্পিত নেমে যাওয়াতে টাকা খোয়াও যায় এটা ভুলে গেলে চলবে না।

যাই হোক। বাংলাদেশি ফেসবুক গ্রুপগুলোতে যত বেশি ব্যবসার চর্চা হয়… ততজন মনে হয় মেম্বারও নেই! খারাপ না বিষয়টা। তবে কথা হল কোয়ালিটি ভার্সেস কোয়ান্টিটি আমাদের মনে দাগ কাটে না, এই যা। ফেসবুকে আমরা যখন কোন প্রোডাক্ট-টিউন বুস্ট করি তখন মাথায় কেবল একটা বিষয়ই থাকে। আর তা হল কত টাকার সেল করতে পারব বা পারলাম। আমাদের রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট নির্ধারণ হয় কেবল মাত্র টাকার অংকে। যেটি একটি ভাবনার বিষয়। এবার ভাবুন যখন আপনি বুস্ট শেষ করেন, তখন কি ঘটে? আপনার ক্লায়েন্ট/কাস্টমার কি রিটেইন করে? থেকে যায় আপনার পেইজ বা সাইটে? আর হ্যাঁ! অনেকে তো দেখা যায় প্রমোশনের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ব্যবহারই করেন না। অনেকের আবার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা এতটাই কম বোধ করেন যে হয়ত দেখা যায় তার কোন ওয়েবসাইটই নেই! এবার ভেবে বলুন তো, আপনি কত ভাবে ব্র্যান্ডিং এর সুযোগ হারাচ্ছেন?

তখন আর বলতে শুনা যাবে না যে, ‘৪০, ০০০ টাকা বুস্ট করে ৩০, ০০০ টাকাও রিটার্ণ আনতে পারিনি!’ আসলে এর চেয়ে অনেক কম ইনভেস্টেও অনেক বেশি রিটার্ন সম্ভব। সব কিছুর মূলে কিন্তু ঐ যে ROI (Return On Investment) এটা মাথায় রাখা জরুরী। আর রিটার্ন যে সব সময় Monetary বা আর্থিক হবে এটাই কিন্তু নয়। হতে পারে সেটা সোশাল অর্থাৎ, কতগুলো লাইক, শেয়ার, টিউমেন্ট? কিংবা রিসোর্সও হতে পারে। যেমন, কত গুলো মেইলিং লিস্ট বা পোটেনশিয়াল কাস্টমারের কন্টাক্ট ডিটেইলস সংগ্রহ করলেন।

  • আমরা আরেকটি বড় বিষয় এড়িয়ে যাই, তা হল ভিডিও মার্কেটিং। ইউটিউব হল বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। ভিডিও মার্কেটিংকেও কোন ভাবে আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। প্রয়োজন সঠিক ভাবে প্ল্যান করে মার্কেটিং বাজেটকে শুধু মাত্র বুস্টের পেছনে খরচ না করে মাল্টিপল বিজনেস চ্যানেলের (ভিন্ন ভিন্ন সম্ভাবনার কথা বলছি, ইউটিউব চ্যানেল নয়) পেছনে খরচের সুষম বন্টন করে ব্র্যান্ড তথা সেলস ইঞ্জিন দাড় করানো।

আর আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। ভাবছি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন সেমিনারের মাধ্যমে আরো বিশদ বুঝানো যায় কি না। সেরকম ইচ্ছা থাকলে আমাকে টিউমেন্টে জানাতে পারেন।
আমার ইউটিউব চ্যানেল: https://youtube.com/walibd1

Level 3

আমি ওয়ালিউর রহমান। Founder & CEO, WaliBD, Uttara। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

একাডেমিকভাবে একজন এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকেই উপার্জনের হাতেখড়ি। এ ব্যাবসায় জড়িত আছি সেই ২০০৮ সাল থেকে। এখনো আছি...। নিজ প্রতিষ্ঠান WaliBD.Com এর মাধ্যমে তাই চেষ্টা করছি ডিফরেন্ট কিছু করবার। যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৯৪৬-৩৬৬৪৪৮


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুবই গুরুত্বপূর্ণ।