
যখন থেকেই মানুষ বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই চাঁদ এক চির রহস্যের বস্তু। কেউ বা সুন্দরকে চাঁদের মত আখ্যায়িত করেন কেউ বা আবার চাঁদের মধ্যে খুঁজে পান কলঙ্ক। আর ক্ষুধার্তের চোখে চাঁদ যেন ঝলসানো রুটির মত! চাঁদের যেমন রহস্যের অন্ত নেই তেমনি চাঁদকে নিয়ে মানুষের প্রশ্নের কোনো শেষ নেই। আর গবেষকরা তো চাঁদকে নিয়ে নতুন নতুন রহস্যের উদঘাটন করেই চলছে।
পৃথিবী থেকে সৌর জগতের যে উপগ্রহকে সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষনীয় দেখায় তা হলো চাঁদ যেটি কিনা পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ আর সৌর জগতের উপগ্রহের মধ্যে পঞ্ঝম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হলো ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার (২৩৮,৮৫৫ মাইল প্রায়) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ মত। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (প্রায় ২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে বেশি। এর মানে হলো, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর মোট আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ!
চাঁদ এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ। পৃথিবী পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয় তা হলে চাঁদের পৃষ্ঠে তার ওজন হবে মাত্র ২০ পাউন্ড। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে।
প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রিয় বারবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে।
বেরিকেন্দ্র নামে পরিচিত একটি সাধারণ অক্ষ রয়েছে যার সাপেক্ষে পৃথিবী এবং চন্দ্রের ঘূর্ণনের হয়। যার ফলে যে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সৃষ্টি হয় তা পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য অনেকটাই দায়ী।
জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য যে পরিমাণ শক্তি শোষিত হয় তার কারণে বেরিকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবী-চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তাতে বিভব শক্তি কমে যায়। এর কারণে এই দুইটি জ্যোতিষ্কের মধ্যে দূরত্ব প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে বেড়ে যায়।
যতদিন না পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার উপর চাঁদের প্রভাব সম্পূর্ণ প্রশমিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত চাঁদ দূরে সরে যেতেই থাকবে এবং যেদিন প্রশমনটি ঘটবে সেদিনই চাঁদের কক্ষপথ স্থিরতা পাবে।



১/ চাঁদে ফেলে আসা মলমুত্র ও বমির পরিমাণ ৯৬ ব্যাগ।
২/ নভোচারী দের মতে চাঁদের ধুলাবালির গন্ধ গানপাউডার বা বারুদ এর মতো।
৩/ পৃথিবীর যদি কোন উপগ্রহ না থাকতো তবে ২৪ ঘণ্টার বদলে ৬ ঘণ্টার দিন হতো।
৪/ পৃথিবীকে চাঁদ থেকে দেখলে পৃথিবীর ও অমাবস্যা ও পূর্ণিমার মত দশা দেখা যায়।
৫/ চাঁদে আপনার ওজন পৃথিবীতে আপনার ওজনের ১৬.৫% মাত্র।
৬/ আপনি যদি ঘণ্টা প্রতি ৬০ মাইল বা ৯৫ কিমি বেগে গাড়ি চালিয়ে চাঁদে যেতে পারতেন তবে আপনার চাঁদে পৌঁছাতে ৬ মাস সময় লাগতো।
৭/ বৃহস্পতি এর ৬৭টি, শনির ৬২ টি, ইউরেনাস এর ২৭ টি, নেপচুন এর ১৪ টি, মঙ্গল এর ২ টি এবং পৃথিবীর মাত্র ১ টি উপগ্রহ আছে।
আমি সোহেল আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সুন্দর। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।