জেনে নিন, হ্যালোইন ডে কি এবং কি তার ইতিহাস !

ইদানীং ফেসবুকে রং চং মেখে ভূত সেজে অনেক ফ্রেন্ডই ছবি সেয়ার করছেন। কিন্তু কেন এই রং ধং। সেই রং ধং নিয়েই আজকের টিউন। যদিও সম্পূর্ণই অফ টপিক তবুও আমার মনে হল সেয়ার করা উচিৎ।

হ্যালোইনের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিনটি অর্থাৎ ৩১ তারিখ মৃত আত্মাদের স্মরণে পালিত হয় এ দিবস। বিগত কয়েক বছরে প‍াশ্চাত্য ও প্রাচ্যের অলিগলির প্রায় সর্বত্রই হ্যালোইন ডে পরিচিতি পেয়েছে। আচ্ছা এই হ্যালোইন ডে-র উ‍ৎপত্তি কোথায় তা কি কেউ জানেন?

হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’ শব্দটি এসেছে স্কটিশ ভাষার শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে। হ্যালোইন শব্দের অর্থ ‘শোধিত সন্ধ্যা বা পবিত্র সন্ধ্যা’। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে ‘হ্যালোজ’ ইভ’ শব্দটি এক সময় ‘হ্যালোইন’-এ রূপান্তরিত হয়।

প্রায় দুই হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করতো কেল্টিক জাতি। নভেম্বরের প্রথম দিনটি তাদের নববর্ষ বা ‘সাহ-উইন’ হিসাবে পালন হতো। এই দিনটিকে তারা গ্রীষ্মের শেষ এবং অন্ধকারের বা শীতের শুরু মনে করতো। আর অক্টোবরের শেষ একটি দিনকে মনে করতো সবচেয়ে খারাপ রাত, যেই রাতে সকল প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মা তাদের মাঝে ফিরে আসে। এদের সঙ্গে যদি মানুষের দেখা হয় তবে সেই মানুষের ক্ষতি হতে পারে। আর তাই মানুষরা এই রাতে বিভিন্ন রকম ভূতের মুখোশ ও কাপড় পরে কাটাতো। আর রাতের বেলা আগুনের পাশে মুখোশ পরে বৃত্তাকারে একসঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে মন্ত্র বলা, নিজের পরিবার ছোট হলে অন্যের বাড়িতে থাকাসহ সামাজিক ভাবে একত্র হত। সময়ের পরিক্রমায় কেল্টিক জাতির এই ‘সাহ-উইন’ উৎসবই এখনকার দিনের ‘হ্যালোইন’ উৎসব। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে দুটো ব্যাপার জড়িত। একটা হল ট্রিক অর ট্রিট, আর আরেকটি হল জ্যাকের বাতি। ছোট ছোট বাচ্চারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে আর দরজা নক করে বলে ট্রিক অর ট্রিট, তখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের ঝুলিতে কিছু ক্যান্ডি বা খাবার দাবার দিয়ে দেয়া।

অক্টোবরের ৩১ তারিখ মৃতের দেবতা সামান সব মৃত অ‍াত্মাদের পৃথিবীতে আহ্বান জানান। ওইদিন উড়ন্ত ঝাড়ুতে করে হ্যালোইন ডাইনি সারা উড়ে বেড়ায় অ‍াকাশ জুড়ে। কখনওবা সবুজ খরখরে দেহের ডাইনি বুড়ি কড়া নাড়ে কোনো বাড়ির দরজায়। হ্যালোইনের দিনটি সম্পর্কে লোকজ ধারণা এটি। এবার আসি উৎসব প্রসঙ্গে, হ্যালোইন উৎসব পালনের শুরুটা ছিলো মধ্যযুগে। আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ডের উচ্চ ভূমি ও ফ্রান্সের উওর অংশ জুড়ে তখন কেল্টিক সভ্যতা বিস্তার। প্রাচীন কেল্টদের পালিত সামহাইন উৎসব থেকেই মূলত হ্যালোইনের সূত্রপাত।

যত ভূত-প্রেত আছে, সবাই নাকি এ রাতে চলে আসে লোকালয়ে। আর সেই সব ভূত-প্রেতদের খুশি করতে না পারলে তো বিপদ! আর সে জন্যই এই রাতটিতে পালন করা হয় হ্যালোইন উৎসব। অক্টোবর মাসের শেষ দিনে এই হ্যালোইন পালন করা হয়। এই হ্যালোইন পালন করা নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় মাতামাতির শেষ নেই। রাতটি উদযাপন করতে সেখানে প্রস্তুতি চলে মাসজুড়েই। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই হ্যালোইন পালিত হয়। ইউরোপ-আমেরিকায় তো বটেই, পালিত হয় জাপানে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে এমন কি বাংলাদেশেো।

দিনটি এমনকি ঘটা করে পালন করে ইউনিসেফও। তাদের সঙ্গে যুক্ত শিশুদের অনেকেই এদিন ভূত সেজে ট্রিক অর ট্রিট খেলার ছলে সংগ্রহ করে তহবিল। আর সে তহবিল খরচ হয় অসহায় শিশুদের জন্য। 

ধন্যবাদ আর্টিকেলটি কষ্ট করে পরার জন্য। যেকোনো জিজ্ঞাসা এবং অভিযোগের জন্য নক করতে পারেন আমার ফেসবুক প্রফাইলে(Imtiyaz Bin Ahmed) 

Level 0

আমি ইমতিয়াজ বিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সুন্দর লিখেছেন

Level 0

good

Level 0

nice

সত্যি হলে এটা সম্পূর্ণ খ্রিষ্টান দের একটা অনুষ্ঠান। আর কিছু পোলাপান না বুঝেই এটা নিয়ে মাতামাতি শুরু করে দিছে। আপনার এই টিউনের মাধ্যমে যদি তাদের হাব ভাব কিছু টা ফিরে

Level 2

Bro Bengali ja pay tai khay.joto din amora ei na buje matamati na sarbo totodin amader unnoti Hobe na.thanks for ur post.

বিষয় টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

অফ টপিক হলেও পড়ে বেশ ভাল লাগলো, ব্যাপারটা জানতাম না। ধন্যবাদ

কেল্টিক জাতি সম্পর্কে জানতাম । তাদের জীবনযাত্রা বেশ চমকপ্রদ 😀