জানুন আগামী দিনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে!!!!!

যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো। বিশ্বের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখান থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনেক ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান এখান থেকেই ফুলে ফেঁপে বড় হয়েছে। তাই সানফ্রান্সিসকোর প্রতি নজর থাকে বিশ্বের সব বড় বড় ব্যবসায়ীদের। বিজনেস ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদেনে এই সময়ের সানফ্রান্সিসকোর সম্ভাবনাময় ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়েছে। সেখান থেকে ৫টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা তুলে ধরা হলো, যারা আগামী দিনের প্রযুক্তি দুনিয়া মাত করবে অনায়াসে।

১. প্যারেন্টহুডস

প্যারেন্টহুডস, এর আইডিয়া জেনি এজলাইনের মাথায় আসে যখন তিনি প্রথম মা হন। সারা দিন বাসায় একা থাকতে হতো। এই বিষয়টা খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল তাঁর জন্য। এই ভাবনা থেকেই তিনি শুরু করেন মোবাইল কমিউনিটি প্যারেন্টহুডস। এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বাবা-মায়েরা তাঁদের নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন অন্যদের সাথে। সন্তান জন্মদানের আগেপরে কী কী বিষয় মেনে চলতে হয়, কী কী ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলে। তাই জেনির মতো আর একা সময় কাটাতে হয় না কাউকে। সবাই মিলে একটা বড় পরিবার।

এখানে যেমন তাঁরা মাতৃত্বজনিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন, তেমনি চাইলে একজন আরেকজনের সাথে দেখাও করেন। দেখা গেল একজন আরেকজনকে ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন। কোন ডাক্তার এ বিষয়ে ভালো হবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। বাচ্চাদের জামাকাপড়ও কেনাবেচা করেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা বাচ্চাদের লালন পালন বিষয়ে ব্লগ লেখেন প্যারেন্টহুডসের ওয়েবসাইটে।

২০১৪ সালে প্যারেন্টহুডস ছিল সানফ্রান্সিসকোর একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যা নারীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই উদ্যোগে জেনির সাথে রয়েছেন সিয়োভান কুইন। গত বছরের আগস্টে যাত্রা শুরু করা প্যারেন্টহুডসে এখন ১০ লাখ ৩০ হাজার ডলারের মতো বিনিয়োগ রয়েছে।

প্যারেন্টহুডসের ওয়েবসাইট : http://parenthoods.co/

২. ব্যানারম্যান

হরহামেশাই যাদের পার্টি আয়োজন করতে হয় তাদের জন্য খুবই উপকারী অ্যাপ ব্যানারম্যান। এই অ্যাপটি আপনাকে বাউন্সার বা নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহ করবে। অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে কবে, কোথায়, কখন আপনার বাউন্সার লাগবে। সেই সাথে আপনাকে বাউন্সারদের সাজেশন এবং ছবি দেখানো হবে। সেখান থেকে আপনি বাউন্সার নির্বাচন করতে পারেন। মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যেই আপনার নিরাপত্তায় পৌঁছে যাবে বাউন্সার। আর এর জন্য ঘণ্টায় আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ৩৫ ডলার।

এই বাউন্সারদের সবাই প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ। কেউ এর আগে সেনাবাহিনীতে ছিলেন আবার কেউ অন্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে। পার্টি ছাড়াও বাসা এবং অফিসের নিরাপত্তার জন্য বাউন্সার সরবরাহ করে থাকে ব্যানারম্যান।

এর উদ্যোক্তা ক্রেইগ মার্টিন ও কার্টিস লি। গত বছরের জুনে চালু হওয়া এই সেবায় বিনিয়োগ রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার ডলারের মতো। চাইলে এদের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন : http://getbannerman.com/

৩. হ্যাকারওয়ান

হ্যাকিং নিয়ে মার্কিন সরকার থেকে চীনা সরকার সবাই খুব চিন্তায় আছে। হ্যাকারদের ওপর কোনো ভরসা নেই, এরা যে কোনো সময় যে কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে। হ্যাকারদের বিদ্যাবুদ্ধিকে সুপথে পরিচালিত করার চিন্তা থেকেই হ্যাকারওয়ান ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু। এখানে খারাপ হ্যাকারদের ভালো করা হয়। তাদের ভালো কাজে নিয়োজিত করা হয়। নিরাপত্তা ভঙ্গ নয় বরং হ্যাকিংয়ের জোরে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

হ্যাকিংয়ের কারণে কেউ কোনো বিপদে পড়লে হ্যাকারওয়ানের হ্যাকাররা তা থেকে মুক্তির উপায় বাতলে দেন। তার হয়ে মাঠে নেমে পড়েন হ্যাকাররা। আর মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা তথ্য যেন সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা সারিয়ে দেন হ্যাকাররা। এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নেন তাঁরা।

চমৎকার এই আইডিয়া নিয়ে হ্যাকারওয়ানের উদ্যোক্তারা হলেন জোবার্ট আবমরা, মিচেল প্রিন্স, অ্যালেক্স রাইস ও মেরজিন থ্রেগেন। ৯০ লাখ ডলারের মূলধন সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, ২০১৩ সালের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করেছিল হ্যাকারওয়ান।

ওয়েবসাইট :  https://hackerone.com/

৪. লাক্স ভ্যালেট

যাঁরা নিজেরাই গাড়ি চালান, তাঁরা জানেন পার্কিংয়ের সমস্যা কতটা ভয়াবহ। এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে লাক্স ভ্যালেট। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নিজের গন্তব্যের কথা জানিয়ে দেবে অ্যাপ্লিকেশনটিতে। আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লাক্স ভ্যালেটের একজন কর্মী সেখানে চলে যাবেন এবং আপনি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সেখানে আপনার গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা সে নিশ্চিত করবে। আপনি যাবেন, সে আপনার গাড়িতে চড়ে বসবে। পার্কিংয়ের জায়গায় নিয়ে যাবে আপনাকে। এই সময়ে আপনার যদি গাড়ির কোনো কাজ করাতে হয়, তাহলে তাও করে দেবে লাক্স ভ্যালেটের কর্মীরা। যেমন গাড়ি ধোয়া বা গ্যাস ভরার প্রয়োজন পড়লে সে কাজটা তারা করে দেবে।

আর এই সেবা পেতে ঘণ্টায় পাঁচ ডলার, দিনে ১৫ ডলার দিতে হবে আপনাকে। এটা এই ধরনের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সস্তা। এর উদ্যোক্তা ক্রেইগ মার্টিন এবং কার্টিস লি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়াই কোটি ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে লাক্স ভ্যালেটে। গত বছরের অক্টোবরে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

ওয়েবসাইট :  http://luxevalet.com/

০৫. ব্লুমদ্যাট
মাত্র দুই বছর হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটির। এদের মূল কাজ ফুল সরবরাহ করা। সানফ্রান্সিসকো এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন এলাকায় ফুল সরবরাহ করে তারা। আর মাত্র ৩৫ ডলারের বিনিময়ে আপনি এই সেবা নিতে পারবেন। তবে ফুলের পরিমাণ এবং পৌঁছে দেয়ার দূরত্ব অনুযায়ী এর হেরফের হয়। প্রিয়জনকে ফুল পাঠাতে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অর্ডার দিতে পারেন। সেটা মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে দেবে ব্লুমদ্যাট।
ম্যাথিউ স্কোয়াব, চাদ পাওয়েল ও ডেভিড ব্ল্যাডো এর উদ্যোক্তা। ২০ লাখ ডলারের মতো বিনিয়োগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করেছিল ব্লুমদ্যাট।

ওয়েবসাইট : http://www.bloomthat.com

সৌজন্যে : www.ntvbd.com– বাংলাদেশের একমাত্র ইনফোটেইনমেন্ট পোর্টাল

Level 0

আমি তানভীর আহম্মেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস