মুখস্থবিদ্যা পরিহার করবেন যেভাবে এবং সাথে কিছু টিপস…………

মুখস্থবিদ্যা কী?

মুখস্ত করা শব্দটি ইংরেজি প্রতিশব্দMemorize. মুখস্থ বলতে আমরা বুঝি কোন কিছুকে না বুঝেই বার বার পড়ার মাধ্যমে স্মৃতিতে ধরে রাখা বা স্মৃতিতে ধারণ করার চেষ্টা।
মুখস্ত বিদ্যা আজ সর্বত্রই প্রচলিত। একেবারে শিশুবেলার অ, আ, ই কিংবা ১, ২, ৩ পড়া হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এর গণ্ডি । মুখস্থ মুখস্থ মুখস্থ -সর্বত্রই এর প্রচার ও প্রসার। শিক্ষকরাও মুখস্থবিদ্যাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।

মুখস্থবিদ্যার প্রভাব

আমরা যে মস্তিস্কের (Brain) দ্বারা পড়া মুখস্থ করি তার স্বাভাবিক প্রবণতা হলো চিন্তা করা। মুখস্থ করার মানে এই স্বাভাবিক প্রবণতার বিরুদ্ধে যাওয়া। মুখস্থ বিদ্যার ক্ষতির দিক হলো এটা আমাদের চিন্তা শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়। মুখস্থ বিদ্যার মাধ্যমে ভালো ফল করলেও এটা ক্ষতিকরই বটে। কারণ, এটা চিন্তা শক্তিকে অকেজো করে দিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে কঠিনতর করে দেয়। এসব শিক্ষার্থী যত ওপরের ক্লাসে উঠবে, তার কাছে পাঠ তত জটিল আর কঠিন মনে হবে। যাদের চিন্তাশক্তি সতেজ, এখানে তারাই ভালো করবে।
মুখস্তবিদ্যা পড়াশোনার আনন্দকে মাটি করে দেয়। পড়াশোনার মাঝে যে আনন্দ আছে তা শিক্ষার্থীরা লাভ করতে পারেনা। আবার কোন কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা স্মৃতিতে বেশিদিন ধরে রাখাও সম্ভব নয়। এ অবস্থায় চিন্তাশক্তি বা বুঝশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

কীভাবে পরিহার করবেন?

এ মুখস্থ বিদ্যা কিভাবে পরিহার করবেন তার কিছু টিপস নিম্নে দেয়া হলো-

  • পাঠ্যপুস্তকটি প্রথমত মনযোগ দিয়ে ২ থেকে ৩ বার পড়-ন। সামগ্রিক বিষয়টি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা নিন। এবার পুরো বিষয়টি বোঝার পর, কিছু প্রশ্ন তৈরি করে ফেলুন।
  • যখন পাঠ করছেন সমসাময়িক বিষয়কে কাছে রাখুন। পাঠকে তার সাথে মেলাতে চেষ্টা করুন।
  • পড়ার সময় আপনার বাস্তব জীবন বা বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে পাঠ্য বিষয়ের সম্পর্ক বের করুন এবং তা নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করুন।
  • পড়ার বিষয় নিয়ে অন্যদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করুন।
  • পড়ার যে বিষয়টি সহজে মাথায় ঢুকছে না সেটা একটু গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। না বুঝলে আপনার আয়ত্তে থাকা অভিধান বা উচ্চতর শ্রেণীর বই থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।
  • এরপরও না বুঝলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিংবা শিক্ষক বা সিনিয়র কোন ভাই বোনের শরনাপন্ন হতে পারেন।
  • তোতা পাখির মত না পড়ে, আস্তে আস্তে বুঝে বুঝে পড়ুন।
  • আপনি যে বিষয়টি পড়ছেন সে বিষয়ে আগ্রহী বা বিষয়টির চর্চা করে এমন কারো সাক্ষাৎ পেলে তার সাথে আলোচনা করুন।
  • পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পড়া বা লেখার সময় নিজ ভাষায় পড়তে এবং লিখতে চেষ্টা করুন। এতে স্বাভাবিকভাবেই আপনার চিন্তাশক্তি কাজ করবে।
  • পড়াশোনাকে বা কোন বিষয়কে সহজে বুঝতে হলে, তার পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ুন।বাইরের বই আপনার চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে দেবে

শেষ কথা

মুখস্থবিদ্যা পরিহার করবেন মানে এই নয় সচেতনভাবে কোন কিছু মনে রাখবেন না। আপনার বিভিন্ন টুকরো তথ্য, যেমন- সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যাক্তির নাম ইত্যাদি মনে রাখতে হবে- কী মনে রাখছেন, কেন মনে রাখছেন, এর সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক কী তা বের করুন। এছাড়াও বিজ্ঞানের কোন সূত্র কিংবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আয়ত্ত্ব করতে সেটা আগে বুঝুন পরে মুখস্থ করুন। এতে আপনার চিন্তাশক্তি যেমন ধারালো হবে তেমনি মুখস্থবিদ্যার কুফল থেকে রেহাই পাবেন ।

সুত্রঃ Currentissubd.com

ভালো লাগলে কমেন্ট দিবেন...।।

আর হ্যাঁ, অভ্র যারা ভালো জানেন তারা একটু জানাবেন কি? কিভাবে 'ভালো' লিখব? অভ্র দিয়ে এটা লিখতে গেলে লেখা হয় "ভালেয়া" সমাধান চাই।

Level 0

আমি তমাল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 284 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুব উপকারি একটা টিউন। অথচ এখন পর্যন্ত কারো মন্তব্য দেখছি না।
মাঝে মাঝে খুব হতাশ লাগে এসব দেখলে। ভাল জিনিষের মুল্য কম! যেমন কেউ ভাল একটা ছবি বানালে কেউ দেখবে না অথচ নাচানাচি ওয়ালা ছবি পাবলিক ঠিকই দেখবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আর অভ্রতে ভালো লিখতে হলে valO টাইপ করুন।

    ধন্যবাদ হাসান ভাই।
    আপনার টিপসটা কাজে লাগিয়ে লিখলাম ” ভালো”।

    Level 0

    একই ভাবে সব কিছুই এভাবে লিখবেন
    যেমন
    কালো= kal_Shift-o

    thik bolacan vi. i also agree with you

thanks for the tips.

    ধন্যবাদ আপনাকেও

থ্যাঙ্কস ভাই,ভাল লেগেছে।
http://alertpal.cz.cc

    থ্যাঙ্কস আপনাকেও

আচ্ছা মুখস্ত না করে কি এ+ পাওয়া যাবে।

    অবশ্যই। কেন নয়? ভাই শিক্ষক পরীক্ষার খাতায় দেখে ছাত্রর প্রশ্ন সম্পরকে কতটুকু ধারনা আছে। সেই অনুযায়ী লিখতে পেরেছে কিনা।
    তবে হ্যা, কিছু কিছু টার্ম মুখস্থ করতে হয় সেটা ভিন্ন কথা।

ভাই মুখস্থ বিদ্যা কমানোর উপদেশ দিলেন। সে জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমার তো মনে থাকে কম। সাল, তারিখ, নাম ইত্যাদি মনে রাখার কোন টিপস্ দিবেন।

    সাল, তারিখ, নাম আপনি যা মনে রাখতে চান, সেগুলোকে আপনার জীবনে ঘটে যাচ্ছে বা তার সাথে সম্পর্কিত এদের সাথে মেলানোর চেষ্টা করুন অথবা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

আসলেই একটা ভাল এবং কাজের টিউন। ধন্যবাদ। আশাকরি ভাল ভাল টিউন উপহার দিবেন।

    সাঈদ ভাই দোয়া করবেন।

খুবই একটা ভাল ও উপকারি প্রতিবেদন উপস্থাপনার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।টিউনটি খুবই ভাল হয়েছে।

    আতাউর ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Level 3

অনেক ভাল টিউন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

thanks for your tune

মুখস্ত না করে a+ পাওয়া যায়।তার বড় প্রমান আমি নিজেই।আমি শুধু ইংলিশ,হিসাববিজ্ঞান আর গনিত পড়তাম।বুঝে পড়তাম।পরীক্ষার আগের মাসে শুধু বাকি বিষয় গুলু একটু বার বার পড়তাম।কিন্তু মুখস্ত করতাম না।আমি না বুঝে খালি খালি পরীক্ষার নাম্বার পাবার উদ্দেসে মুখস্ত করাকে মন থেকে ঘৃনা করি।

জটিল টিউনস ভাইজান।

মুখস্থ যে করেছিল যে কোন ভারসিটিতে টিকে নি, অথচ মেডিকেলে টিকেছে।

Level 0

গুরুত্ব পূর্ন বিষয় বটে, ধন্যবাদ আপনাকে

Level 0

স্বাগতম টিউনিং এন্ডে
বাউন্ডারি হতে ১টা শট এখন বাকি
তবে টিউন সম্বন্দে বলব কিছু স্ন্যাপশট এড করলে মনে হয় পুরো টিউনটা আরো বেশি প্রশংসার দাবিদার হত

আর হা টিউনের মান অবশ্যই ভাল হতে হবে

    দোয়া করবেন এফএম ভাই।

Level 0

ধন্যবাদ আপনাকেভাল টিউন ।

টিউনটি খুবই ভাল হয়েছে।

thanks

কাজের জিনিস