দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিভাবে বুদ্ধি খাটানো হয়েছিল? সাথে রিংটোন বানানোর টিপস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর নেতা এডলফ হিটলার এবং তার মিত্র দেশগুলো ইউরোপ এবং এশিয়া দখল করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল এবং তাদের আদর্শ সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্যান্য যুদ্ধের সময়ের চেয়ে ১৯৩৯-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত অশ্ত্র সশ্ত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছিল। যা সাধারন মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। যার মধ্যে জাপানের প্রধান দুটি শহর হিরোশিমা এবং নাগাসাকি উল্যেখযোগ্য। যার অবস্থা এখনও মানুষকে স্বরন করিয়ে দেয় বিশ্বযুদ্ধের তৎকালীন অবস্থার কথা।


যুদ্ধের সময় জার্মানীর সৈন্যদের শপথ নেবার দৃশ্য এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিছু নতুন পদ্ধতির অশ্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল এবং খুবই দৃঢ়তার সাথে কিছু চালাকি করা হয়েছিল যা আজও মানুষকে নতুন নতন কলাকৌশল সম্পর্কে ধারনা দেয়।

The Electric Gun


Electric Gun এর ধারনা মূলত Nazis দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল যা অনেক দূরের লক্ষ্য বস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিল। সেই বন্ধুকটি মিনিটে ৯০ মাইলের দূরত্বের লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছিল। এর সেলটি ছিল মাত্র ৬ ইঞ্চির। এটিকে ব্যবহার করা হত মূলত অশ্ত্রের গুদামের খুব কাছ থেকেই এবং মিত্র দেশগুলোতে ব্যাপক পরিমানে সরবরাহ করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে এই অশ্ত্রটি ব্যাপকভাবে শত্রুবাহিনীর কাছে হুমকীস্বরূপ ছিল।

The Goliath Tank Buster


Goliath ট্যাঙ্ক Buster জার্মান বিজ্ঞানীরা যুদ্ধের সময় একটি প্রত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত tank-shaped যান পরিকল্পনা করেছিল। এইটি উচ্চতাতে প্রায় চার ফুট দীর্ঘ, দুই ফুট প্রশস্ত এবং মোটামুটি গতিতে চলতে সক্ষম ছিল। এটির উপর একটি ট্যাঙ্কি ছিল যেটাতে ৭৫ কেজির মত বিষ্ফেরক দ্রব্য রাখা যেত এবং এটাকে সম্পূর্নভাবে দূর থেকে জার্মানীর বিজ্ঞানীরা নিয়ন্রন করেছিল। তবে বেশীরভাগ সময়ই এটাকে ব্যবহার করা হয়েছিল দালান ধ্বংসের কাজে।

Fire Balloons


১৯৪৪ সালে জাপানের সৈন্যবাহিনী ৯০০০ বেলুনকে পাঠিয়েছিল আমেরিকা এবং কানাডা কে লক্ষ্য করে। যেগুলো ভর্তিছিল বোমা অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যে এবং লক্ষ্য করা হয়েছিল আমেরিকা এবং কানাডার মূল শহর, বন এবং আবাদী জমি। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বিস্ফোরন এবং অগ্নিকান্ড ছড়িয়ে দেয়া যেখানে ৯০০০ বেলুনের মধ্যে অন্তন ১০০০ টি বেলুন যেন সফলতা পায়। জাপানের উচ্চ আশা সত্তেও এই মিশনে আমেরিকার মাত্র ৬ জন লোক মারা গিয়েছিল। তারপরেও তারা আশা ছাড়েনি প্রায় ৬ মাস ধরে এই বেলুন গুলোকে মিশনে পাঠানো হয়েছিল।

Railway Guns


Railway Guns ব্যপকভাবে সফলতা পেয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। তবে এটা ১৯ শতকের প্রথম দিকেই ব্যবহার শুরু হয়েছিল। যার নকশা তৈরি করেছিল Krupp weapons manufacturers ১৯৩০ সালে। তবে ২টি Railway Guns সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা হয়েছিল যাদেরকে ‘Schwerer Gustav’ and ‘Dora’ নামে আমরা জেনে থাকি। এই অশ্ত্রগুলো চারদিকের গোলাকার আকৃতি সহ ছিল ১,৩৫০ টন এবং এটার সেল ছিল ৭ টন যা ৩৭ কিলোমিটার বা ২৩ মাইল দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ছিল।

The Pigeon-Guided Missile


আমেরিকান চিন্তাবিদ B.F. Skinner একটি সুক্ষ্ম চিন্তা করেছিলেন যার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে The Pigeon-Guided Missile অস্ত্রটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছিল। যার প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছিল ‘Project Orcon’। যার সফলতার ফলে পৃথিবীর প্রথম The Pigeon-Guided Missile তৈরি করা হয়েছিল।

The Flying Jeep


যুক্তরাজ্য ১৯৪০ সালের দিকে জিপের উপরে হেলিকপ্টারের মত ব্লেডের পাখা লাগাতে চেষ্টা করেছিল। এটা গবেষনার জন্য কিছু পাথর এর মধ্যে রাখা হয়েছিল যেগুলোর ভারে জিপটি অল্পকিছু উপরে উঠেই আবার মাটিতে অক্ষত অবস্থায় পরে যায়। কিন্তু ১৯৪৩ সালের দিকে এই গবেষনাটি সাফল্যের মুখ দেখতে পায় যা একসাথে ৬৫ মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।

The Poisoned Dart Bomb


১৯৪১ এবং ১৯৪৪ সালের এর মধ্যে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা একটি projectile বোমা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যেটা পূর্ন ছিল বিষাক্ত কোন দ্রব্য দ্বারা। অস্ত্রটিতে একটি lethal বিষের সঙ্গে অ্যানথ্রাক্স সম্ভবতভাবে হবে মিশ্রিত হয়েছিল। এই বোমাটি একইসাথে ৩০৬০০ টি নিডিল (ইনজেকশনের সূচ বিশেষ) বহন করত যা একজন মানুষকে আধাঘন্টার মধ্যে মৃত্যুবরন করতে বাধ্য করত।

Anti-Tank Dogs


Anti-tank dogs অথবা dog-bombs এটা শূলত ট্যাংক ধ্বংস করার একটি কৌশল। এই মিশনে পাঠানোর আগে কুকুর গুলোকে কিছুদিন ক্ষুধার্ত রাখা হত। যেখান দিয়ে ট্যাংক চলাচল করতে পারে সেইখানে কুকুরের খাবার দিয়ে রাখা হত যখনই ট্যাংক প্রবেম করত এবং তখনই কুকুরগুলোকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কুকুরগুলো প্রশিক্ষন প্রাপ্ত থাকত। কুকুরগুলো খাবারের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে পৌছলে ট্যাংকগুলোর সাথে স্পর্ষ করলেই ট্যাংকগুলো বিষ্ফোরিত হত কেননা কুকুরগুলোর সাথে শক্তিশালী বোমা বাধা থাকত। সোভিয়েত রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর ৩০০ ট্যাংককে এভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল।

যেভাবে আমি রিংটোন তৈরি করিঃ

অনেকেই বিভিন্ন সফটওয়ার ব্যবহার করে থাকেন প্রিয় মোবাইলটর রিংটান বানানোর জন্য। তবে আমি অন্য কোন সফটওয়ার ব্যবহার করি না একটি কনভার্টার দিয়েই প্রায় আমার সবরকমের ফাইল কনভার্ট করে থাকি। আজকেও একজন রিংটোন বানানোর সফটওয়ারের সিরিয়াল জানতে চেয়েছিলেন। যখন একটি কনভার্টার দিয়েই আপনি এতগুলো কাজ করতে পারবেন তখন অন্য কোন সফটওয়ার খজবেন কেন? যাই হোক সফটওয়ারটি ব্যবহারবিধিও খুবই সহজ তারপরও সকলের সুবিধার্থে তুলে ধরলাম।

# এখানে ১নং পদক্ষেপ বুঝানো হয়েছে যে ফাইলটি কনভার্ট করতে চান সেই ফাইলটি প্রবেশ করানো।
# ২ নং পদক্ষেপে দেখানো হয়েছে কোন ফরমেটে আপনার ফাইলটি কনভার্ট করতে চাচ্ছেন। সেটি পছন্দ করে দিন।
# ৩নং পদক্ষেপে বুঝানো হয়েছে কম্পিউটারের কোথায় আপনার ফাইলটি সেভ করে রাখতে চাচ্ছেন।
# ৪ নং পদক্ষেপে বুঝানো হয়েছে কত বিট রেটে আপনি ফাইলটি কনভার্ট করতে চাচ্ছেন। এখানে ৬৪ কে.বি থেকে ৩২০ কে.বি পর্যন্ত বিট রেটে ফাইল কনভার্ট করতে পারবেন।
# ৫ নং পদক্ষেপটি একটু জটিল। আপনি প্রথমে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন। কত সময় থেকে Mp3 ফাইলটি কাটতে চাচ্ছেন। মনে করুন আপনি ১০ সেকেন্ড সময়ের পর ফাইলটি কাটা শুরু করতে চাচ্ছেন। তাহলে Start Time এ লিখুন 00:00:10 এবং কত সময়ের পর ফাইলটি কাটতে চাচ্ছেন। মনে করুন ৪০ সেকেন্ডের একটি রিংটোন বানাতে চাচ্ছেন। তাহলে Duration-এ হবে 00:00:40। আশা করি এবার নিজেরাই পারবেন। আমার কাছে এটা খুব ভাল লাগে বলেই আপনাদের জানালাম। আর এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

Level 0

আমি রাখাল বালক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 202 টি টিউন ও 1117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

এদেশের ৯৯% মানুষই কোন না কোন ভাবে দূর্নীতির সাথে জড়িত। হয়ত কেউ ঘুষ দেয় অথবা কেউ নেয় দুটোই তো সমান অপরাধ। আর মায়ের পেটে থাকা শিশুটিও দূর্নীতির অর্থে কেনা খাবার খেয়ে বড় হয়ে উঠে। আর আমরা আশা করছি দেশপ্রেমিক এক নেতা। এটা নিম গাছ লাগিয়ে আম আশা করার মত হয়ে...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

    আবার ইঙ্গিতে কমেন্ট করা শুরু করলা।

হাসিব ভাই রিংটোন বানানোর সফটত্তয়ারের ডাউনলোড লিংকটি তো ERROR দেখাচ্ছে

    কইরে ভাই আমার কাছে তো কোন ERROR দেখাচ্ছে না।

    Sorry ভাই এখন ঠিক আছে … Hmmmm ভালোই + জটিল । Thnx for ur tunes…. 🙂

হুম, মানউন্নায়নের চেস্টা চলতেছে নাকি? আগের থেকেও ভালো লেখা দেখতেসি… 😀

    আরে না মিয়া, তবে এইরকম টিউনগুলোর মোটেও আমি সাপোর্ট করছি না কেননা এগুলো শুধামাত্র কিছু জানা যায় তবে একজন কম্পিউটার ব্যবহার কারীর এই তথ্যগুলো খুব কমই উপকারে আসে। সাম্য আমার কথাটি আশা করি বুঝতে পারছ।

ভালোই হাসিব ভাই….. একটু ভিন্ন স্বাদ আছে…

    হুমম শুভ থাকাটাই বাঞ্চনীয় কারন একই রকম টিউন করলে তো আর স্বাদ পাওয়া যায়না।

জট্রিল হইছে।দাওয়াতটা জট্রিল হইলেই হয়।হাহাহাহাহা

    হুমম আপনের জন্য আজকেই রান্না কইরা রাখমু আপনি আসলেই খাবার দিমু।

    আমার দাওয়াত কই? এইসব কি হাসিব?

    কি কি রান্না হচ্ছছে? আমি তা আজ থেকেই খাওয়া বন্ধ করে দেব। তা হলে বেশি করে খেতে পারবো……হে হে হে

    good job

Level 0

Hasib vai that’s great, But i use youtube downloader it simply Easy… Just to enjoy it first download the file only 2.95MB. After installing run the downloader then select convert video > select video file> convert to … select as you need for ringtune …. MPEG audio layer (mp3) > ok>ok or cut video then select the start time and end time > ok = Done.

Get it from >>>>>> http://download.cnet.com/YouTube-Downloader/3000-2071_4-10647340.html

ভালই হয়েছে।বোনাসটা কাজে লাগাই।ভাইয়া আমাই রিমুভে করলা কেন?

CD/DVD THAKA FILE GULA DELETE KORE BLANK CD BANANO JAI N SCRACTH PORA CD TE REMOVE KORAR JOONO KON CLEANER VALO.REPLY CHAI.

চমৎকার প্রচেষ্টা। অস্ত্র সংক্রান্ত প্রবন্ধটিতে কয়েকটি জায়গায় অনুবাদে অর্থ পরিবর্তন হয়ে গেছে, সেগুলো একটু সম্পাদনা করলে আরো ভালো হয় …

সূত্র-১
সূত্র-২

Level 0

গুড জব ম্যান৷

হাসিব তুমি ও তারেকমাহমুদ আমাকে তারাতারি তোমাদের মোবাইল নম্বর মেইল কর । ইমেলইঃ [email protected]. hurry up

    Hasib is out of network.he just request me to ask you….why? I mean if you just clear the reason..then it will be easier to contact you.