
বাংলাদেশে অনলাইনে আয় এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতা। হাজারো ফ্রিল্যান্সার, ব্লগার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার এবং ই-কমার্স উদ্যোক্তা প্রতিদিন ডলার ইনকাম করছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে — সেই ডলার বাংলাদেশে আনার নির্ভরযোগ্য উপায়।
বিশ্বের অনেক দেশে PayPal সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়ে হলেও বাংলাদেশে এখনো এটি অফিসিয়ালি সাপোর্ট করে না। এ কারণে যারা অনলাইনে আয় করেন, তাদের জন্য PayPal ছাড়া বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা জরুরি।
আজকের এই টিউনে আমরা ২০২৫ সালের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী পেপ্যাল ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ডলার রিসিভ করার ৫টি বিশ্বস্ত উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। শুধু উপায় বলবো না, প্রতিটির সুবিধা, অসুবিধা, ব্যবহারবিধি এবং নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা থাকবে।
Payoneer হলো বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে। প্রায় সব বড় মার্কেটপ্লেস যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer, Amazon, Walmart, Getty Images — সরাসরি Payoneer এর সাথে যুক্ত।
Payoneer ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য দিয়ে ভেরিফাই করুন।
Fiverr/Upwork/অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে পেমেন্ট মেথড হিসেবে Payoneer যুক্ত করুন।
আয় করা ডলার সহজেই ব্যাংকে বা কার্ডে নিয়ে আসতে পারবেন।
Wise মূলত আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস। এটি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করে এবং আপনি ডলার, ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রা পেতে পারেন।
Wise অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট খুলুন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করুন।
ক্লায়েন্টকে আপনার Wise ডিটেইলস দিন।
পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংকে পাবেন।
Skrill হলো একটি ই-ওয়ালেট, যা বাংলাদেশে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা গেমিং, অনলাইন ট্রেডিং বা বেটিং সাইট থেকে আয় করেন, তাদের জন্য Skrill বেশ জনপ্রিয়।
Skrill ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইনআপ করুন।
NID বা পাসপোর্ট দিয়ে ভেরিফিকেশন করুন।
ক্লায়েন্টকে আপনার Skrill ইমেইল দিন।
টাকা ব্যাংক/মোবাইল ওয়ালেটে তুলতে পারবেন।
২০২৫ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেমেন্ট একটি বড় বিকল্প হয়ে উঠেছে। যদিও বাংলাদেশে আইনগতভাবে এখনো স্পষ্ট অনুমোদন নেই, তবে অনেক ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা USDT (Tether), Bitcoin, Ethereum ব্যবহার করে পেমেন্ট নিচ্ছেন।
Binance/TrustWallet এর মতো ওয়ালেট খুলুন।
ক্লায়েন্টকে আপনার ওয়ালেট অ্যাড্রেস দিন।
ডলার পেয়ে এক্সচেঞ্জারের মাধ্যমে বিকাশ/ব্যাংকে ক্যাশ আউট করুন।
এটি সবচেয়ে প্রাচীন এবং নিরাপদ আন্তর্জাতিক লেনদেনের উপায়। ক্লায়েন্টরা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে SWIFT কোড ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে পারে।
আপনার ব্যাংক থেকে SWIFT কোড জেনে নিন।
ক্লায়েন্টকে Bank Name, Account Number, SWIFT Code দিন।
ক্লায়েন্ট টাকা পাঠালে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
বাংলাদেশে PayPal না থাকার কারণে অনেকেই হতাশ হন। কিন্তু আসলে বিকল্প উপায় প্রচুর রয়েছে। Payoneer, Wise, Skrill, Cryptocurrency কিংবা Bank Wire — প্রতিটি মাধ্যমেরই আলাদা সুবিধা আছে। আপনার কাজের ধরন, ক্লায়েন্টের চাহিদা এবং নিরাপত্তা বিবেচনা করে সঠিক মাধ্যম বেছে নিলেই ডলার রিসিভ করা আর কোনো ঝামেলা নয়।
২০২৫ সালে অনলাইন ইনকামের সুযোগ আরও বাড়ছে। তাই এখনই সঠিক পেমেন্ট মেথড বেছে নিয়ে আপনার অনলাইন ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিন।
আমি জান্নাতুল খাতুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 31 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোছা:জান্নাতুল খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বাংলাদেশ থেকে। আমি একজন ফ্রিল্যান্স লেখক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ডিজিটাল কনটেন্ট, আর্টিকেল এবং সৃজনশীল লেখা তৈরি করতে পারদর্শী। আমি মানসম্পন্ন কাজ প্রদান করতে এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট রাখতে উৎসাহী।