কন্টেন্ট রাইটিং এর বেসিক খুঁটিনাটি

বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। আর এ যুগে বসেই মানুষ ঘরে বসে আয় করছে। আপনি হয়তো নিজেও জানেন না আপনি কতটা পারফেক্ট অনলাইন প্লাটফর্মের জন্য। আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে আমরা এমন কিছু পারি যেটা দিয়ে আমাদের ক্যারিয়ার অনলাইনে খুব ভালো ভাবেই স্টেবল করা সম্ভব।

আপনি হয়তো মাঝে মাঝে কবিতা, গল্প লিখেন মনের ইচ্ছাতে। আপনার এই লিখার অভিজ্ঞতাকে আপনার প্রফেশন হিসেবে অনলাইনে কাজে লাগাতে পারবেন এই ভাবনাটা কখনই হয়তো আপনার মাথায় আসেনি। আজ আলোচনা করব কিভাবে ঘরে বসে লেখালেখির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

প্রথমেই আসুন কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটার কি?

খুব সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে কনটেন্ট রাইটার হলো, আপনি অন্যের ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লিখে দিবেন  আর এই লিখে দেওয়ার জন্য ঐ ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে টাকা পেমেন্ট করবে। বলা যায়, ওয়েবসাইটের কনটেন্ট যারা লিখে তাদেরকে কনটেন্ট রাইটার বলা হয়।
গুগলে মিলিয়ন মিলিয়ন ওয়েব সাইটের মালিক আছে। যারা সবাই নিজের কনটেন্ট নিজে লিখেনা। যারা অন্যের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে কনটেন্ট লিখিয়ে নেয়। তাই আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন সফল কনটেন্ট রাইটার।

নিজের প্রতিভাকে এভাবে কাজে লাগাতে পারলে শুধু যে ইনকাম হবে ব্যাপারটা তা নয়। এই কনটেন্ট লিখতে গিয়ে আপনি অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। কারন যে আপনাকে কোন একটা পার্টিকুলার বিষয়ে কনটেন্ট লিখার জন্য হায়ার করবে সে কিন্তু আপনাকে ঐ পার্টিকুলার বিষয়ে লিখার জন্য অল্প কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে দিবে। আপনাকে গুগল খুঁজে খুঁজে সম্পর্ণ আর্টিকেলটি খুব ভালো ভাবে লিখতে হবে। এভাবে আপনি যদি ২০টিসাইটের জন্য ১০০টি কনটেন্ট বিভিন্ন সময়ে লিখেন। আপনি এই ১০০ টা কনটেন্ট লিখার পরে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। আপনার অভিজ্ঞতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এভাবেই একটা সময় পর আপনি নিজেই একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিজেকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন। জ্ঞান অর্জন কিন্তু এভাবেই আস্তে আস্তে হয়ে যায়।

এইবার আসি কন্টেন্ট লিখার ধরন বা পদ্ধতি কেমন?

সফটওয়্যার বা সিস্টেম প্রসেস কনটেন্ট, রিভিউ কনটেন্ট খুব ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম। যত ধরনের কনটেন্ট বিভিন্ন টাইপের ওয়েবসাইটের জন্য লিখা হয় তন্মধ্যে সব কনটেন্ট লিখার পদ্ধতি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

সফটওয়্যার বা সিস্টেম প্রসেস কনটেন্ট। ধরুণ, আপনি একটি সফটওয়্যার এর কাজের ধরন নিয়ে লিখবেন। তাহলে আপনাকে কিন্তু সফটওয়্যারটি কিভাবে কাজ করে এ টু জেড আপনাকে সাজিয়ে লিখতে হবে। এই ধরনের কনটেন্ট লিখার প্রসেসকে বলা হয় সফটওয়্যার বা সিস্টেম প্রসেস কনটেন্ট। আর রিভিউ কনটেন্ট বলকে বোঝায় কোনো প্রোডাক্টকে মার্কেটিং করার জন্য যেসব কথাগুলো সাজিয়ে লিখতে হয় সে প্রসেস কমপ্লিট করে যদি কোনো কনটেন্ট লিখা হয় তখন তাকে রিভিউ কনটেন্ট বলে। রিভিও কনটেন্ট সফটওয়্যার কনটেন্ট এর তুলনায় অনেক ছোট এবং সহজ হয়ে থাকে।

প্রশ্ন হলো কি কি টাইপের কনটেন্ট হতে পারে?

একটু আগে বলেছি, কনটেন্ট লিখার ধরন বা পদ্ধতি দুই ধরনের। আর এখন লিখব কি কি টাইপের কনটেন্ট হতে পারে। মূলত কত হাজার রকমের কনটেন্ট যে হতে পারে সেটা হিসাব করে বলা মুশকিল। তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ তিনটি  পদ্ধতি হলো:-

ভিডিও কনটেন্ট

মনে করুন, আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি ভিডিও বানালেন। ভিডিওর টপিক অনুযায়ী, আপনি যদি রিভিউ আকারে একটি কনটেন্ট লিখেন, তাহলে সেই কনটেন্টকে ভিডিও কনটেন্ট বলা যায়। বলা হয়ে থাকে যে, ভিডিও কনটেন্ট যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক গেইন করার জন্য খুব ভালো পদ্ধতি।

কোয়েশ্চন কনটেন্ট

প্রশ্ন করার মাধ্যমে যে কনটেন্ট লিখা হয় – প্রশ্নের মাধ্যমে যেসব কনটেন্ট লিখা হয়ে থাকে তাদেরকে এই কাতারে ফেলা হয়। এই টাইপের কনটেন্ট গুলাও খুব ভালো ট্রাফিক গেইনার হিসেবে কাজ করে থাকে।

ট্রেনডিং টপিক

বর্তমানের যে কোন বিষয় নিয়ে অনলাইনে খুব বেশি হৈচৈ। এমন বিষয়কেই ট্রেনডিং টপিক বলে। ট্রেনডিং টপিক সবচেয়ে ভালো ট্রাফিক গেইনার হিসেবে কাজ করে।

সুতরাং এভাবেই আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে সহজেই তৈরি করতে পারেন আপনার পছন্দের কন্টেন্ট। এতে ঘরে বসে আয় করাটা হবে আরও সহজলভ্য।

Level 0

আমি শিপন নাথ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I'm a Writer & Public Speaker. I am a National Awardee.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস