অনলাইনে ইনকামের সেরা ৫টি পদ্ধতি

বন্ধুরা আপনাকে স্বাগতম আমাদের নতুন একটি ব্লগে। আজকের ব্লগে আমরা কথা বলবো অনলাইনে স্থায়ী ভাবে ইনকাম করার কিছু পদ্ধতি নিয়ে। এখন যদি আপনি গুগল বা ইউটিউবে How to earn money online in 2021 লিখে সার্চ দেন আপনি অনেক ভিডিও অথবা আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। কিন্তু আসল কথা তারা বেশিরভাগই আপনাকে PTC সাইট সাজেস্ট করবে বা এমন কিছু এপের কথা বলবে যেগুলো থেকে আপনি রেফার করে ইনকাম করতে পারবেন। আমি এটা বলছিনা যে এইগুলো থেকে ইনকাম করা সম্ভব নই, কিন্তু কথা হলো এগুলোতে কাজ করে আপনি একটা জীবন লিড করতে পারবেন না বা এই ধরনের সকল পদ্ধতি স্থায়ী নই, এগুলো থেকে স্থায়ী ভাবে বা long time earning আশা করতে পারবেন্না। তাছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় তারা আপনাকে দিয়ে এড দেখিয়ে নিলেও, পেমেন্টের সময় অনেক সমস্যা করে মানে আপনার টাকা শেষ। আমি আগেই বলে দিচ্ছি আমি আপনাদের এমন কোনো পদ্ধতি শেয়ার করবোনা। আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে এমন ৫টি অনলাইন ইনকাম আইডিয়া শেয়ার করবো যেগুলো থেকে একটাতেও যদি মন দিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি স্থায়ী ভাবে মোটামুটি একটা জীবন কাটানোর মতো মাসিক ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন। আবার এই কাজ গুলো যদি আপনি প্রচন্ড passion নিয়ে করেন তাহলে তো, কেল্লাফতে! আপনাকে আর ভাবতে হবেনা মাসিক ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। যেগুলো দিয়ে ইউরোপ ট্রিপ না দিতে পারলেও ভারত-বাংলাদেশ ট্যুর দিতে পারবেন। আশাকরি আজকের ব্লগটি আপনার ভালো লাগবে
তো চলুন শুরো করা যাক।

ভিডিও বানানোঃ

ভিডিও ক্রিয়েশন সেক্টর নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আপনি আমি সবাই ভিডিও দেখতে পছন্দ করি। বর্তমানে সারা বিশ্বে সেরা দুইটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হলো Facebook এবং Youtube। আপনি নিজের ভিডিও বানিয়ে সেগুলো এই সাইট গুলোতে পাবলিশ করে মনিটাইজ করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণের ইনকাম করতে পারেন। এই সেক্টরটি বর্তমানে একটি সম্ভবনার পথ। এই প্ল্যাটফর্ম গুলো আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বের প্রচুর পরিমাণের তরুণ তরুণী ভিডিও ক্রিয়েট করছে এবং ইনকাম করছে। চাইলে এটি ট্রাই করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বড় সম্ভাবনার দুয়ার। এই সেক্টরে প্রচুর তরুণ তরুণীরা কাজ করছে এবং মোটা টাকা ইনকাম করছে। এখন কথায় আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং কী? ধরুন আমার একটা website আছে এবং সেখানে ট্রাফিকও ভালো আসে। আর এদিকে ধরেন আপনার একটি অনলাইন বিজনেস আছে। তখন আমি ধরেন আপনার কাছে আসলাম এবং বললাম যে আমাকে আপনার সাইটের অনলাইন শপিং করার কুপন দেন, যেইটা এপ্লাই করে আমার audience তার কাংখিত প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে তিনি কিছু ডিসকাউন্ট পাবেন এবং যতজন এই কূপন ব্যবহার করে শপিং করবেন তার মধ্যে আমাকে আপনি কিছু কমিশন দিবেন এবং আপনার শপটিকে আমি আমার সাইটে প্রোমোট করবো। ঠিক এভাবেই মুলত কাজটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। চাইলে এটি ট্রাই করে দেখতে পারেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস হলো amazon এবং clickbank.

ব্লগিংঃ

আপনি বর্তমানে এখন যেই লেখাটি পড়ছেন সেটাও কিন্তু একটা ব্লগিং সাইট। এখানে আমি প্রযুক্তি নিয়ে বিভিন্ন ব্লহ লিখে থাকি। আপনি যদি আপনার ফেস দেখাতে না চান বা আপনি কোন একটা বিষয় নিয়ে ভালো লিখতে পারেন যেমনঃ আমি প্রযুক্তি নিয়ে লিখছি, আমি মনে করি আপনার জন্য লেখালেখি বেস্ট আইডিয়া কারণ এখানে আপনার ফেস দেখাতে হচ্ছে না এবং আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালিখির শুরু করে দিতে পারছেন। এখন বলি এখানে থেকে ইনকাম টা মূলত করবেন কিভাবে? আপনি যখন আমার সাইটে এই লেখাটি পড়ছেন তখন হয়তো আমার ওয়েবসাইটে কোন ad শো করছে না বাট কয়েকদিন পরে আমি আমাদের সাইটকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করব এবং আমাদের ওয়েবসাইটে এড শো করবে যেখান থেকে আমি মোটামুটি একটা স্মার্ট ইনকাম করতে পারবো। এছাড়াও আপনি আপনার সাইটে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট রিভিউ করেও ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো চাইলে আপনি এই আইডিয়াটি ট্রাই করতে পারেন তো চলুন যাওয়া যাক পরবর্তী আইডিয়াই।

রিসেলিংঃ

 রিসেলিং জিনিসটা অনেকটা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতই। এখান থেকে আপনি মোটামুটি ভালো একটা অ্যামাউন্ট আপনি ইনকাম করতে পারবেন, যদি আপনি কাজটি ভালো করে করতে পারেন এবং আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন রিসেলিং করার মাধ্যমে। তো রিসেলিং টা আসলে কি? ধরেন আমার একটা কোম্পানি আছে যেখানে আমি প্রত্যেকটি টি শার্ট বিক্রি করি ২০০টাকায় এবং আপনার একটা পেজ আছে টি-শার্ট নিয়ে এবং আপনি আমার কাছে আসলেন আর বললেন যে ভাই আপনি আমাকে টি-শার্ট দেন, আমি আপনার টি-শার্ট বিক্রি করে দিবো এবং ২০০এর উপরে যত টাকা বিক্রি করতে পারব সেটা আমার এবং 200 টাকা আপনার। ব্যাপরটা অনেকটা win win সিচুয়েশন তৈরি হবে যাতে দুইজনের লাভ। বাংলাদেশে এমন অনেক অনলাইন রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম আছে। আপনি একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন আমি নাম বলছি না কারন তাহলে free promotion হয়ে যাবে। তো চাইলে আপনি এটি ট্রাই করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিংঃ

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। হয়তো আপনি আমার থেকে ভাল জানেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর নিয়ে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটা শুধু বড়ই হচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমেই নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। ফ্রিল্যান্সিং চাইলে আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার দরকার হবে যেকোনো একটা বিষয়ে প্রচুর ধারণা বা ওই বিষয়ে আপনাকে অনেক স্কিলড হতে হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি স্কিল হচ্ছেঃ
1.Graphic Design
2.Web Development
3.Digital Marketing
4.Video Editing
5.Content Writting
এখন আমি যদি সবগুলো স্কিলের কথা বলতে চাই তাহলে দেখা যাবে আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়া হয়ে উঠবে না।

যাইহোক এগুলো থেকে যেকোনো একটা বিষয়ে আপনি স্কিলড হয়ে মার্কেটপ্লেসে আসতে পারেন এবং মাসিক মোটামুটি ভালো একটা পরিমাণের ইনকাম করতে পারবেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আরও ব্লগ প্রকাশ করব তাই আমাদের ব্লগ সাইটের সাথেই থাকবেন।

Level 1

আমি মেহেদী হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস