বায়ু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

সমস্ত প্রশংসা সেই রবের জন্য যিনি সমর্গ সৃষ্টি জগৎ এর পরিচালক।

এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অদৃশ্য বস্তু হল বায়ু।
যেটা অন্য সব বস্তুর চেয়ে খুবই নরম সফট কমফোর্টেবল।
এই মহাবিশ্বে কোন স্থানে বিন্দু পরিমাণ বায়ু শুন্য নেই সবজায়গায় বায়ূ বিরাজমান।
আমাদের উপর বায়ূর প্রেসার চাপ কোটি কোটি টন বা গণনার বাইরে।
বায়ু এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে নরম বস্তু হওয়ার কারণে আমরা বুঝতে পারিনা আমাদের উপর বায়ুর এত চাপ প্রেসার।

যেমন - কোন ব্যক্তি যদি ১ মণ ওজনের একটা শক্ত পদার্থ বা লোহার টুকরো মাথায় নেয় তাহলে সে তার মাথায় ব্যাথা অনুভব করবে এবং সেই বস্তুটা তার কাছে অনেক ভারি মনে হবে। ঠিক সেই ওজনের সমপরিমাণ লোহার টুকরো যদি মাথায় নেওয়ার আগে মাথায় একটা নরম বস্তু রেখে তার উপর সেই লোহার টুকরো রাখে সেটা মাথায় নেয় তাহলে ব্যথা অনুভব করবে না এবং সেটার ভর ও তার কাছে মনে হবে।

বায়ুর চাপ
বায়ু এই মহাবিশ্বের সব জায়গায় পুরিপূর্ন
কোথাও খালি নেই।
আপনি যদি একটা প্লাস্টিকের বোলত হাতে নিয়ে সেটাকে চাপ দিয়ে সব বায়ু বের করে বোতলের মুখ টা লাগিয়ে দেন তাহলে সেই বোতল কে আর বাইরে থেকে চাপ দিয়ে টেনে ধরে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবেনা যতক্ষণ না সেই বোতলের ভিতর আবার বায়ু প্রবেশ না করান।

একটা ফুটবল বা গাড়ির চাকায় ব্যাবহৃত টিউব তাদের ভিতরে বায়ু প্রবেশ করালে যতটা আকার ধারণ করে সেই টিউব বা বল কে বায়ু শুন্য করে অন্য কোন শক্তি বা বাইরে থেকে টেনে টিউব আর বলকে সেই আকারের মত করা যাবেনা।
এটা প্রমাণ করে আমাদের এই মহাবিশ্বে বায়ুর চাপ কত।

যেখানে মানুষ বা কোন বস্তুর তুলনায় বায়ুর চাপ বেশি থাকে তাহলে সেখানে মানুষ বা সেই বস্তু ভাস্যমান থাকতে পারবে মধ্যআকর্ষণের নভোচারীদের মত।
যেমন - আমাদের পৃথিবীতে বায়ুর চাপ কম যার ফলে বায়ূর তুলনায় আমাদের ভড় বেশি তাই সাধারণ মানুষ আমরা চাইলে বাতাসে ভাস্যমান হতে পারিনা।
কিন্তু একটা পাতলা বস্তু বা ঘুড়ি এগুলোর ভরের তুলনায় বায়ুর ভর বেশি তাই এই বস্তু গুলো বায়ুর মধ্যে সহজেই উড়তে পারে ভাস্যমান হতে পারে।

আর মহাকাশে আমাদের ভড়ের তুলনায় বায়ুর ভড় বেশি হওয়ার কারণে সেখানে স্পেস স্টেশনের নভোচারীরা ভাস্যমান থাকে তাদের ব্যবহার করা প্রতিটি বস্তুও সেম ভাস্যমান অবস্থায় থাকে।

আর যেখানে বায়ুর চাপ আমাদের পৃথিবীর তুলানায় বেশি সেখানে অক্সিজেন নেওয়া আমাদের জন্য খুব কঠিন।
কেননা বায়ুর চাপ বেশি হওয়ার কারণে আমাদের মানব দেহের ফুসফুস যার মাধ্যমে আমাদের দেহের ভিতর বাতাস সঞ্চালিত হয় সেটা উপর প্রেসার চাপ পড়বে। কেননা আমাদের মানব দেহের ফুসফুস যেটা হাইড্রলিক্স সিস্টেমে কাজ করে সেটা কে আমাদের পৃথিবীর বায়ুর চাপের সাথে সামজস্য ব্যালেন্স ঠিক রেখে তৈরী করেছেন আমাদের সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা।

আপনি চাইলে পরিক্ষা করতে পারেন বায়ুর চাপ প্রেসার,
তাহলে আমাদের লাগবে হল বড় একটা গ্লাস রুম, অনেক মজবুত হতে হবে যার দেওয়ালের চতুর্দিকে থাকবে টিউব জাতিও বায়ু রোধি রাবার পদার্থ।
যেন সেই রুমে বাইরে থেকে কোন বায়ু যাওয়া আসা না করতে পারে।
এবার অক্সিজেন মাস্ক পরে আপনি যদি সেই রুমে প্রবেশ করেন তারপর কোন একটা পাওয়ার ফুল এয়ার কমপ্রেসার দিয়ে সেই রুমে বায়ু প্রবেশ করাতে থাকেন দেখবেন এক সময় অতিরিক্ত বায়ু চাপের ফলে সেখানে সেই রুমে আপনার ভর শুন্য হবে আপনি সেখানে ভাসবেন।
হে এটাই সঠিক এটাই সূত্র।

আর এয়ার কমপ্রেসারের মাধ্যমে যদি সেই রুম থেকে বায়ু বাইরে বের করে আনেন তাহলে এক সময় বায়ু শুন্য হওয়ার কারণে সেই রুমে যেকোনো বস্তুর ওজন ভর কমে যাবে।

 

Level 0

আমি সিয়াদ হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

Hello Everyone. I am scientists. I am Researching about Everything From Earth to Space.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস