নতুনরা কিভাবে দ্রুত ফ্রিল্যান্সার হবেন?

Level 2
১ম বর্ষ, সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ, নবাবগঞ্জ

ফ্রিল্যান্সিং কি এটা আমরা অনেকে জানিনা। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় সাইট। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আমাদের মাঝে জনপ্রিয়।

আমাদের মতো তরুণ দেড় ফ্রিল্যান্সিং এর জুক একটু বেশি। বর্তমান তরুণ সমাজ পড়াশুনা বা চাকরির পাশাপাশি  ফ্রিল্যান্সিং কে গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া নিজের ইচ্ছা মতো স্কিল অনুযায়ী কাজ করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন কাজ আছে এখানে আপনি আপনার কাজের দক্ষতা দিয়ে উপার্জন করবেন। যেমন- কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

 

 

এই সকল বিষয় নিচে আমরা জানতে পারবো। 

১. ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরসমূহ

ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো ধাপ বা অধ্যায় আছে। প্রথমে আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কোন কাজে আগ্রহী বেশি। কোন বিষয় আপনার কমবেশি জ্ঞান আছে। ধরেন আপনার ভিডিও বানাতে অনেক ভালো লাগে। আপনি মোটা মুটি ভিডিও ধারণ, ভিডিও এডিটিং ধারণা আছে তাহলে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকে কনটেন্ট আপলোড করতে পারেন। এ ছাড়াও আরো অনেকে কাজের চাহিদা আছে সেগুলা নিয়ে আমরা নিচে কথা বলবো।

২. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি জনপ্রিয় পেশা। অনেকে এই পেশার উপরে জীবিকা নির্বাহ করে। যে ব্যক্তি ওয়েবসাইট তৈরী বা ডেভেলপ করে তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলা হয়। প্রতিটি ওয়েবসাইট দেখাশোনার জন্য একজন ওয়েব ডেভেলপার এর  দরকার হয়। আপনার অল্প কিছু ধারণা থাকলে আপনি খুব সহজে কাজটি করতে পারেন। আপনি একজন শিক্ষার্থী হিসাবে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন।

বর্তমান সময় আমাদের কোনো কিছু জানার প্রয়োজন থাকলে আমরা গুগল থেকে জানতে পারি। বিভিন্ন ইনফরমেশন নিয়ে বা পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। একটি ওয়েব সাইট তৈরি করতে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রয়জন একটি দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার। আপনি যদি কাজে দক্ষ হতে পারেন তাহলে দেশে ও দেশের বাহিরে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন।

৩. ওয়েব ডিজাইন

ওয়েবসাইটের ব্যবসা সফলতা, ব্যবহারকারীর সুবিধা, সুন্দর কোড, সৌন্দর্য বিবেচনায় রেখে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েবসাইটের চিত্র অঙ্কন করাকে ওয়েব ডিজাইন বলা হয়। একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে যেসব দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওয়েব গ্রাফিক্স ডিজাইন, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ডিজাইন, ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডিজাইন, ব্যাক-এন্ড ওয়েব ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ও ওয়েব প্রকৌশল বিভাগ।

যে ব্যক্তি ওয়েবসাইটের নকশা তৈরি করে তাকে ওয়েব ডিজাইনার বা নকশাকার বলা হয়। অসংখক নতুন  ওয়েবসাইট তৈরি  হচ্ছে আবার পুরোনো ওয়েবসাইট আপডেট করা হচ্ছে। নতুন ফিচারযোগ হচ্ছে এতে প্রয়জন একজন দক্ষ ওয়েবে  ডিজাইনারের। আপনার কাজের দক্ষতা গড়লে আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন।

 

৪. ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়

অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করার সহজ মাধ্যম ইউটিউব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা  আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। সব থেকে সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন  ইউটিউব থেকে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। অর্জন আপনাকে সঠিক নিশ বাছাই করতে হবে। চ্যানেলের জন্য ইউনিক এবং দর্শকদের চোখে পড়ার মতো একটি নাম বাছাই করতে হবে।

নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে হবে। এর জন্য আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার বং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে যায় পর্যায় আন্তে হলে, তবে আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে গেলে আপনার আইয়ের পথ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

 

৫. কন্টেন্ট রাইটিং
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে এর মানে শুধু  ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা। ভুল ধারণা, আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট লেখেন, তাও কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পড়ে। লেখা গুলা মূলত মার্কেটিংয়ের কন্টেন্ট নিয়ে। যে বিষয় কন্টেন লিখতে যাবেন সে বিষয় আপনি যথেষ্ট জানবেন। একটা বিষয়ে জানা আর সে বিষয়কে নির্ভরযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হলো কন্টেন্ট রাইটিং।
বর্তমানে ফ্রীলান্সিং অন্যতম একটি কাজ কন্টেন্ট রাইটিং। দেশে ও দেশের বাহিরে অনেক চাহিদা। কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে আপনি কোনো ক্লায়েন্টের কাজ করতে পারেন। আবার নিজের ওয়েবসাইটেও কাজ করতে পারেন। ক্লায়েন্টের কাজ করলে আপনাকে চুক্তি অনুযায়ী পেমেন্ট পাবেন। আপনার ওয়েবসাইট গুগেলর নিয়ম অনুযায়ী গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
 
৬. গ্রাফিক্স ডিজাইন
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যাতিত পুরো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টই অচল।  ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কোম্পানির যা দরকার, তার বেশির ভাগই বানায় গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। ব্যানার, টিউনার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো, টেলিভিশন কমার্শিয়াল, ইত্যাদির সবকিছুই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ভেতরে পড়ে। আপনি ভালো গ্রাফিক্সের কাজ জানলে ঘরে বসে মাসে ২০ থেকে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৭. ডাটা এন্ট্রি


ফ্রিল্যান্সারদের কাছে পছন্দের কাজ বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি। খুব বেশি খুটিনাটি জ্ঞান প্রয়োজন হয় না ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য। মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে, টাইপিং ভালো পারলে আর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ ভালোভাবে জানা থাকলেই পারবেন এই কাজ।

৮. ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। এখন ঘরে বসে অনলাইন থেকে সহজে  কেনা কাটা থেকে শুরু করে, অনলাইনে ইনকাম করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভর করে।  অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপণ প্রচার করাকেই  ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। ঘরে বসে ইন্টারনেট মাধ্যমে  বেচা–কেনা করতে পারবেন দেশে বা বিদেশে। এসব পণ্যের ডিজিটাল উপায়ে প্রচার হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ইউটুবে অনেক কোর্স আছে যেগুলো কমপ্লিট করে আপনিও দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে টাকা ইনকামে করতে পারবেন।

৯. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলে কত গুলো সফটওয়্যার ইন্সটল করা রয়েছে। অনলাইনে রয়েছে লক্ষ সফটওয়্যার। যা ডাউনলোড করে আমরা ব্যবহার করতে পারি। কিছু সফটওয়্যার কিনতে হয়, কিছু সফটওয়্যার ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারি। এই যত গুলো সফটওয়্যারই আপনি দেখেন না কেনো, সব গুলোই তৈরি করেছে আমার মত আপনার মত মানুষ। প্রায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এখন নিজস্ব সফটওয়্যার আছে, যার মাধ্যমে তাদের সমস্ত কাজ করে। এই সফটওয়্যার তৈরির পরে সবসময় আপডেট করতে হয়। আপনি ঘরে বসেই কাজটি করতে পারবেন।


দ্রুত ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়

দ্রুত ফ্রিল্যান্সার হতে চান এমন কাজগুলো বেছে নিতে হবে যেগুলো আয়ত্ত্ব করা সহজ। অনেক দীর্ঘ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় না। তেমন কিছু টিপসই নিচে পড়ুন।

 

1.আপনি কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। কাজটি আপনি মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। তবে আপনার রিসার্চ করে গুছিয়ে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে।  যে বিষয় কন্টেন লিখতে যাবেন সে বিষয় আপনি যথেষ্ট জানবেন। একটা বিষয়ে জানা আর সে বিষয়কে নির্ভরযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

 

2.দ্রুত ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আরেকটি উপায়  গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। আপনি  ইউটিউব ভিডিও দেখে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখে নিয়ে অল্প সময়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

 

3.ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে পারেন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে। এ কাজের ব চাহিদা অনেক। মোটামুটি দক্ষ হলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া সম্ভব।

 

4.অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বর্তমানে ফটোশপ এবং ভিডিও এডিটিং এর প্রচুর কাজ রয়েছে, যা আপনি চাইলে ঘরে বসেই করতে পারবেন। এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পেমেন্ট পাবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Level 2

আমি ইমন সিকদার। ১ম বর্ষ, সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ, নবাবগঞ্জ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস