অনলাইনে কি সত্যি আয় করা যায়? এইরকম প্রশ্ন যারা টুকিটাকি বিভিন্ন গ্রুপে এক্টিভ আছেন হরহামেশাই দেখে থাকেন। অনেকেই চারদিকে ঘুরে ঘুরে আয় করতে পারছেন না এক টাকাও, আবার কেউ আয় করছেন হাজার হাজার টাকা। তো, আসলে কেন অনেকেই পারছেন না? কিংবা যারা পারছেন তারা কিভাবে পারছেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর আমি আমার আজকের আর্টিকেলে। আসলে ঠিক আর্টিকেল না। এইটা আমার জীবনের সত্য ঘটনা যেখানে আমি শেয়ার করবো আমি কিভাবে শুরু করেছি এবং কি অবস্থানে আছি।

আমি ২০১৪ সালে অনলাইন আয় এর সাথে পরিচিত হই। তখন শুরুতে আমি পিটিসি সাইটে কাজ করতাম। প্রতিদিন কয়েকশ ক্লিক করতাম এডস এ কিন্তু লাভের বেলার কিছুই হয় নাই। দুর্ভাগ্য যে তখন বিটকয়েন আয় করা অনেক সহজ ছিল কিন্তু তখন বিটকয়েন আমি চিনতাম না। শুধু নাম শুনেছিলাম। সে যাই হোক, তখন আমি বিরক্ত হয়ে কাজ বন্ধ করে দেই। কোন ইনকাম হয়নি। পরে ২০১৬ সালে আমি আবার শুরু করি। আবারো একি পথে হাটি তবে এইবার আমি অল্প স্বল্প আয় করতে পারি তবে সেটা বলার মত কোন এমাউন্ট ছিল না। ২০১৭ সালের শেষের দিকে আমি কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সী সাইটের সন্ধান পাই যেখান থেকে আমি কিছু পরিমাণ টাকা আয় করতে পারি। কিন্তু ওইসব আয়/কাজ দিয়ে কয়দিন।

এইসব বলার মুল কাহিনী হল আসলে আপনি টুকিটাকি করে অনলাইনে আয় করবেন সে চিন্তা করলে লাভ হবে না। কাজের কাজ কিছুই হবে না বরং সময় নষ্ট হবে। অনলাইন থেকে আয় করা যায় অবশ্যই। তবে আপনাকে সে পরিমাণ সময় দিতে হবে। কাজ শিখতে হবে। আমি আপনাকে অনলাইনে আয়ের দুইটা পথ এইখানে দেখাচ্ছি।

আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

আপনি নির্দিষ্ট কোন কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। হতে পারে সেটা ওয়েব ডিজাইন কিংবা ডেভেলপমেন্ট কিংবা কনটেন্ট রাইটিং। মানে যে কোন কাজ হতে পারে সেটা। তবে আপনাকে কাজ জানতে হবে। কাজ জানলে কাজের অভাব হয় না।

আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করতে পারেন।

ট্রেডিং নিয়ে যদি সময় দেন তাহলে ব্যাসিক শিখে শুরু করতে পারেন ছোট ছোট বিনিয়োগ। পরে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আপনি বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। এইটা অনেক রিস্কি আবার রিটার্নও বেশি হয়।

আপাতত এতটুকুই। আবার খুব শীঘ্রই লিখবো।