লেখা

আমরা ভাবি লেখা হয়তো খুব সহজ। হ্যাঁ লেখা সহজ কিন্তু লেখার জন্য নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি করা কঠিন। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গান ইত্যাদি সবকিছু লেখার জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হয়। লেখা একটি শিল্পকরম। কেউ গল্প, কেউ কবিতা, কেউ চিঠি, কেউ কাহিনী সবাই নিজের মনের মতো করে লিখতে পারে যদি সে লিখতে জানে। লেখার মাধ্যমে মানুষ নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে। আগে মানুষ চিঠি লিখতো, এখনো লেখে কিন্তু আগের মতো আবেগ নিয়ে চিঠি লিখে আর ডাকবাক্সে ফেলা হয় না। এখন সবাই যোগাযোগ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লেখার ভেতরের বিচিত্র শব্দ, বাক্য লেখাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। লেখার মাঝে যদি পর্যাপ্ত শব্দ না থাকে তাহলে তা অন্য কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না। লিখতে হবে মন দিয়ে, আবেগ-অনুভূতি দিয়ে লেখাকে বাস্তবমুখী করে তুলতে হবে। নতুন নতুন শব্দ, বাক্য সৃষ্টি করে লেখাকে আরো মনোমুগ্ধকর অসাধারণ করে তুলতে পারলেই তা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণে সফল হবে। আমিও লিখতে চাই। যখন অন্যের কোনো কবিতা বা গল্প পড়ি তখন মনে হয় আমার চেয়ে অন্যের লেখা গল্প, কবিতা অনেক সুন্দর। আমার মনে হয় আমার কাছে শব্দের অভাব। লেখাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে তিনটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেগুলো প্রয়োগ করতে হবে।

  • সৃজনশীল ক্ষমতা থাকতে হবে
  • যে বিষয় নিয়ে লিখবে ঐ বিষয়টি অন্যের বিষয়বস্তু থেকে আলাদা হতে হবে
  • বিষয়বস্তু সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা থাকতে হবে

লেখার জন্য সৃজনশীল ক্ষমতা থাকা অধিক জরুরি। এবং এর জন্য আমাদের জ্ঞানের আর কল্পনার পরিধি বাড়াতে হবে। চারপাশের প্রকৃতি মানুষজনকে নতুনভাবে জানতে হবে। প্রচুর বই পড়ে নিজের শব্দভান্ডারকে আরো বৃদ্ধি করতে হবে। লেখার সময় ভাবতে হবে অন্য একজন লেখাটা পড়ছে এবং নিজেকে পাঠকের জায়গায় বসিয়ে নিজেই নিজের লেখার মূল্যায়ন করতে হবে যাতে পাঠকরা লেখার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। এমনভাবে লেখাটাকে উপস্থাপন করতে হবে যেন পাঠকের প্রথম লাইন পড়ার পর পরের লাইনটা পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগে। গল্প, কাহিনী লেখার নিয়ম কেউ কাউকে শেখাতে পারে না, নিজে নিজে আয়ত্ত করে নিতে হয়। আমরা আমাদের প্রিয় লেখকের লেখা অনুসরণ করে লিখতে পারি কিন্তু হুবহু অন্যের লেখা নকল করে লিখলে নিজের লেখার বিকাশ ঘটে না। আমরা যার লেখা পড়তে পছন্দ করি তার লেখার নিয়ম অনুসরণ করা যায়। সে কিভাবে লেখাটা শুরু করেছে, কিভাবে শেষ করেছে, লেখাটা কি জন্য আকর্ষণীয় হয়েছে এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখলেই আমরা লেখার মূল বিষয়টা খুঁজে পাবো। এর জন্য আমাদের অনেক অনেক বই পড়তে হবে। যদি আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলাম এর দুইটা বই পড়ি তাহলে আমি এই দুইটা বই থেকে দুই ধরনের ধারণা পাবো। এই দুই লেখকের লেখার ভঙ্গি, কাহিনী সম্পূর্ণ আলাদা। এইরকমভাবে যদি বিভিন্ন কবির বিভিন্ন বই পড়ি তাহলে আমরা লেখা সম্বন্ধে আরো অনেক কিছু জানতে পারব যা আমাদের নতুন লিখতে সাহায্য করবে।

Level 1

আমি মোছাঃ মাহিয়া খাতুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস