বিশ্বকাপ ফুটবল কে জিততে পারে? বিবিসি সহযোগিতার উপর আকর্ষণীয় গবেষণা

বিশ্ব ফুটবলকাপে কে বিজয় হতে পারে? বিবিসি সংস্হার মজার গবেষনা।
বিশ্ব ফুটবলকাপে প্রচন্ড উত্তেজনায় আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। কোন দেশ ছিনিয়ে নেবে সপ্নের বিশ্বকাপটি তা নিয়েই বিশ্বর ক্রীড়ামোদীদের মাধ্যে আলোচনা আর সমালোচনা। মানুষ যায যার ইচ্ছেমত যে যার মতো বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করার চেষ্টা করছেন। কিন্ত ব্রিটিশ মিডিয়া তাদের নিজস্ব মতে পরিসংখ্যান, ট্রেন্ড, অতীত টুর্নামেন্টের রূপ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে মোট ৩১টি দেশকে বাদ দিয়ে একটি দেশকে বেছে নিয়েছেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে। উক্ত তত্ত্বভিত্তিক একদম সঠিক হবে কি না সেটা সময়ই কথা বলে দেবে। তবে তারা অনেক অর্থবহ যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছেন নিজেদের অবস্থানের পক্ষে। যেমন: বিশ্বকাপ ফুটবলে এর আরো তথ্য বিস্তারিত জানুন.

বিস্তারিত জানুন.

১। সেরার তালিকায় থাকতে হবে: ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে যখন ৩২টি দেশ খেলতে শুরু করে তখন থেকে পরবর্তী সবকটি টুর্নামেন্টে এমন দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যেটি সেরা দলের তালিকাতে ছিল। উক্ত তালিকার বাইরে থেকে যে একটি দলটি অবশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেটি হল আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে শীর্ষে নিয়ে ছিল ম্যারাডোনা আর তার ‘ঈশ্বরের হাত দিয়ে’ করা সেই বিশ্ব আলোচিত গোলটি। এই একটি মাত্র বিবেচনা থেকে শুরুতেই ৩২ দলের ২৪টিকে সম্ভাবনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো। বাকি থাকল আটটি এবং সেই আটটি দল হচ্ছে— জার্মানি, ব্রাজিল, পর্তুগাল, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, রাশিয়া ও পোল্যান্ড।

বিস্তারিত জানুন.

২। বিশ্ব ফুটবলকাপ শুরু হওয়ার পর ১৯৩০ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম ১১টির পাঁচটিতেই স্বাগতিক দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে গত নয়টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশ মাত্র একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ নিজের দেশে রেখে দিয়েছিল ফ্রান্স। তার অর্থ হলো স্বাগতিক দেশ হওয়া এখন আর সাফল্যে পৌঁছানোর চাবিকাঠি নয়। যেমন চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯০ সালে স্বাগতিক দল হয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইতালি, ২০০৬ সালে স্বাগতিক দল ছিল জার্মানি, কিন্তু সেবারেও শিরোপা তাদের ঘরে উঠেনি। চার বছর আগে বিশ্বকাপ হয়েছিল ব্রাজিলে, সেবারও দেলটি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তাই এবার রাশিয়াকেও চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখা যাবার সম্ভাবনা কম আর এখন বাকি রইলো সাতটি দেশ।

বিস্তারিত জানুন.

৩। গোল কম খেতে হবে: যখন থেকে ৩২টি দল নিয়ে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শুরু হয়, তারপর থেকে যে পাঁচটি দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাদের কেউই সাতটি ম্যাচে চারটির বেশি গোল খায়নি। বিশ্ব ফুটবলকাপ জয়ের সম্ভাবনার তালিকায় যে সাতটি দল রয়েছে, বাছাই পর্বের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল রক্ষণভাগ পোল্যান্ডের। প্রতি ম্যাচেই তারা ১ দশমিক ৪টি করে গোল হজম করেছে। জার্মানি ও পর্তুগাল হেরেছে প্রতি ম্যাচে শূন্য দশমিক ৪ গোল, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম শূন্য দশমিক ৬, ব্রাজিল শূন্য দশমিক ৬১ এবং আর্জেন্টিনা শূন্য দশমিক ৮৮ গোলে। ফলে পোল্যান্ড বাদ পড়ে। বাকি রইলো ছ’টি দল।

বিস্তারিত জানুন.

৪। ইউরোপের বর্তমানে শুভদিন: দক্ষিণ আফ্রিকাতে স্পেনের সাফল্য এবং ব্রাজিলে জার্মানির জয়দিন বিশ্বকাপের গতিপথ একেবারে বদলে দিয়েছে। ইউরোপে আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে বেশিরভাগ সময়েই ইউরোপের দল গুলোই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফলে সেই হিসাবে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলবাদ পড়ে যাচ্ছে। বাকি থাকল চারটি দল- জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, এবং পর্তুগাল।

বিস্তারিত জানুন.

৫। সেরা গোলরক্ষক থাকতে হবে:যে চারটি দল আর বাকি আছে তাদের মধ্যে বর্তমানে সেরা গোলরক্ষকরা হচ্ছেন – ফ্রান্সের উগো লরিস, জার্মানির ম্যানুয়েল নয়ার এবং বেলজিয়ামের থিবাত কোর্তোয়া। এক হিসেবে বাদ পড়ে যাচ্ছে পর্তুগাল। এখন বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও জার্মানি- এই তিনটি দল বাকি থাকল।

৬। থাকতে হবে অভিজ্ঞতা: যখন থেকে বিশ্ব ফুটবলকাপে ৩২টি দল খেলতে শুরু করে সেই ১৯৯৮ সালের পর থেকে দেখা গেছে, সাফল্যের পেছনে একটা বড় ভূমিকা রাখছে অভিজ্ঞতা আর সেই বছরই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। তখন ফরাসী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা ছিল গড়ে ২২.৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কিন্তু এবার ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে কম। তাদের একেকজন ফুটবলার গড়ে ২৪.৫৬ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। জার্মানির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪৩.২৬ এবং বেলজিয়ামের বেলায় ৪৫.১৩। ফলে ‘ফাইনাল হচ্ছে ’ বেলজিয়াম ও জার্মানির মধ্যে!

৭। এখন চ্যাম্পিয়নদের ভাগ্য খারাপ যাচ্ছে: বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলকাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রক্ষা করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র একবারই ব্রাজিলই ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে পরপর দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছে ছিল। গত চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিতেই আগের বারের চ্যাম্পিয়ন দল গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে ছিল। সেই হিসাব করে ইতিহাস জার্মানির বিপক্ষে। অতএব আপনারা বুঝতেই পারছেন ফাইনালে কারা চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে। হিসেব মতে ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলে নতুন ‘চ্যাম্পিয়ন’ হতে যাচ্ছে বিস্তারিত জানুন.

বিশ্বকাপ ফুটবলে এর আরো তথ্য বিস্তারিত জানুন.

Level 1

আমি সাদেক আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস