তুরস্কে বিনা বেতনে পড়াশুনা

প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে  তুরস্ক সরকার। এসব শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকে তুরস্কের  বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই সুবিধার  মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার মান যেমন যুগোপযোগী হয়, তেমনি পাওয়া যায়  তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা।

ফ্রি এসেসমেন্ট পাওয়ার জন্য নিচের ফর্মটি পূর্ণ করুন।

Registration Now:  https://goo.gl/T4UkRx

তুরস্কের শিক্ষার মান এবং স্কলারশিপ :

তুরস্কের শিক্ষার মান যথেষ্ট ভালো।  ইউরোপের দেশগুলোর দশম স্থানের মধ্যে।  তুরস্কে ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রথম সারির মধ্যে। তুরস্ক সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ দিয়ে তুরস্কে পড়ালেখা করার ব্যবস্থা করছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান।  সম্প্রতি জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এশিয়া ও ইউরোপ দুই মহাদেশজুড়ে অবস্থিত এ দেশটি।  এজন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তুরস্ক। মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরগুলোই বেশ উন্নত। তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে শ খানেক।  আর পাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৭০ টির মতো। তুরস্ক সরকারের বৈদেশিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর ১৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থী আসেন পৃথিবীর অর্ধশতাধিক দেশ থেকে।  এখানে বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ৫০ হাজারের অধিক বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তুরস্কে। প্রতি বছরই এর সংখ্যা বাড়ানো হয়। মার্চ পর্যন্ত চলে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া।

স্কলারশিপের ক্যাটাগরি :

অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :

সব পরীক্ষার সার্টিফিকেট। সব পরীক্ষার মার্কশিট। পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধনের ইংরেজিতে অনুবাদ করা কপি।  আইএলটিএস বা ইংরেজি ভাষা শিক্ষার কোনো সার্টিফিকেট যদি থাকে তার কপি।  এক্সট্রা কারিকুলামের সার্টিফিকেট যদি থাকে তবে তার কপি। দুটিটি রেফারেন্স লেটার।  এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপক হলে ভালো হয়।

আবেদন করতে মৌলিক কিছু শর্ত :

তুরস্কের নাগরিক হতে পারবে না।  আবেদন করার সময় তুরস্কের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া যাবে না।  উচ্চমাধ্যমিক ডিগ্রিধারী হলেই অনার্স পর্যায়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।  অনার্স পর্যায়ের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীর ২১ বছরের নিচে বয়স হতে হবে।  মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ৩০ বছরের নিচে হতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে।  যে পর্যায়ের জন্য আবেদন করবেন প্রার্থী তার বিগত অর্জনকৃত ডিগ্রিগুলোর মোট ৭৫% নাম্বার থাকতে হবে। আর প্রার্থীকে অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

তুরস্ক সরকারের বৃত্তিতে নিম্নোক্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে :

১. টিউশন ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ।
২. থাকা-খাওয়া সরকারি ডরমিটরিতে, যা সম্পূর্ণ ফ্রি।
৩. ফ্রি স্বাস্থ্য বিমা তথা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা।
৪. এক বছরের তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি।
৫. মাসিক ভাতা (অনার্স ২৫০ ডলার, মার্স্টাস ৩৬০ ডলার এবং পিএইচডি ৫০০ ডলার, উচ্চতর গবেষণার জন্য ১০০০ ডলার)
৬. যাওয়া-আসার ফ্রি বিমান টিকেট।
৭. পার্টটাইম চাকরি করার সুযোগ। এ বছর থেকে শুরু হয়েছে।

তুরস্কে পার্ট টাইম কাজ করা যায়।

তুরস্কে স্কলারশিপ কাউন্সিলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Abroad Visa & Immigration –এর মাধ্যমে https://www.facebook.com/abroad.visa.immigration  বিস্তারিত জানা যাবে। [email protected] এই ই-মেইলে পাঠালে  জানতে পারবেন স্কলারশিপ পাবেন কিনা বা পেলে কোন ক্যাটাগরির স্কলারশিপ পেতে পারেন এবং সেই গ্রেডের সুযোগ-সুবিধা কি কি তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

ফ্রি এসেসমেন্ট পাওয়ার জন্য নিচের ফর্মটি পূর্ণ করুন।

Registration Now:  https://goo.gl/T4UkRx

কোন প্রশ্ন থাকলে ফোন করে জেনে নিন ঃ 01676502026

Level 0

আমি এবি রাফি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস