বাবা-মায়ের উদ্বেগ যত বাড়বে ততই বেশী পয়েন্ট পাবে ‘নিখোঁজ’ সন্তান!
‘ব্লু হোয়েলে’র পর অনলাইনে ফের নতুন গেমের হাতছানি। যার পোশাকি নাম ‘ফর্টি এইট আওয়ার্স চ্যালেঞ্জ’।
সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পরিবারের ‘চোখের আড়ালে’ থাকলে পয়েন্ট পাবে কিশোর-কিশোরীরা। অনলাইনে নতুন এই গেমে যাতে কেউ আসক্ত হয়ে না-পড়ে, সেদিকে সতর্ক নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে সিআইডি।
শুক্রবার সিআইডি’র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কয়েকটি অনলাইন গেম সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে চাইছি।
এই গেমগুলির কিউরেটরদের ধরা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু এগুলিতে আসক্ত হলে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষতি হতে পারে।’’
ফর্টি এইট আওয়ার্স চ্যালেঞ্জ’ গেমটির উৎপত্তি ২০১৫ সালে, ইংল্যান্ডে। এটা খেলে মূলত কিশোর-কিশোরীরা।
ইউরোপের বহু দেশেই এই গেমে আসক্তের সংখ্যা যথেষ্ট। এই গেমটির কিউরেটরের উদ্দেশ্য ধাপে ধাপে অপরিণত মনের খেলোয়াড়দের ‘সম্মোহিত’ করা। তারপরেই ৪৮ ঘণ্টা পরিবারের ‘চোখের আড়ালে’ থাকার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী ‘নিখোঁজ’ থাকাকালীন তার বাবা-মা অথবা অভিভাবকেরা যতবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করবেন, ততই তার পয়েন্ট বাড়বে।
সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘অধুনা বিদেশে তৈরি এই গেম দেশে বা এ রাজ্যে যে ছড়িয়ে পড়বে না, তা বলা যায় না। সেই কারণেই সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে অভিভাবকদের। নেট দুনিয়ায় দেশ-বিদেশ ভাগ করা যায় না। তাই এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।’’ আগে থেকে সতর্ক হলে গেমগুলি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না বলে দাবি সিআইডি’রও।
হাতের তালু বা শরীরের কোনও অংশে নুন রেখে তার উপরে বরফ চাপা দিয়ে যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতার গেম ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’, ফুটন্ত জল শরীরে ঢেলে কষ্ট সহ্য করার গেম ‘হট ওয়াটার চ্যালেঞ্জ’, গলায় দড়ি বা অন্য কিছু বেঁধে শ্বাসরোধ করে থাকা ‘চোকিং গেমে’র মতো অনলাইন গেম সম্পর্কে দ্রুত সচেতন হওয়ার সময় এসেছে বলেই অভিমত তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
আমি ইয়াছিন মিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।