শিশুর পড়ালেখা শুরু করা যায়, শেখানোর দরকার অনেক কিছুই!

 শিশুর পড়ালেখা শুরু করা বিষয়ে জানুন-

শিশুর ভাষা শেখাঃ সাধারন কিছু নীয়ম অনুযায়ী বাচ্চাদের ভাষা শিখতে সময় লাগে প্রায় দুই বছর। এটা হচ্ছে বলতে পারা শেখা। যদি বাবা মা দু’জন দুই ভাষায় কথা বলেন তখন আরো কিছু বেশি সময় লাগে। কারন শিশুর কনফিউশন কাজ করে। কে সঠিক বলছে বুঝতে দেরি হয়। তবু মায়ের সাথে কথা বলতে শুরু করে এক দিন। অনেক সময় আঞ্চলিক ভাষা আর চলিত ভাষার মেশানো প্রভাবও শিশুকে প্রভাবিত করে। ভাষা বলতে শুরু করার পাশাপাশি আচরনও বদলায়। শিশুর মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস জমে ওঠে।

 

বাংলা বর্নমালা শিক্ষাঃ বাংলা বর্নমালা শিক্ষা ভাষা শিক্ষার একটু উপরের ধাপ। তবু শুরু করা যেতে পারে। বাংলা বর্নমালা শেখানোর জন্য খাতা কলম নিতে পারেন। নিজে লিখে শিশুকে লেখার দিকে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। এছাড়াও বাংলা বর্নমালা সমৃদ্ধ ইবুক পাবেন যা কম্পিউটারে দেখিয়ে শিশুর মনোযোগ আকর্ষন করতে পারেন। অনেকেই আজকাল বিভিন্ন গেমস দিয়ে রাখেন শিশুদের হাতে হাতে। সেসব গেমস থেকে শিশু কী শেখে তা বলতে পারব না। তবে ভাল কিছু যে শেখে না তা নিশ্চিত। এক্ষেত্রে বর্নমালা সহ ইবই কিছুটা কাজে দিতে পারে। শিশুর পড়ালেখা শুরু করা তখন অনেক মজার হয়ে উঠবে।

বই সম্পর্কে ধারনা দেয়াঃ শিশু কথা বলতে পারার সাথে সাথে তাকে বই সম্পর্কে ধারনা দেয়া উচিৎ। বই কী কেন কিংবা কিভাবে বই থেকে সাহায্য নেয়া যায়। আপনি নিজে যদি কারনে অকারনে শিশুর সামনে বই খোলেন, কিংবা কোন কিছু জানার ভান করেন বা শিশুকে বুঝালেন যে বই পড়ে সব জানা যায়। তবেই শিশুরা বইয়ের দিকে ঝুঁকে যাবে। তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে। বই পড়ার জন্য আপনিও কিছুটা অভ্যাস করুন। বই পড়া অভ্যাসটা অনেক বেশি কার্যকরী অভ্যাস। শিশুর আচরন বদলে দিতে পারে, আদর্শ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারে অল্প বয়স থেকেই।

ইংরেজি ভাষা শিক্ষা শুরু করা হলে শিশুর জন্য কিছুটা অসুবিধা হয়। এ ক্ষেত্রে শিশু নিজে খুব ভাল করে খেয়াল করে আশেপাশের সবাই সত্যিই কোন ভাষায় কথা বলছে। সবাই ইংরেজি বললে, শিশুর ইংরেজি বলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তাই যে ভাষাতেই কথা শেখান তা যেন যথাযথ প্রয়োগ থাকে চারপাশে। পরিবেশকে সেভাবে সেটাপ করুন। বাংলাদেশে অবস্থান করে ইংরেজি শিক্ষার সহজ উপায় অনুশীলন করা যেতে পারে।

শতর্কতাঃ কখনোই শিশুকে গেম বা কার্টুন এ নিয়মিত ছেড়ে দিবেন না। এতে করে তার মধ্যে থাকা সকল সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে।

শিশুকে ভিন্নধর্মী শিক্ষায় যুক্ত করতে পারেন, শিশুর পড়ালেখায় বুদ্ধি বিকাশ ঘটে

বিজ্ঞান শেখানোঃ বিজ্ঞান বাক্স নামে আজকাল অনেক বৈজ্ঞানিক প্রমানের টুলস পাওয়া যায়। যেগুলো শিশুদের বিনোদন দেয়ার সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বাড়ায়।

কৌতুক শেখাঃ ছোটখাট কৌতুক শিখিয়ে দিলে শিশুরা মজাও পায় আবার অন্যদের সাথে প্রয়োগ করে বুদ্ধির চর্চা করতে পারে। তাই বাংলা কৌতুক

আবৃতি শেখাঃ শিশুদের আবৃতি শেখানো অনেক ভাল একটি পদক্ষেপ হতে পারে। 

এছাড়াও সুন্দর কথা বলা, ছবি আঁকা, সংগীত শেখা, নৃত্য শেখা শিশুকে গড়ে তুলতে অনেক সাহায্য করে।

সব শেষে শিশুর পড়ালেখা শুরু করা হলে কিংবা যত্ন নিলে যা লাভ-

একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা নিত্য নতুন সৃজনশীল শিক্ষায় শিশু শিক্ষা কিংবা প্রাথমিক শিক্ষাকে অনেক সহজ করে দেয়। আমরা আমাদের শিক্ষাকে আরো বেশি কার্যকরী করে দিতে নিজেরাও অবদান রাখতে পারি। সে কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশুদের শিক্ষায় এগিয়ে আসা উচিৎ।

বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে অনেক এগিয়েছে। এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে স্বাক্ষরতার হার বাড়ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বড় চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে। সুশিক্ষার হার বাড়ানো। এই সুশিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য এগিয়ে আসার সময় শিশু শিক্ষা অনেক বেশি পরিমানে প্রয়োগ করা দরকার।

আশাকরছি তথ্যগুলো কাজে লাগবে।ভাল লাগলে লাইক কিংবা শেয়ার করুন, আপনার প্রিয়জন বা বন্ধুদের জানিয়ে দিন।

Face book :

https://www.facebook.com/Inspire-Young-Bangla-1480468898689192/

Face-book Group :

https://www.facebook.com/groups/344779292659726/

YouTube Channel:

https://www.youtube.com/channel/UCq0zwTsCfqqWGaPKdsKcI2A/videos?view_as=subscriber

 

Level 0

আমি কাজল মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 52 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস