
বর্তমান যুগে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের একটি অংশে পরিণত হয়ে গেছে। এআই শুধুমাত্র আমাদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করছে না, পাশাপাশি আমাদের কে আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
আজকের এই টিউনস এ আমি চেষ্টা করবো তোমাদের AI এর সর্বোত্তম ব্যবহার এর মাধ্যমে নিজের ইনকাম এর পথ তৈরি করতে সাহায্য করবো। তো চলো কথা না বাড়িয়ে আজকের মুল আলোচনায় যাওয়া যাক।
AI বর্তমানে ওয়েব ডেবলোপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, এপ ডেবলোপমেন্ট সহ বিভিন্ন কাজকে সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে তুমি চাইলে কোন প্রকার কোডিং জ্ঞান ছাড়াই পুরোপুরি ফাংশনাল ওয়েবসাইট বা এপ তৈরি করতে পারবে। তো চলো বিস্তারিত আলোচনা করা যাক :
বন্ধুরা আমার এখন ও বছর খানের পূর্বের কথা মনে পড়ে, যখন একটি আর্টিকেল লিখার জন্য কিওয়ার্ড রিচার্স, তথ্য সংগ্রহ, ইমেইজ ডিজাইন সহ বিভিন্ন কাজে আমার ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যেতো। অথচ এই একই কাজ আগের থেকেও আরো পারফেক্টলি এবং কম সময়ের মধ্যে করা যাচ্ছে এআই ব্যবহার করে।
তবে এআই জেনারেটেড কনটেন্ট কে হিউমেন টাচ দেওয়ার মাধ্যমে তুমি খুব সহজেই, অন্যকে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিতে পারো। অথবা নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে নিজেই গুগল এডসেন্স বা এফিলিয়েট মার্কেটিং মাধ্যমে ইনকাম করতে পারো।
বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এআই ব্যবহার করে এখন কোনো জটিল কোডিং জ্ঞান ছাড়াই কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং লেআউট তৈরি করা সম্ভব। এটি ডেভেলপারের সহযোগী হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোড লিখে দেয়, ভুল সংশোধন করে এবং কন্টেন্ট তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে কাজ অনেক দ্রুত হয় এবং খরচও কমে আসে। এক কথায়, এআই ওয়েবসাইট তৈরির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, গতিশীল এবং নিখুঁত করে তুলেছে।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর বাংলাদেশে বেশ চাহিদা রয়েছে। আর তুমি চাইলে খুব সহজেই এআই ব্যবহার করে ভিবিন্ন প্রকার ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারো।
যেমন : ইবুক, ওয়েবটেমপ্লেট, প্রমট, সর্ট ভিডিও, অটোমেশন টেমপ্লেট ইত্যাদি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কাজের গতি এবং আয়ের সম্ভাবনা দুটিই বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এআই ব্যবহার করে এখন খুব সহজেই লাভজনক 'নিশ' (Niche) খুঁজে বের করা এবং গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী উচ্চমানের কন্টেন্ট বা প্রোডাক্ট রিভিউ তৈরি করা যায়। এআই টুলগুলো ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বুঝতে পারে কোন লিঙ্কে ক্লিক করার সম্ভাবনা বেশি, ফলে মার্কেটাররা সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়া এসইও (SEO) অপ্টিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া টিউন অটোমেশন এবং পারফরম্যান্স ট্র্যাকিংয়ের কাজগুলো এআই নিমেষেই করে দেয়। সংক্ষেপে, এআই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে আরও স্মার্ট, নির্ভুল এবং অধিক মুনাফাজনক করে তুলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে AI এখন কাজকে অনেক সহজ ও গতিশীল করেছে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি, সঠিক সময়ে টিউন শিডিউল এবং অডিয়েন্সের আচরণ বিশ্লেষণ করা যায়। এছাড়া এআই চ্যাটবট দ্রুত গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এনগেজমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে। এক কথায়, এআই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করার সময় বাঁচায় এবং পেজের রিচ বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বন্ধুরা অনেকেই বলে এআই মানুষের বিকল্প। কিন্তু এআই এখন পযন্ত তো মানুষের বিকল্প হতে পারেনি, কারণ এআই কে পরিচালনা করার জন্য একজন মানুষের প্রয়োজন। এআই শুধুমাত্র আমাদের কাজের ধরন কে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
আমি মনিরুজ্জামান মুন্না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।