ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

ইমার্জেন্সি পিল (Emergency Pill) বা জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি হলো এক ধরনের হরমোন-ভিত্তিক ওষুধ, যা অরক্ষিত যৌন মিলনের পরে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি কোনো নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়, বরং শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা উচিত।

এ কারণে প্রত্যেকের ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। তাই আজকের এই টিউনে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কখন ইমার্জেন্সি পিল খাবেন?

ইমার্জেন্সি পিল যত দ্রুত সম্ভব, অরক্ষিত যৌন মিলনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া উচিত। এটি সাধারণত কার্যকর হয় যদি আপনি:

৭২ ঘণ্টার মধ্যে: অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) মধ্যে পিলটি খেলে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়।

১২০ ঘণ্টার মধ্যে: কিছু বিশেষ ধরনের পিল ১২০ ঘণ্টা বা পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে, তবে কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে আসে।

মনে রাখবেন: পিলটি যত দেরিতে খাবেন, এর কার্যকারিতা তত কমে যাবে। তাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি গ্রহণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ইমার্জেন্সি পিলের প্রকারভেদ এবং খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত, ইমার্জেন্সি পিল দুই ধরনের হয়ে থাকে:

১. সিঙ্গেল ডোজ পিল (Single Dose Pill)

এই প্যাকেটে সাধারণত একটি পিল থাকে, যা একটি মাত্র ডোজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ১.৫ মিলিগ্রাম লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) হরমোন ধারণ করে।

খাওয়ার নিয়ম: অরক্ষিত যৌন মিলনের পর যত দ্রুত সম্ভব একটি পিল খেয়ে নিন।

২. ডাবল ডোজ পিল (Double Dose Pill)

এই প্যাকেটে সাধারণত দুটি পিল থাকে, যা ০.৭৫ মিলিগ্রাম লেভোনরজেস্ট্রেল হরমোন ধারণ করে।

খাওয়ার নিয়ম: প্রথম পিলটি অরক্ষিত যৌন মিলনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খান। এর ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় পিলটি খেতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:

পিল খাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে যদি বমি হয়, তবে পুনরায় আরেকটি পিল খাওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ইমার্জেন্সি পিল শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। এটি কোনো নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়। ঘন ঘন ব্যবহার করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল যৌনবাহিত রোগ (যেমন: HIV/AIDS) প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা রাখে না।

ইমার্জেন্সি পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এই পিলে হরমোনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে, তাই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সাধারণত দেখা যায় এমন কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো:

  • বমিভাব বা বমি
  • মাথা ঘোরা বা মাথা ভার হওয়া
  • পেটে ব্যথা
  • স্তনে ব্যথা

মাসিকের চক্রে পরিবর্তন (মাসিক আগে বা দেরিতে শুরু হতে পারে, অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি রক্তপাত হতে পারে)

যদি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেও মাসিক বন্ধ থাকে বা গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

Level 2

আমি পারভেজ হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস