ভিসা করতে কি কি লাগে ২০২৫

এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য প্রথম দরকার হচ্ছে ভিসা। ভিসাকে বলা হয় অনুমতি পত্র। তাই আপনি যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে চান অবশ্যই ভিসা করতে হবে।

ভিসা করতে গেলে অবশ্যই ভিসা করতে কি কি লাগে তা জেনে রাখা দরকার। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্টুডেন্ট, টুরিস্ট ও মেডিকেল ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ভিসা করতে কি কি লাগে ২০২৫

আপনি যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র ভিসা এজেন্সিতে জমা দিতে হয়। তাই চলুন ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা জেনে নেওয়া যাক।

পাসপোর্ট: ভিসা করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হল একটি বৈধ পাসপোর্টের। একটি বৈধ পাসপোর্ট হলেই আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাস থাকতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র: ভিসা করার জন্য দ্বিতীয় যে কাগজ দরকার সেটা হলো জাতীয় পরিচয় পত্র। হতে পারে সেটা ভোটার আইডি কার্ড বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।

ছবি: ভিসা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ডকুমেন্ট হলো আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ভিসার আবেদন করতে বেশ কয়েক কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: আপনি দেশবিরোধী বা অপরাধী কোনো কাজে লিপ্ত নন এই মর্মে পুলিশ স্টেশন থেকে একটি সার্টিফিকেট নিতে হবে যাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বলা হয়।

মেডিকেল সার্টিফিকেট: দেশের বাহিরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই মেডিকেল চেকআপ করতে হয়। মেডিকেল চেকআপ করার পর একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয় এটাই মেডিকেল সার্টিফিকেট।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণের জন্য ভিসায় আবেদন করতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগে। তাই ভিসার আবেদন করতে অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ: আপনি যদি উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে অন্য কোন দেশে যেতে চান সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগবে। অর্থাৎ, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অবশ্যই একাডেমিক সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

IELTS সার্টিফিকেট: স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস হল IELTS সার্টিফিকেট। ইংরেজি ভাষায় আপনি কতটা দক্ষ তা প্রমাণের জন্য IELTS সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

অভিজ্ঞতা সনদ: যারা কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের অনেক সময় অভিজ্ঞতা সনদের দরকার হয়। তবে সব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সনদ প্রয়োজন হয় না।

অফার লেটার: ভিসা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস হল অফার লেটার। স্টাডি ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে অফার লেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মোটামুটি উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো হলেই আপনি যেকোনো দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

আরো পড়ুন: ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে

 

ভিসা কিভাবে করতে হয়?

ভিসা করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিসা এজেন্সিতে যোগাযোগ করতে হবে। অর্থাৎ, আপনি যে দেশে যেতে আগ্রহী সেই দেশের ভিসা এজেন্সিতে উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করবেন।

তারপর ভিসা এজেন্সি আপনার ভিসার আবেদন জমা নিবেন। এরপর আপনার ভিসা তৈরি হয়ে গেলে এজেন্সি আপনার সাথে যোগাযোগ করে ভিসাটি আপনার হাতে দিবে।

আরো পড়ুন: ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে

ভিসা করতে কত টাকা লাগে?

ভিসা করতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশের ভিসা করবেন তার উপরে। সাধারণত ভিসা করতে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

তাই সঠিকভাবে বলা মুশকিল ভিসা করতে কত টাকা খরচ হবে। কারণ এক এক দেশের ভিসা করতে এক এক রকম টাকা লাগে।

Level 2

আমি পারভেজ হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস