অবৈধ ভিওআইপি করছে বিটিসিএল ও রাজি উদ্দিন রাজুর ১১ হাজার কোটি নগদ নারায়নের খতিয়ান

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

প্রথমআলোর খবরঃ

NEWS LINK : অবৈধ ভিওআইপি করছে বিটিসিএল

নিচের লেখাটা কাইন্ডলি কপি মেরে প্রথমআলোর খবরটির কমেন্টের ঘরে পেষ্ট করে দেন।

উপরের নিউজে অনেক খবর দিলেও এখানে অবৈধ্য লেনদেনের টাকার পরিমান খুবই সতর্ক ভাবে রিপোর্টার উল্লেখ করেন নি।আমি হিসাবটা দিচ্ছি। ৫. গত জুনের এক হিসাবে দেখা যায় দেশে প্রতিদিন ৬ কোটি মিনিট আন্তর্জাতি কল অবৈধ্য ভিওআইপি/টারমিনেট করা হয়।যার প্রতি মিনিটের সরকারি সরকারী রাজস্ব ৪ ইউএস সেন্ট। দৈনিক ৩০ কোটি টাকা বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা। আমরা আসলে আন্দাজ করার মত সামান্য ধারনাও রাখি না দেশের বাতাস বেঁচে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে কি পরিমান হরিলুট চলে।

নিচে রাজি উদ্দিন রাজু'র ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর এই মন্ত্রনালয়ের সংগঠিত মোটা দাগের কয়েকটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নিউজ শেয়ার করলাম মেমরি রিফ্রেস করার জন্য। দেখেন রাজি উদ্দিনকে আন্দাজ করতে পারেন কি ?

১. গত মাসেই দেখেছেন গ্রামীনফোন এক চেকে এই মন্ত্রনালয়কে ১৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে। যা ছিল দেশে এযাবৎ সবচেয়ে বড় চেক।

২. গত দুই বছর ধরে শুনেছেন গ্রামীন, বাংলালিংক, সিটিসেল, রবি এই চারটি মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় ২৭ হাজার কোটি টাকা পাবে। কখনও শুনেছেন ১৫ হাজার কোটি। সর্বশেষ রফা হয়েছে ৩-৪ হাজার কোটি টাকা এবং ইনস্টলমেন্ট শুরু হয়ে গেছে।

৩. ২০০৯ সালে ভারতের এয়ারটেল মাত্র এক কোটি টাকা এসেট ভ্যালু দেখিয়ে ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার ৭০,০০০০ সত্তুর লাখ টাকায় ক্রয় দেখিয়ে অনুযায়ী ৫.৫ শতাংশ তিন লক্ষ পচাশি হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দেখিয়েছে কাগজ পত্র করে নিয়েছে।

৪. ২০০৯ জানুয়ারী মাসে সারাদেশে অপটিক ফাইবার স্থাপনের জন্য অপটিক এট হোম নামক একটি মাত্র কোম্পানীকে লাইসেন্স দিয়েছে। পরে কোন ধরনের নিয়মনীতি না মেনে আরও একটি কম্পানীকে লাইসেন্স দেয়।

৫. গত জুনের এক হিসাবে দেখা যায় দেশে প্রতিদিন ৬ কোটি মিনিট আন্তর্জাতি কল অবৈধ্য ভিওআইপি ব্যবসা হয়।যার প্রতি মিনিটের সরকারি সরকারী রাজস্ব ৪ ইউএস।তাহলে ভাবুন এই মন্ত্রনালয়ে প্রতিদিন কত কোটি টাকা শুধু ভিওআইপিতে ব্যবহার হয়।

৬. সেই জানুয়ারী ২০০৯ থেকে ছয় মাসের মধ্যে ১২ হাজার টাকায় ল্যাপটপ বানানোর প্রজেক্ট হাজার কোটি টাকা খরচ করে আজ ৩ বছরেও মার্কেটে আনতে পারে নি। অথচ ভারত পরে উদ্দোগ নিয়ে ২০০৯ সালেই ৭ হাজার টাকায় নোটবুক বানিয়ে মার্কেটে ছেড়ে দিয়েছে।

৭. টেলিটককে ঢেলে সাজানোর নামে ২০১০ সালে চিন থেকে ১৫০০শ কোটি টাকা চড়া সূদে লোন নিয়ে চিন থেকেই যন্ত্রপাতি আমদানির যোগশাযোসে সব টাকা শেষ অথচ টেলিটকের অবস্থা আজও যা ছিল তার চেয়ে খারাপ।

৮. ওয়াইমেক্সের এক চেটিয়া ব্যবসা অব্যহত রাখার জন্য ওয়াইম্যাক্সের শত্রু ৩জি এর লাইসেন্স ছয় মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে বলে ৩ বছর কাটিয়ে দিয়েছে।এতে কত খেয়েছে কে খবর রাখে।

৯. টেরেস্টারিয়াল লিংক লাইসেন্স, ফ্রিকোয়েন্স এলোকেশন, মোবাইল অপারেটরদের হাজার রকম বানিজ্যের অনুমোদন, পিএসটিএন, আইপি ফোন লাইসেন্স, ভিওআইপি লাইসেন্স, ব্যান্ডউইথ এ্যাক্সপোর্ট, স্যাটালাইট টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ সহ আরও একশর উপর খাত আছে যার প্রতিটিতে হয়েছে শত কোটি টাকার লেনদেন।

খেয়াল করে দেখুন তো ২০০৬ সালে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার পর গত ৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি বেসিক অবকাঠামো বা নেটওয়ার্কিংয়ে এক ইঞ্চি অগ্রগতিও হয়েছে কি ? এই সবটুকু দায়িত্ব ছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজু। ধরলাম ২০০৭-২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকার ছিল ? ঠিক আছে পরের ৩ বছরে কি হইছে যেখানে আগের দুই বছরও ক্ষতি পুশিয়ে নেয়ার কথা ছিল ? সেদিন ২০০৭ সালে আপনি যেই ভাবে ও পরিমান ইন্টারনেট সংযোগ পেতেন তার কোন উন্নতি হয়েছে কি ? হলে দেখান ? কোথায় অবকাঠামোগত কোন ডেভলপমেন্ট হয়েছে ? অপটিক ক্যবল নেটওয়ার্ক, থ্রিজি কোথায় কি ? এক ফোটাও হয়নি।উল্লেখ্য এগুলো হলে ভিওআইপি ১১ হাজার কোটি টাকার নগদ নারায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে ঠিকই যন্ত্রপাতি কেনার নামে।

চলুন পাঁচ জন টপ ব্যার্থ মন্ত্রীর তালিকা তৈরী করি।

১. ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজু।

.

.

.

.

২. যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন।

৩. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন।

৪. অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

৫. বানিজ্য মন্ত্রী ফারুক হোসেন।

পাঠকরা এক নম্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় দেখে যদি টাসকি খান তাহলে বুঝবেন তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান আপনার ফেইসবুক ও টিটি পর্যন্তই আর ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নাই। কারন ডিজিটাল বাংলাদেশের হেকোয়র্টার এই মন্ত্রনালয় এর ব্যর্থ হলে তা শুধু তার খাতায় যোগ হয় না তা যোগ হয় অন্য সব মন্ত্রনালয়ের ব্যর্থতার সাথেও।তাই ঐটাকে শুধু এক নম্বরেই রাখিনি দ্বিতীয়টির সাথে অনেক গ্যাপও রেখেছি।টাকার অংকেও এর স্থানই প্রথম।

রাজি উদ্দিন রাজুর মত ডিজিটালে অথর্ব টাল লোককে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বানিয়ে রাখা আর ডিজিটাল বাংলাদেশের আত্ম হত্যার শামিল।

কপি পেস্ট মারেন।তথ্যটির হিট বাড়ান।জাতির উপকার করেন।

আমি অনলাইন রেডিও শুনি রেডিও জাস্ট ফর ইউ থেকে 🙂

Level 0

আমি সজল আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 78 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

:)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

কিছুদিন আগে techtunes এ কিউবি ডাউনলোড লিমিটেশন hack করা নিয়ে tune দেখেছিলাম এখন আর খূজে পাচ্ছি না।কেউ যদি জেনে থাকেন তবে,আশা করি উত্তর পাব। ধন্যবাদ।
যদি টিউনটি পাওয়া না যায় তবে যিনি কিউবি ডাউনলোড লিমিটেশন hack করতে জানেন তাকে অনুরোধ করছি সাহায্য করার জন্য।আমার মেইল হলঃ [email protected]
মোবাইলঃ 01722092395

    @শুভ: ঐটা দিয়া শুধু কিউবি না, সেই সাথে আপনার সব পাহওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যেত। ওটা ছিল কীলগার।

ভাই, কমেন্টের ঘরে এটা প্রকাশ করছে না। অনেক্ষন আগে দিয়েছি।

valo hoiace

ডা থীফ অব ঢাকা সিটির ডাকসাইটে চোর-ডাকাত দের দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ না হউক মহামন্ত্রী চোর-ডাকাতদের ঘরে ঘরে ডিজিটাল চুরির মহাউৎসব চলছে ……….যে যেভাবে পারে নিচ্ছে সময় যে অনেক কম !!! কৌণ বণেগা চোরপতি ?
অচিরেই আসছে যে তারুডাকাত তাকে রুখবে কে ………………….

কি দেখার কথা কি দেখছি, কি শোনার কথা কি শুনছি,
সবকিছু দেখার পরেও আমি, ডিজিটাল বাংলাদেশ খুজছি …

এই সকল ব্যক্তিগত লাভের জন্যই ভিওআইপি উন্মুক্ত করতেছে না। আমার তো মনে হয় এই সরকারের ৯৫% মন্ত্রীরাই নিজের পকেট নিয়ে ব্যস্ত। বিভিন্ন প্রতিষ্টানের নাম পরিবর্তন ও ঢাকা’র বিভক্তি ছাড়া তেমন কোন কাজ করছে না সরকার।

Level 0

ধন্যবাদ। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেবার জন্য। কিন্তু এদের থেকে আমাদের বাঁচার উপায় কি! কেউ কি বলতে পারবেন?

Level 0

amar mote asob montri k saudi arab er oi 8 jon bangladeshider moto fasi deoa dorkar.

Level 0

amar mote asob montri k saudi arab er oi 8 jon bangladeshider moto sirossid kora dorkar.

Dannbad share korar janna. Onek durniti kortese raju.

Level 0

মন খুলে জুতান দরকার ছিল

ভাই ওদের কি আসে যায়, আমাদেরকে যত এভাবে রাখবে আমরা ততই অন্ধকারে থাকব।এতে ওদেরই লাভ। ওদের ছেলেমেয়েরা বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে আমাদের যা বুঝাবে আমরা তাই বুঝব। ওদের দল ভারি হবে। আইন, আদালত, বিচারপতি, উকিল, ব্যরিষ্টার, পুলিশ সবই ওদের পক্ষে। আমরা ওদের ঝাড়ুদার-রাস্তা পরিষ্কার করব , তারা আবার আসবে।
শয়তানের শেষ আশ্রয়স্থল দুই জায়গায় দেশ প্রেম ও ধর্মে। ওরা কথায় কথায় দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ, ইসলাম ইত্যাদি যুক্তি দেখাবে। আমাদের বন্ধ মুখ বন্ধই থাকবে।
* এ বক্তব্য কোন নিদিষ্ট দলের জন্য নয়, সমগ্র রাজনীতির জন্য।

মুক্তি মিলবে না সহসা।