 |
গাজীপুর, জুলাই ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশে তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের ল্যাপটপ 'দোয়েল' চলতি মাসেই বাজারে আসছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজীউদ্দিন আহমেদ রাজু।
টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেডের (টেশিস) গাজীপুর কারখানায় শুক্রবার এই ল্যাপটপের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। দোয়েলের ন্যূনতম দাম হবে ১২ হাজার টাকা।
উৎপাদন কাজ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্র্র্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যের এই ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইসমাইল, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আব্দুস সামাদসহ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ল্যাপটপ তৈরির জন্য প্রথামিকভাবে ১৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। টেশিসের কারখানায় প্রতিমাসে ১০ হাজার 'দোয়েল' তৈরি করা হবে। কারখানার জায়গা বাড়াতে পারলে প্রকল্পের পরিসরও বাড়ানো সম্ভব হবে বলে জানান মন্ত্রী।
টেশিসের এমডি মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শ ও সহযোগিতায় মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান 'থিম ফিল্ম ট্রান্সমিশন' (টিএফটি) এবং কয়েকজন বিদেশি বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এ প্রকল্প।
ল্যাপটপের মাদার বোর্ডসহ শতকরা ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি হবে। পরীক্ষামূলকভাবে শুরুতে তৈরি করা হবে দুইশ' ল্যাপটপ।
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত টেশিসে একসময় শুধু টেলিফোন সেটই উৎপাদিত হতো।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/১৯১৩ ঘ.
আমি shawal2011। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I AM WEBDEVELOPER
হতাশ হলাম । টেশিশের নোটবুক নিয়ে প্রকাশিত সব খবর এবং তথ্য এক সুতুই গাথলে এটা বলা যায় যে, এটা আমাদের কাছে পৌছতে অনেক সময় লাগবে।
দাম ১২ হাজার! ২০ হাজারে ভালো মানের নোটবুক পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশে তৈরী হবে, এদেশের আবহাওয়ার কারণে অনেক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র নষ্ট হয়। নষ্ট হলে বা ওয়ারেন্টি পেতে কি দুর্ভোগ পোহাতে হবে কে জানে! তবুও আশা রাখি আমাদের দেশ প্রযুক্তির দিকে আরো এগিয়ে যাক। দুনিয়ায় যেমন [মান কম খারাপ হলেও] চায়না জিনিসের ছড়াছড়ি, তেমনি বাংলাদেশের নামও উঠে আসুক 🙂
আশা করি গুণগত মানের দিকে খেয়াল রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
অপেক্ষায় আছি। তবে বাংলাদেশী ইলেক্ট্রনিক জিনিসের নাম শুনলেই ভয় করে। আশা করি ভাল মানের হবে।
বাংলাদেশি পন্য বিদেশে যতেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। আশাকরি শুরুতে না হলেও দ্রুত সুনাম কুড়াতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ চীরজীবী হোক।
ভাই, কষ্ট করে টিউন করার জন্য ধন্যবাদ। ২০০ ল্যাপটপ দিয়ে কি আর সারা বাংলাদেশ ঠান্ডা করা যাবে?
দেশি পণ্য, কিনে হতে চাই ধন্য।
কিন্তু এখন দেখার বিষয় ওয়ারেন্টি পেতে গিয়ে কি রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। 😉
মূল্যটা বড় কথা না, এটার ব্যবহারের দিক থেকে কতটা সুবিধাজনক হবে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
বর্তমানে ২০ হাজারেও ল্যাপটা পাওয়া যায়, সেগুলো বাস্তবে কেউ কিনতে চায় না কেন সেটা আগে বুঝতে হবে।
খবরটা শেয়ার করায় ধন্যবাদ !