সাইবার নিরাপত্তায় চালু হল সরকারী হেল্পলাইন নম্বর। জেনে নিন এখনই, মোবাইলে সেভ করে রাখতে পারেন জরুরী এই নম্বরটি।

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইম ক্রমশ বাড়ছে। তাই এটি প্রতিরোধ করতেও সরকার নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চালু করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তায় (০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮) হেল্পলাইন। সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা এই নম্বরে ফোন করে সাইবার সংশ্লিষ্ট হয়রানী নিয়ে অভিযোগ করা যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ খবর জানিয়েছেন।

গত মাসে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাইবার ক্রাইম বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা জানান, দেশে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয় এবং দেশের আইন-শৃক্সখলা বাহিনী এই অপরাধের ৯৫ শতাংশ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ওই বৈঠকে দেশে সাইবার নিরাপত্তা কোন পর্যায়ে রয়েছে তার পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, ২০০৪ সালে ই-মেইলের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির মাধ্যমে মূলত এই সাইবার ক্রাইম আলোচনায় আসে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ৬৪টি জেলায় তথ্য বাতায়ন উদ্বোধনের পর প্রায় ১৯টি সাইট হ্যাক করে বিদেশি হ্যাকাররা। ইনসাইট বাংলাদেশ দেশে সাইবার অপরাধ ও সাইবার আইন নিয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ইতিমধ্যে তারা মোবাইল হেল্প ডেস্ক চালু করেছে।

এই মোবাইল হেল্প ডেস্ক নম্বরের মাধ্যমে যে কেউ সাইবার অপরাধ বিষয়ে জানতে এবং বুঝতে সহায়তা পাবেন। আগামীতে তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব অপরাধ সংঘঠিত হয় সেসব বিষয়েও সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আরও সচেতন করার জন্য বক্তারা জোর দেন।

এদিকে ফেসবুকে জুনাইদ আহমেদ পলক স্ট্যাটাসে গ্রামীণফোনের মোবাইল নম্বরটি দিলে অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাইফ উদ্দিন শাকিল লিখেছেন, ভালো উদ্যোগ কিন্তু কেু কি বলতে পারেন, সরকার নিজে টেলিটক ব্যবহার করে না কেন? আসিফ রহমান আকাস লিখেছেন, আগে প্রধনামন্ত্রীর নাম্বার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও দেখেছি টেলিটককে অবহেলা করতে। আপনিও সেটাই করলেন। আপনাদের উচিত টেলিটককে উপরে তোলা।

এর আগে ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, অভ্যুত্থান চেষ্টাকারী কয়েকজন সৈন্যরা ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা এবং প্ররোচিত করার কাজ করছেন। এরই প্রেক্ষিতে ২৫ জানুয়ারি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে একটি বিশেষ টিম গঠন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিএসআইআরটি) নামে এই দল সাইবার ক্রাইম সনাক্তে কাজ শুরু করে। আগে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিত বিটিআরসি, তবে এখন সিএসআইআরটি কাজ শুরু করায় সাইবার ক্রাইমের বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলবে বলে জানানো হয়। রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়- ওয়েবসাইটগুলোতে এমন বিষয় সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়াই হরে এই দলের মূল কাজ।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের এই দল গঠন করা হয়। কমিশনের সদস্য, মোবাইল ফোন অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, পিএসটিএন, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে ও সাইবার ক্যাফের প্রতিনিধিদের এই দলে রাখা হয়।

রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়- এমন ওয়েবসাইট সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়াই হরে এই দলের মূল কাজ। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে দলটি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধীকে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজা এবং ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৯ ধারা অনুযায়ী এই শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়। তৎকালীন নানান উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত এর কোন বাস্তবায়ন হয়নি। বরং দীর্ঘদিন ধরে এটি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।

লেখাটি প্রকাশিত প্রিয় ডট কম -এ। সকলের স্বার্থে টিউনটি শেয়ার করলাম মাত্র। তবে অবাক লাগছে সরকারী একটি হেল্পলাইন কিভাবে হারামীরফোন কে বেঁছে নেয়? অথচ সরকারী টেলিকম কোম্পানি টেলিটক। নিজে না বদলালে বদলাবেনা কোন কিছুই। প্রথম আলো ঠিকই বলেছে আসলে! ব্লগার মারুফ ডট কম

Level 2

আমি ব্লগার মারুফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 196 টি টিউন ও 1301 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মারুফ। প্রযুক্তিকে ভালোবাসি। তাই গড়তে চাই প্রযুক্তির বাংলাদেশ। পড়াশুনা করছি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে। আমার ওয়েবসাইটঃ https://virtualvubon.com এবং https://www.rupayon.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

আমার ও অবাক লাগছে সরকারী একটি হেল্পলাইন কিভাবে হারামীরফোন কে বেঁছে নেয়?

Ajob Desh ar Aajob Sorkar. Nejar Company Rakha onner Company ar SIM Use kore.

এ সরকারের মাথা নষ্ট। তাই তারা টেিলটক বাদে 🙁 । তারা জানে যে তাদের ফোন নাম্বার দিলে দূনীতি হবে। অার ও ফোনে নেটওয়াক সব জায়গায় পাওনা যায় না। তাই দিছে :p

    @মো আশরাফুল ইসলাম: তাই বলে হারমীর ফোন? সিটিসেল নিলেও পারত। 😛

বাংলাদেশে হ্যাকার দের কোন মূল্য নাই। বাইরের দেশ হলে চাকরি দিয়ে দেই আর বাংলাদেশে তার পরিনাম শাস্তি এবং জরিমানা।

    @মোঃ আলমগীর হোসেন: এটাই তো আমাদের বাংলাদেশ। দেশের হাল ঠিকও করবেনা আবার কাউকে হাল ধরার সুযোগও দিবেনা। অদ্ভুত জায়গা। যতই হোক হ্যাকিং অনলাইনের সবচেয়ে বড় সম্মানি পেশার একটি আমি মনে করি।

      @ব্লগার মারুফ: তুমি যাই ভাব কথাটা সত্য ,আমি এই বছরের মধ্যে হ্যাকিং শিখব এবং সরকারি ওয়েবসাইট গুলা আগে ফেলব। Target কিন্তু এখনো কিছু পারি না।

হিহি 😀 মজা পাইলাম। নিশ্চয় কল দিলে বলবে:
সাইবার নিরাপত্তা পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম:
বাংলায় শুনতে চাইলে ১ চাপুন For English press 2
১ চাপার পর বলবে: ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হলে ১ চাপুন। ওয়েবসাইট হ্যাক হলে ২ চাপুন। কেউ অনলাইনে হয়রানি করলে ৩ চাপুন, অন্যান্য সেবার জন্য ৪ চাপুন। আমাদের সাপোর্ট ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে ০ চাপুন।
এরপর যখন ০ চাপবো তারপর বলবে, আমাদের কাছে কল করার জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানের জন্য আপনার কলটি রেকর্ড করা হবে। দু:খিত এই মুহুর্তে আমাদের সব কটি লাইন ব্যস্ত থাকায় আপনার কলটি ওয়েটিং এ রয়েছে। অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন।
এরকম ১ মিনিট যাওয়ার পরে কোনো সুকন্ঠী রমনী ফোন ধরে বলবে, “শুভ সন্ধ্যা স্যার, সাইবার নিরাপত্তাতে আপনাকে স্বাগতম। কিভাবে সাহায্য করতে পারি?” এরপর আমি আমার প্রবলেম নিয়ে বলবো। তিনি সবকিছু শুনে বলবেন অনুগ্রহ করে কিছুক্ষন লাইনে থাকুন। তারপর হয় ২ মিনিট আমাকে লাইনে থাকতে হবে তারপর তিনি ফিরেেএসে এমন কোনো সমাধান দিবেন তাতে চান্দি গরম হইয়া যাইব। এইটাইতো বাংলাদেশ। এইটাই সাপোর্ট সেন্টারের ধরন।

(সম্পূর্নটাই কল না করে করা কল্পনা। যদি কেউ কল করে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা জানাবেন)
😀

    @জাওয়াদ: চরম কথা বলছেন।একটু আগে ও শুনলাম

      @পল্লব পাড়ই: শুনছেন মানে? কল দিছিলেন নাকি? o.O 😀

    @জাওয়াদ: চরম বলছেন ভাই। আসলে কথাগুলো সত্যি। ফোন করিনি তবে অপরাধ ইচ্ছে করে ফোন দিব নাকি ভাবতেছি। ফোন দিয়া বলব, “আফা আমি একজন সত্যিকারের সৎ পোলা। ফ্রি নেট ব্যবহার করছি। এইটা আমার বড় একটি অপরাধ। আমারে শাস্তি দেওয়া যায়? ওপাশ থেকে বলবে হয়ত, ওকে স্যার আমাকে একটু সময় দিন আমি চেক করে জানাই আপনাকে শাস্টি দেওয়া যায় কিনা”
    হাহাহাহা 😛

      @ব্লগার মারুফ: ষাঁড় অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাতে হচ্ছে যে আপনার যে অপরাধ তাতে শাস্তি দেওয়া সম্পর্কে আমাদেরকে ক্লিয়ারকাট কিছু বলা নেই। তবে আপনার পরামর্শটি আমরা আমাদের ম্যানেজমেন্ট টিমের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দণ্যভাত সাইবার নিরাপত্তায় কল করার জন্য।

    @জাওয়াদ: ha ha ha 😀

Valo prostab but kaz korbe kina sondeho ase

    @জাহিদ হাসান: ভাই বাংলাদেশে সব প্রস্তাবই ভালো ৯৯% কাজ হয় শুধু আর কি ওই ১% ভেজাল।

আমি ত ফোন করলাম বাট কেউত রিসিভ করে না।

    @বাংলাদেশি হ্যাকার: এরকম অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে নতুন কি ভাই? হেল্পলাইন বাহির করা উচিৎ বাহির করছে সেটা কতটুকু চলবে সেটা তো গ্রামীনফোনের মত ক্লিয়ার কাট করে বলেনা।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য, এবং আরো ধন্যবাদ নিচের নোটটার জন্য। কারন ইদানিং অনেকে ডাইরেক্ট কপি পেষ্ট টিউন করে, আবার বড় গলায় চিল্লায়। তবে রীতিমত অবাক হলাম গ্রামীন নাম্বার দেখে।

    @সুমির: ভাই আমার লেখাগুলো লক্ষ্য করে দেখবেন আমি সাধারনত দরকারী নিউজ গুলো অনেক সময় ক্রেডিট লিংক সহ শেয়ার করে থাকি। শুধুমাত্র দরকারী বলেই। তবুও কিছু লোক আছে যাদের গাঁয়ে সহে না। ক্রেডিট লিংক দেখেও না দেখার ভান করে বলে কপি পেস্ট টিউন। আর গ্রামীনফোন নম্বর দিয়ে ভালো রকম অবাক এবং সার্কাস মূলক কাহিনীই ঘটালো সরকার।

দারুন ।

    @মুন্না: আপনার কাছে দারুন লাগলো ভাই? আমরা তো সবাই কনফিউজড যে এই সার্ভিস আদৌ কিরকম সেবা দিবে।

      @ব্লগার মারুফ: সেই জন্যই তো বললাম দারুন ! 😀