অবশ্যই! ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কিস্তিতে মোবাইল কেনার কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হলো:
১. মোবাইল অপারেটরের অফার:
- কিছু মোবাইল অপারেটর যেমন বাংলালিংক তাদের গ্রাহকদের জন্য ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কিস্তিতে মোবাইল কেনার সুযোগ দিচ্ছে।
- এক্ষেত্রে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টফোন কেনার সুযোগ থাকে এবং ডাউন পেমেন্ট ও কিস্তির সংখ্যা নির্ধারিত থাকে।
- আপনাকে তাদের সেন্টার থেকে অথবা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হতে পারে।
- যেমন, বাংলালিংক তাদের "স্মার্টফোন অন ইনস্টলমেন্ট" অফারের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ মাসের কিস্তিতে কিছু নির্দিষ্ট মডেলের ফোন কেনার সুযোগ দিচ্ছে। এর সাথে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও পাওয়া যায়।
২. স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ:
- কিছু স্মার্টফোন ব্র্যান্ড যেমন ইনফিনিক্স পাম পে-এর মতো ফিনটেক প্ল্যাটফর্মের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কিস্তিতে ফোন কেনার সুযোগ দিচ্ছে।
- এক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট এবং কিস্তির শর্তাবলী ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম ভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- সাধারণত, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ডাউন পেমেন্ট করতে হয় এবং বাকি টাকা নির্দিষ্ট সংখ্যক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।
৩. অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম:
- বিভিন্ন অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেমন দারাজ, পিকাবু ইত্যাদি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কিস্তিতে মোবাইল কেনার সুবিধা দিয়ে থাকে।
- এক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব কিছু নিয়ম ও শর্তাবলী থাকতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের চুক্তি থাকে, যার মাধ্যমে কিস্তির সুবিধা পাওয়া যায়।
৪. সরাসরি বিক্রেতার কিস্তি সুবিধা:
- কিছু মোবাইল ফোনের দোকান বা বিক্রেতা সরাসরি কিস্তিতে মোবাইল বিক্রি করে থাকে।
- এক্ষেত্রে তারা সাধারণত কিছু নথিপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়ের প্রমাণ ইত্যাদি চেয়ে থাকে।
- ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ এবং কিস্তির সংখ্যা তাদের নিজস্ব নীতির উপর নির্ভরশীল।
৫. নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (NBFI):
- কিছু নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন টিভিএস ক্রেডিট জিরো ডাউন পেমেন্টে মোবাইল কেনার সুবিধা দিয়ে থাকে।
- এক্ষেত্রে তাদের কিছু যোগ্যতার মানদণ্ড থাকে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
- ক্রেডিট স্কোর এবং কর্মসংস্থানের স্থিতিশীলতা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
কিস্তিতে মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ শর্তাবলী:
- একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) থাকতে হবে।
- আয় প্রমাণপত্র জমা দিতে হতে পারে।
- কিছু পরিমাণ অর্থ অগ্রিম পরিশোধ করতে হতে পারে (ডাউন পেমেন্ট)।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট বা অন্য কোনো আর্থিক নথি লাগতে পারে।
- কিস্তির মেয়াদ সাধারণত ৩ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত হতে পারে।
আপনার প্রয়োজন ও সুবিধা অনুযায়ী উপরে দেওয়া যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই কিস্তিতে মোবাইল কিনতে পারেন। কেনার আগে অবশ্যই বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ও শর্তাবলী ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।