অ্যান্ডয়েড মোবাইল ও ট্যাব যেভাবে নিরাপদ রাখবেন

টিউন বিভাগ মোবাইলীয়
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

প্রযুক্তি গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্ডয়েড এখন অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল প্লাটফর্ম। অ্যান্ডয়েডের জনপ্রিয়তার একটি মূল কারণ হচ্ছে সহজ কাস্টমাইজেশানের ও নানা রকম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা। কিন্তু অ্যাডয়েডে অনেক সমস্যার একটি হচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন। অনেক সময় গুগলের প্লে স্টোরের বাইরে থেকেও অ্যাপ ডাউনলোড করা হয় যা অ্যান্ডয়েডকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুকিঁর মুখে ফেলে দেয়।

ইন্টারনেট সুরক্ষা পণ্য নির্মাতা ইসেটের গবেষকেরদের মতে, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে মানুষের নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। এ ধরনের যন্ত্রে আমরা ব্যক্তিগত তথ্য বেশি বেশি করে সংরক্ষণ রাখছি যা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঝুকিঁ বাড়িয়ে তুলছে। আপনার ট্যাব থেকে মূল্যবান তথ্য চুরি ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেবেন? অ্যান্ডয়েড পণ্য ব্যবহারকারীদের জন্য তাঁদের পণ্য সুরক্ষার ১০ উপায় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

 

  • স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন

প্রতিটি অ্যান্ডয়েড ফোনে নিরাপত্তা হিসেবে স্ক্রিন লক করার সুবিধা রয়েছে। পিন, পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন লক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার পণ্যটিকে লক রাখতে পারেন। অ্যান্ডয়েড সিকিউরিটি সেটিংসে গিয়ে লক সক্রিয় করা যায়।

  • ডিভাইস এন্ড ক্রাফট করা

আপনার পণ্যের সব ডাটা এনক্রিপ্ট করা যায়। এতে মাবাইল বা ট্যাব প্রতিবার চালু করার সময় ডাটা বা তথ্যে ঢুকতে আলাদা করে পাসওয়ার্ড ও পিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এনক্রিমশন করা থাকলে ফোন যদি দুর্বৃত্তের হাতে পড়ে এবং এববার বন্ধ করে তা আবার চালু করে তাবে পিন বা পাসওয়ার্ড ছাড়া তথ্য চুরি করতে পারবে না। ডাটা এনত্রিমশন করলে ফোনের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে।

 

  • অফিসের কাজে নিজের পণ্য নয়

আপনার নিজের মোবাইল বা ট্যাব কী অফিসের কাজে ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট পিরাপত্তা পণ্য নির্মাতা টসেটের গবেষকেরা বলছেন, অফিসের কাজে নিজের পণ্য ব্যবহার করার সময় ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস আক্রমণের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

 

 

তাই নিজের পণ্যটি অফিসের কাজে যখন ব্যবহার করা হবে তখন অফিসের তথ্যপ্রযুুক্তি দল বা কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ নিন এবং তাদের নির্দেশ অনুযায়ী তথ্য আপনার ফোনে জমা রাখুন।

 

  • অ্যান্ডয়েড ডিভাইস ম্যানেজার সচল করুন

আপনার মোবাইল ফোন যদি বেহাত হয়ে যায় তখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ফিচারটির কল্যাণে আপনার পণ্যটিকে গুগল ট্র্যাক করতে পারবেন। এ ছাড়াও মোবাইল ফোনটি চালু থাকলে পূর্ণ ভলিউমে টানা পাঁচ মিনিট কল দিতে পারবেন। এমনকি দূর থেকেও আপনার সব তথ্য মুছে দিতে পারবেন। আপনার মোবাইল ফোনে ডিভাইস ম্যানেজার চালু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে সেটিংস থেকে সিকিউরিটিতে যেতে হবে। সিকিউরিটি সেটিংসের ডিভােইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থেকে আপনি ম্যানেজার চালু করতে পারেন।

 

  • এসডি কার্ডে স্পশকাতর তথ্য নয়

আপনার মোবাইলে এসডি কার্ডে ব্যক্তিগত কিংবা আর্থিক তথ্য জমা রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এসডি কার্ডের তথ্য সহজে মুছে ফেলা এবং হাতিয়ে নেওয়া সহজ বলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ যদি করতেই হয় তবে তা ইন্টারনাল মেমোরিতেই করুন।

 

  • যেখান সেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড নয়

অপরিচিত কোনো উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। অ্যান্ডয়েডের জন্য গুগলের প্লে স্টোরের অ্যাপসই ডাউনলোড করুন। গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, কেবল উৎস নিশ্চিত হয়ে এবং পরিচিত প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন। কোনো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার আগে আপনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে কিনা তা খেয়াল করুন এবং অনুমতি দেওয়ার আগে অ্যাপটির উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

 

 

  • অ্যাপস লক ব্যবহার করুন

আপনার স্মার্টফোন বা ট্যাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অ্যাপস লক ব্যবহার করতে পারেন। গ্যালারি কিংবা মেসেজিংয়ের সুরক্ষা হিসেবে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ লক ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনাকে আলাদা করে পাসওয়ার্ড বা পিন কোড সেট করে দিতে হবে। যাতে অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হয়।

 

 

  • ফোন রুট করবেন না

ফোন রুট করা হলে কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড রমের পাশাপাশির ক্ষতিকর অ্যাপসও ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। রুট অ্যাকসেস সুবিধার অ্যাপ পণ্যের ফাইল সিস্টেমকে অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যাপসের জন্য উম্মুক্ত করে দিতে পারে। এ ছাড়াও ফোন রুট করার বিষয়টি ফোন ওয়ারেন্টির লঙ্ঘন হতে পারে।

 

  • ব্রাউজিং করুন ছদ্মবেশেে

আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন বা ট্যাব থেকে ব্রাউস করার সময় ছদ্মবেশে ব্রাউজ করুন। যদি ক্রোম দিয়ে ব্রাউস করেন তবে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট হয়ে ব্রাউচ করবেন।

 

 

  • সফটওয়্যার হালনাগাদ করুন

গুগল সফটওয়্যার আপডেট উম্মুক্ত করে যার মধ্যে বেশ কিছু নিরাপত্তা প্যাচ দেওয়া থাকে। ডিভাইস সেটিংশ থেকে সফটওয়্যার আপডেটের বিষয়টি দেখে নেওয়া যেতে পারে। সেটিংসের অ্যাবাউট ডিভাইস মেনু থেকে সিস্টেম আপডেট বিষয়টি দেখে নেওয়া যায়।

 

 

Level 0

আমি Md rasel uddin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস