ফোরজির নিলাম ১৩ ফেব্রুয়ারি

টিউন বিভাগ অ্যান্ড্রয়েড
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

দেশে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (ফোরজি) বিস্তৃত করার জন্য টেলিকম অপারেটরগুলো ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিটিআরসির কাছে আবেদন করতে পারবে। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি।

সোমবার বিটিআরসি সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ২৯ নভেম্বরে ফোরজির নিয়ে সর্বশেষ সংশোধিত নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক কিছু প্রক্রিয়া শেষে সোমবার ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকট্রাম নিলামের তারিখ জানিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটি বলছে ফোরজির জন্য এটাই তাদের সর্বশেষ এবং ঘোষিত সময়সূচি।

বিটিআরসি ফোরজি এবং স্পেকট্রাম নিলামেল জন্য আবেদনে বলছে, একটি টেলিকম অপারেটর আবেদন আহ্বানের পর ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন নেওয়া হবে। আর প্রি-বিড মিটিং হবে ২১ ডিসেম্বর।

বিটিআরসি ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন নিয়ে যোগ্য আবেদনকারীর(অপারেটর) তালিকা প্রকাশ করবে ২৫ জানুয়ারি।

২৯ জানুয়ারি নিলামের আলোচনা, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিড আর্নেস্ট মানি প্রদান, ৭ ফেব্রুয়ারি নিলামের চিঠি প্রদান, ১২ ফেব্রুয়ারি মক নিলাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি নিলাম এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি নিলামে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার এ নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এটি হাতে পাওয়ার পর তখন অপারেটরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩টি আপত্তি দেয়। ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব আপত্তির অধিকাংশই সমাধান করেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

এরপর বিটিআরসি অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার মূল্য নির্ধারণ করে সংশোধিত নীতিমালাটি ৮ নভেম্বর টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয়বার এই ফোরজি নীতিমালায় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেন।

এতে ফোরজির ন্যূনতম গতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ২০ এমবিপিএস, যেখানে মহাসড়কে চলাচলকালে ও ট্রেনে ভ্রমণের সময় শুধু ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন হতে পারবে।

এই নীতিমালা অনুযায়ী ২১০০ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ এবং ৯০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলাম হবে। যার মধ্যে ২১০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জের নিলামের ফ্লোর মূল্য হবে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর ১৮০০ ও ৯০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্ডজ স্পেকট্রামের নিলামের ভিত্তি মূল্য হবে তিন কোটি ডলার।

এছাড়া নীতিমালায় অপারেটগুলোর যেসব আপত্তি প্রধানমন্ত্রীর তথপ্রযুক্তি উপদেষ্টা যেভাবে সমাধান করে দিয়েছিলেন সেগুলো সেভাবেই রাখা হয়েছে। দেশের টেলিকম অপারেটরগুলোর ওইসব আপত্তির মধ্যে অন্যতম ছিল গ্রাহক ডেটা ১২ বছর সংরক্ষণ করা, দেশি ব্যাংক হতে ঋণ নেয়া বা স্থানীয় বিনিয়োগের সুযোগ না রাখা, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল খরচের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমতি নেয়া, সময় সময় সরকারের রাজস্ব ভাগাভাগির অংশে পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখা, ফোরজি ডেটার গতি ও গ্রাহকের অব্যবহৃত অর্থ ফেরত দেয়া।

যদিও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্মৃতি হয়নি। এরই মধ্যে ফোরজি চালু হলে সেটি কতটা ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়

 

Level 0

আমি ইয়াছিন মিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস