স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সব ফিচারের স্মার্টফোন। তবে নতুন যত স্মার্টফোনই বাজারে আসুক না কেন, কিছু স্মার্টফোন অন্য সব স্মার্টফোন থেকে এগিয়ে থাকে।
আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এমনই ১০টি
গুগল আর মটোরোলা’র যৌথ উদ্যোগে বাজারে এসেছে নেক্সাস ৬। প্রায় ৬ ইঞ্চি স্ক্রিনের এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮০৫ প্রসেসর। এতে আছে ৩ জিবি র্যাম, সারাদিন চার্জ ব্যাকআপ দেয়ার ক্ষমতা আর কুইক চার্জ ২.০। অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ তো আছেই, সেইসাথে আছে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড এম এ আপডেট করে নেয়ার সুবিধা।
নেক্সাস ৬ ফোনটি অনেকটাই বেজেল ফ্রি। অর্থাৎ এর সম্মুখভাগের প্রায় পুরোটাই টাচ স্ক্রিনের অংশ। তুলনায় এক্ষেত্রে সেটটি আইফোন ৬ এর মত।
তবে নেক্সাস ৬ এর মূল্য অনেকের জন্যেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এটি কিনতে গুনতে হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬২০০০ টাকা। যেটি কিনা নেক্সাস ৫ এর দামের প্রায় দ্বিগুণ।
সনি এক্সপেরিয়া Z3 হল এক্সপেরিয়া Z2 এরই আপগ্রেড ভার্সন। পুরানো ডিজাইনের প্লাস্টিকের ফ্রেম আর গ্লাস বাদ দিয়ে ফোনটিতে আনা হয়েছে অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম। সেইসাথে আছে মেটাল আর গ্লাসের ডিজাইন।
২০.৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত এক্সপেরিয়া Z3 তে রাখা হয়েছে ডেডিকেটেড ক্যামেরা বাটন। আর সনির আইপিএস এলসিডি স্ক্রিন ব্যবহার করায় চড়া রোদের মাঝেও স্ক্রিন দেখতে অসুবিধা হবে না।
স্পেসিফিকেশনের ক্ষেত্রে সেটটি তার আগের ভার্সনের থেকে খুব বেশি আপগ্রেড না হলেও ডিজাইনের ক্ষেত্রে সনি তার সেরাটাই দিয়েছে এতে।
ফ্যাবলেট সাইজের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে কেবল আইফোন ৬ প্লাসেই অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আইওএস ৮.৪ ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি আই মেসেজ, আই ক্লাউড ইত্যাদি অ্যাপগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বড় স্ক্রিন ব্যবহার করার জন্যে এটি আপনার একমাত্র বিকল্প।
এর ৫.৫ ইঞ্চি হাই ডেফিনিশন স্ক্রিন এটিকে আইপ্যাড মিনি ৩ এর মতই মাল্টিমিডিয়া বান্ধব করে তুলেছে। আর স্পেসিফিকেশনের দিক থেকে এটিই আইফোনগুলোর মধ্যে সেরা। যেখানে আপনি পাচ্ছেন অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সমৃদ্ধ ক্যামেরা, ১০৮০ মেগাপিক্সেলের ক্রিস্পি স্ক্রিন আর বড় ব্যাটারি।
আর এসব পেতে খরচও আপনাকে একটু বেশিই করতে হবে। এজন্যে একই সাথে বাজারে আসা আইফোন ৬ এর থেকে এর দাম একটু বেশী।
সেরা দশ স্মার্টফোনের লিস্টে তিনটি জায়গা দখল করে আছে স্যামসাং। যার শুরু গ্যালাক্সি নোট ৪ থেকে। অ্যাপেল বা গুগলের চেয়ে স্যামসাং এর এই ফ্যাবলেটটি নিঃসন্দেহে এগিয়ে আছে।
গ্যালাক্সি সিরিজের এই ফোনটির বিশেষ আকর্ষণ এর ৫.৭ ইঞ্চি আকারের সুপার অ্যামোলেড স্ক্রিন। এটি কোয়াড এইচডি রেজোল্যুশনের মাধ্যমে পিক্সেল কাউন্ট করে যার ফলে এর রেজোল্যুশন এ জাতিও অন্যান্য ফোনের থেকে শার্প আর ব্রাইট। আর স্ক্রিনে ব্যবহারের জন্য এর সাথে আছে S Pen stylus. যা আপনার ফোন ব্যবহার আরও সহজ করে তুলবে।
গ্যালাক্সি নোট ৪ এর ক্যামেরার কালার কম্বিনেশন অতুলনীয়। এছাড়া ক্যামেরার প্রতিটি অংশই কাজ করে নিখুঁত ভাবে। আর স্যামসাং এর বিশেষ ইমেজ প্রসেসিং টুল এর কারণে কোন কোন সময় ছবি হয়ে ওঠে বাস্তবের চেয়েও প্রাণবন্ত।
গরিলা গ্লাস ৩, স্ন্যাপড্রাগন ৮০১ প্রসেসর, ৩ জিবি র্যাম আর ৩২২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার এর ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারির সমন্বয়ে তৈরি সেটটি নিঃসন্দেহে অসাধারণ।
স্যামসাংয়ের অন্যান্য ফোনের মত মাইক্রো এসডি কার্ড আর পরিবর্তনযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহারের সুবিধা সত্যিই প্রশংসনীয়। যা কিনা গ্যালাক্সি এস ৬ এও যুক্ত করা হয়নি।
বড় ভাই এক্সপেরিয়া z3 এর থেকে ক্ষমতা বা স্ক্রিন রেজ্যুলেশনের দিক থেকে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও এর রয়েছে উচ্চ মানসম্পন্ন স্পেসিফিকেশন। এর আর রিমোট প্লে সিস্টেম আর ২০.৭ মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা জা এই দামের অন্য কোন সেটে পাওয়া যাবেনা।
৪.৭ ইঞ্চি স্ক্রিন আর লং লাস্টিং ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনটি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আপনার যদি বড় আকারের ফোনের প্রতি আকর্ষণ না থাকে তবে সনির এই সেটটি হতে পারে আপনার জন্য।
৫ স্টার স্ট্যান্ডার্ডের না হলেও এইচটিসি’র রয়েছে বেশকিছু ভালো ফোন। এরই একটি এইচটিসি ওয়ান M9. বেশ কয়েকবছর ধরেই যেকোনো স্মার্টফোন টপচার্টেই উঠে আসছে এইচটিসি ব্র্যান্ডের নাম। পুরনো জনপ্রিয় ফিচারগুলো তো আছেই সেই সাথে যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন ফিচার।
এর বুম সাউন্ড সিস্টেম অডিওকে করে টার্বো চার্জড যা আমাদের অনেকেরই প্রিয়। তবে এর ক্যামেরা ২০.৭ মেগাপিক্সেলের করা হলেও ছবির মান একই মেগাপিক্সেলের অন্য সেটের ছবির মত না।
তবে সবকিছুর পরেও ব্যবহার করার জন্য এটি একটি উত্তম পছন্দ।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্সের সবগুলো ফিচারই এতে আছে। তবে ব্যতিক্রম হল সেটটির দুইপাশের বাঁকানো অংশ বা Curved Edge. এর বাহ্যিক সৌন্দর্য একে আলাদা করেছে। আপনার পছন্দ যদি হয় অন্যদের থেকে একটু আলাদা তবে আপনি বেছে নিতে পারেন এই ফোনটি।
এলজি’র স্মার্টফোন ডিজাইনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকে গ্রাহক চাহিদার দিকে। দেখতে ভালো ডিজাইন, উন্নত কালারের ডিসপ্লে আর ভালো ক্যামেরা সবই এতে আছে। কিন্তু যতটা আশা করা হয়েছিল তার পুরোটা দিতে পারেনি সেটটি।
ভয় পাবার কিছু নেই, অনেককিছু না থাকলেও অনেক বেশিকিছুই আছে এতে। লাক্সারি লেদারের আবরণ সেটটিতে এনেছে বৈচিত্র্য। প্লাস্টিকের আবরণের চেয়ে এটি নিঃসন্দেহে সুন্দর।
এর বড় আর দামি স্ক্রিনটি বাজারের অন্যতম সেরা। আর এর ১৬ মেগাপিক্সেলের লেজার অটো ফোকাস যুক্ত ক্যামেরা বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি।
কমপ্লিট প্যাকেজ হিসেব করলে এটি এক্সপেরিয়া Z3 বা এইচটিসি M9 এর থেকে এগিয়ে থাকলেও আইফোন সিক্স বা গ্যালাক্সি এস ৬ থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
আইওএস ৮ খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি। এতে আপনি একহাতেই আপনার মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য ৪.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে যুক্ত আইফোন সিক্স সবথেকে জনপ্রিয়। অনেক জটিল মেনু থাকলেও সহজেই এটি কাজ করে। আর কোন কিছুতেই সবথেকে উন্নতমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করলেও এটি খুব সুন্দরভাবেই চলছে।
মেগাপিক্সেলের দিক থেকে অন্য সেটের চেয়ে কম হলেও এটি খুব সহজে আর দ্রুত ব্যবহার করা যায়। এর স্ক্রিন রেজ্যুলেশন অন্যদের চেয়ে কম হলেও ডিজাইনে আগিয়ে আছে অন্যদের থেকে।
গত বছরের গ্যালাক্সি এস ৫ তেমন কোন নতুনত্ব না থাকলেও এবার স্যামসাং নিয়ে এসেছে বিস্ময়কর একটি ফোন। যা কিনা স্যামসাং এর বিশেষত্বই প্রকাশ করে।
এর ক্যামেরাটি অসাধারণ। এর অডিও আর ভিডিও ধারণ অত্যন্ত ৫.১ ইঞ্চি ডিসপ্লের সাথে থাকা কিউএইচডি ডিসপ্লে মার্কেটের সব থেকে নিখুঁত। এতে রয়েছে ওয়াটার প্রুফ সুবিধাও। তবে এর ব্যাটারি খুব সহজেই শেষ হয়ে যায়।
ডিজাইনের দিক থেকে এটি এর আগেরটির তুলনায় বেশ ভালো। এর টাচউইজ ওভার লে পারফেক্ট না হলেও বেশ ভালো।
সর্বপ্রথম যুগটেক এ প্রকাশিত এবং সংগ্রহীত লিঙ্ক
আমি অর্ক রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সবগুলার দামই আকাশ ছোঁয়া