নন-রিমুভেবল ব্যাটারি স্মার্টফোন এর সুবিধা এবং অসুবিধা

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে শুধু যে ব্যাটারিই মুখ্য তা কিন্তু নয়। স্মার্টফোন কেনার আগে সবারই উচিৎ স্মার্টফোনের প্রতিটি ফিচার সম্পর্কে জানা, যেন কষ্টের টাকায় কেনা স্মার্টফোনটি অনেক দিন ব্যবহার করা যায়। তবে স্মার্টফোনে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্যাটারি সংক্রান্ত হবার কারণে আজকাল ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দিচ্ছেন। খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সব ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলোতে থাকে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি। শুধু যে ফ্লাগশিপ ডিভাইসগুলোতেই এরকম হয় তাও কিন্তু নয়, মিডিয়াম বাজেটের অনেক স্মার্টফোনেও ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে নন-রিমুভেবল ব্যাটারির প্রচলন। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে অনেক রকম কনফিউশনে পড়ে থাকেন, তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে ‘রিমুভেবল না নন-রিমুভেবল, কোনটি ভালো হবে’। মূলত নন-রিমুভেবল ব্যাটারির সুবিধা এবং অসুবিধা দুই-ই রয়েছে। আর আজকে আমি এর দুটি বিষয়ের উপরেই আলোকপাত করার চেষ্টা করব যাতে করে আপনারা আপনাদের কনফিউশন থেকে কিছুটা হলেও দ্রুত মুক্ত হতে পারেন।

নন-রিমুভেবল ব্যাটারি স্মার্টফোন

রিমুভেবল ব্যাটারি

সুবিধা সমূহ:

  • বেশিরভাগ নন-রিমুভেবল ব্যাটারি যুক্ত স্মার্টফোনগুলোর সিম-স্লট এবং এক্সটারনাল মেমরি স্লট (যদি থেকে থাকে) থাকে বডির দুই পাশ দিয়ে। সিম পরিবর্তন করার জন্য ব্যাক কভার খুলে, এরপর ব্যাটারি খুলে কাজ করাটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর। এছাড়াও, নন-রিমুভেবল ব্যাটারির স্মার্টফোনগুলোর সিম স্লটগুলোও খুব সহজভাবে এক্সেস করা যায়। এদিক দিয়ে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি সমৃদ্ধ স্মার্টফোন এগিয়ে থাকবে।
  • বেশিরভাগ নন-রিমুভেবল ব্যাটারির স্মার্টফোনের ব্যাক পার্টটি থাকে সিলড। অর্থাৎ, প্রফেশনাল কারও সাহায্য ছাড়া আপনি সেই ব্যাক পার্টটি খুলতে পারবেন না। আর যেহেতু আপনি ব্যাক পার্টটি খুলতেও পারবেন না তাই এখনকার সাধারণ স্মার্টফোনগুলোর মত বার বার খুলে লাগানোর জন্য ব্যাক পার্টের যে সমস্যা গুলো হয় যেমন, ভেঙ্গে যাওয়া, ক্লিপ দুর্বল হয়ে যাওয়া – ইত্যাদি সমস্যাও আপনাকে ফেস করতে হবেনা।
  • যেহেতু ব্যাকপার্টটি সিলড অবস্থাতে থাকে তাই স্মার্টফোনের ভিতরে ধুলো-বালিও যায়না। ফলে আপনার ডিভাইসটি সবসময়ই থাকবে একদম পরিষ্কার এবং অবশই সুরক্ষিত কেননা ধুলো বালি কখনোই ডিভাইসটির ইন্টারনাল পার্টসে জমবে না। এছাড়া ধুলো বালি না জমার কারণে স্মার্টফোনটি থাকবে একবারে নতুনের মতই।
  • ব্যাক পার্ট সিলড থাকায় স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারার প্রতিষ্ঠানগুলো ডিভাইসটিতে ফাঁকা জায়গার পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে, ফলে বর্তমানের স্মার্টফোনগুলো স্মার্ট থেকে স্মার্টার হচ্ছে। আর এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোও স্লিম স্মার্টফোন নির্মাণ করতে সক্ষম হচ্ছে।
  • এছাড়াও, ইনবিল্ট ব্যাটারিগুলোর লাইফটাইম রিমুভেবল ব্যাটারিগুলোর থেকে বেশ ভালো হয়ে থাকে।

অসুবিধা সমূহ:

  • নন-রিমুভেবল ব্যাটারি হবার কারণে আপনি একটি বাড়তি ব্যাটারি ক্যারি করতে পারবেন না। এর ফলে আপনাকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু, বর্তমানে অবশ্য বাড়তি ব্যাটারির জায়গাটা খুব ভালোভাবেই পাওয়ার ব্যাংক দখল করে নিচ্ছে। তবে হ্যাঁ, পাওয়ার ব্যাংকের মূল্যও অবশ্যই স্পেয়ার ব্যাটারির তুলনায় বেশি।
  • আপনার যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও ফোনটি হ্যাং হয়েছে, তাই না? সাধারণ ফোনগুলোতে স্মার্টফোন হ্যাং হবার পর যখন কোন ফিজিক্যাল বা টাচ ক্যাপাসিটিভ বাটন কাজ না করে তখন আমরা ব্যাটারি খুলে ফেলে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারতাম কিন্তু ইনবিল্ট ব্যাটারি যেহেতু খুলতে পারবেন না, ফলে যদি আপনার স্মার্টফোন স্টাক হয়ে যায় তবে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ শেষ হবার জন্য। হয়তো এছাড়াও কোন উপায় থাকতে পারে, তবে আপাতত আমার জানা নেই।
  • ব্যাটারিতে শর্ট সার্কিট হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ইনবিল্ট ব্যাটারিও এর ব্যতিক্রম নয়। আর ইনবিল্ট ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে আপনাকে কিছুটা ঝামেলায় পড়তে হবে কেননা সাধারণ ব্যাটারির মত ইন বিল্ট ব্যাটারিগুলো সহজেই পরিবর্তনযোগ্য নয়।

আশা করি আপনাদের সামনে পার্থক্য খুব পরিষ্কার ভাবেই তুলে ধরতে পেরেছি, অন্তত আপনাদের কনফিউশন এখন দূর হয়ে যাওয়ার কথা। এখন আপনি যখন জেনেই গেলেন এর সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ, তাই অন্তত এই বিষয়টিতে আর সমস্যা হবেনা বলেই আমি আশা করছি।

zugtech.com থেকে সংগ্রহীত

Level New

আমি অর্ক রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আমার এক বন্ধু তো সিম্ফনি ডাব্লু ১৫০ কিনে এই বিপদে পড়েছে। হ্যাং করলেই কাস্টমার কেয়ারে দৌড়ায় 😀

সবদিক মিলিয়ে আমি রিমোভেবল ব্যাটারির ফোনকেই এগিয়ে রাখব ।

নন রিমুভেবল ব্যাটারির অারো অনেক অসুবিধা আছে।

Level 0

Hang hole….jene nin apnar phone er force restart button ki ki……

oita chaplei….hang problem hobe na…..

sony xperia series er force restart button hosse…..power button + volume up button
5 seconds – restart
10 seconds – shut down

রিমোভেবল ব্যাটারির ফোনই ভালো