মিউজিকপ্রেমীদের জন্য Symphony M1 সিম্ফনি এমওয়ান নামক সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন ও শীর্ষস্থানীয় হ্যান্ডসেট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিম্ফনি যৌথভাবে হ্যান্ডসেট ‘টি বাজারে এনেছে। মিউজিকপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে M1 মডেলের এই ফোনটিতে রয়েছে সুপিরিয়র সাউন্ড চিপসেট ও ডেডিকেটেড মিউজিক কী।
অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ অপারেটিং সিস্টেমের এই ফোনে আরও রয়েছে ৪.৭ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে, ১.৩ গিগাহার্টজের কোয়াডকোর প্রসেসর, ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। এছাড়া এতে রয়েছে ডেডিকেটেড মিউজিক কী। সিম্ফনির এই ফোনে ব্যাকআপের জন্য ১,৯০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ডুয়েল সিম সুবিধার এই ফোনে আরও রয়েছে জেশ্চার সুবিধা, স্মার্ট রিমোট প্রভৃতি সুবিধা। এসবের পাশাপাশি ৭,২৯০ টাকা মূল্যের এই ফোনে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সাধারণ ফিচার তো রয়েছেই। এছাড়া এই ফোনটি কিনলে ক্রেতারা ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট পাবেন বিনামূল্যে, এর পাশাপাশি পরবর্তী ২ মাসে মোট ১০ গিগাবাইট ইন্টারনেট ডাটা পাবেন মাত্র ২৫০ টাকায় (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য)।
প্রিয়টেক বরাবরই বাজারে আসা নিত্যনতুন সব স্মার্টফোনের হ্যান্ডস-অন রিভিউ পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় সিম্ফনির নতুন স্মার্টফোন M1 এর ডিজাইন, ব্যাটারী ব্যাকআপ, গেমিং পারফরম্যান্স, বেঞ্চমার্ক স্কোর, ক্যামেরা পারফরম্যান্স প্রভৃতি বিশ্লেষণধর্মী তথ্য নিয়ে আজ থাকছে Symphony M1 এর Exclusive Hands-on Review
চলুন তাহলে দেখে নিই কী কী ফিচার রয়েছে Symphony M1 এ-
এবারে তাহলে বিস্তারিত রিভিউয়ের দিকে যাওয়া যাক-
আনবক্সিং:
Symphony M1 স্মার্টফোনটির বক্সে যা যা রয়েছে –
অপারেটিং সিস্টেম:
Symphony M1 ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডের আপগ্রেডেড ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ ব্যবহার করা হয়েছে।
বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন:
সিম্ফনি এম১ স্মার্টফোনটি বেশ আকর্ষণীয় ডিজাইনের। এর উপরের অংশে রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও পোর্ট ও ইউএসবি ২.০ পোর্ট, এছাড়া ফোনটির একপার্শ্বের অংশে রয়েছে ভলিউম কী ও পাওয়ার কী।
১৩৬.৬ মিলিমিটার উচ্চতার এই ফোনটি প্রস্থে ৬৮ মিলিমিটার আর এর পুরুত্ব ৯.১ মিলিমিটার। Symphony M1 স্মার্টফোনটির পেছনের দিকে উপরের অংশে আছে রিয়ার ক্যামেরার লেন্স ও ফ্ল্যাশলাইট আর নিচের দিকে রয়েছে স্পীকার। এছাড়া সম্মুখভাগে ফ্রন্ট ক্যামেরা, সেন্সর, স্পীকার প্রভৃতি তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি এই ফোনে হোম/মেনু, অপশন ও ব্যাক – এই তিনটি বাটন রয়েছে।
ডিসপ্লে:
এই ফোনে ৪.৭ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, আর এর ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন হলো ৯৬০x৫৪০ পিক্সেলের।
ইউজার ইন্টারফেস:
Symphony M1 ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েডের আপগ্রেডেড ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ ব্যবহৃত হয়েছে।
নোটিফিকেশন বার:
হোমস্ক্রীন:
অ্যাপ ড্রয়ার:
সিপিউ:
সিপিউ হিসেবে এই ফোনে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্টজ গতির কোয়াডকোর প্রসেসর, ফলে এই ফোনে মাল্টিটাস্কিং, গেমিং প্রভৃতি বেশ স্মুথলি করা যায়।
চিপসেট:
স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনসমূহে সাধারণত মিডিয়াটেক চিপসেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে, ব্যতিক্রম ঘটেনি সিম্ফনি এমওয়ান এর ক্ষেত্রেও। এই ফোনে মিডিয়াটেকের MT6582 চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে।
জিপিউ:
সিম্ফনির এই ফোনে মালি-৪০০ জিপিউ ব্যবহৃত হয়েছে। স্বল্পমূল্যের ফোন হিসেবে এই ফোনের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি কিংবা গেমিং পারফরম্যান্স মন্দ নয়।
মেমোরী:
সিম্ফনি এমওয়ান স্মার্টফোনটিতে ৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরী দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য।
র্যাম:
এই ফোনে রয়েছে ১ গিগাবাইটের র্যাম, যার মধ্যে প্রায় ৯৬২ মেগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যাপস ইন্সটল করলেও র্যামের প্রায় অর্ধেক ফাঁকা থাকে।
ক্যামেরা:
সিম্ফনি এমওয়ান স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা, এছাড়া ক্যামেরায় অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ প্রভৃতি সুবিধাতো থাকছেই।
দিনের আলোতে এই ফোনের ক্যামেরায় তোলা ছবিঃ
এসবের পাশাপাশি সেলফি তোলা কিংবা ভিডিও কলিংয়ের জন্য আছে ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
মাল্টিমিডিয়া:
সিম্ফনি এমওয়ান এ রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক। এর সাথে যে হেডফোনটি দেওয়া হয় তার সাউন্ড কোয়ালিটি মন্দ নয়, এর অডিও সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ সুন্দর। আর এই ফোনে আইপিএস ডিসপ্লে ব্যবহৃত হওয়ায় এতে দারুণভাবে ভিডিও উপভোগ করা যায়। এই ফোনে ১০৮০ পি ফুল এইচডি ভিডিও কোন ধরণের ল্যাগ ছাড়াই চলে।
গেমিং পারফরম্যান্স:
এন্ট্রি লেভেলের এই ফোনটি সাধারণ গেমিংয়ের জন্য মন্দ নয়। কোয়াডকোর প্রসেসর ও ১ গিগাবাইট র্যামবিশিষ্ট এই ফোনে নানা জনপ্রিয় গেম বেশ স্মুথলি খেলা যায়। এই ফোনে ক্যান্ডি ক্র্যাশ সাগা, কিংডম রাশ, মাইন ক্র্যাফট, টেম্পল রান ২ প্রভৃতি জনপ্রিয় গেম কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়াই খেলা গেছে।
কানেক্টিভিটি:
এই ফোনে ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস হটস্পট প্রভৃতি কানেক্টিভিটি সুবিধা রয়েছে। এছাড়া জিপিএস নেভিগেশন সুবিধাতো রয়েছেই।
সিম:
Symphony M1 ফোনটিতে রয়েছে ২টি সিম ব্যবহারের সুবিধা।
ব্যাটারী:
৪.৭ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে সংবলিত সিম্ফনি এমওয়ান এ ১৯০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। একবার ফুল চার্জ দিলে টানা ৪-৫ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়। এছাড়া একবার ফুল চার্জে টানা প্রায় ৫ ঘন্টা এইচডি ভিডিও উপভোগ করা যায়।আর সাধারণ ব্যবহারে অনায়াসেই ১ দিন চলে যায়।
বেঞ্চমার্ক:
কোন ডিভাইসের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য সাধারণত বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাই করা হয়ে থাকে। সিম্ফনি এমওয়ান এর বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাইয়ের জন্য বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের জনপ্রিয় অ্যাপ AnTuTu বেছে নেওয়া হয়েছিলো। AnTuTu তে এর স্কোর এসেছে ১৯,১১২
স্পেশাল ফিচার:
এই ফোনে স্পেশাল ফিচার হিসেবে রয়েছে ডেডিকেটেড মিউজিক কী, স্মার্ট রিমোট কন্ট্রোলার প্রভৃতি সুবিধা।
মূল্য:
ক্রেতাদের সাধ্যের কথা বিবেচনা করে আকর্ষণীয় ডিজাইন, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারী ব্যাকআপ ও চমৎকার সব ফিচারসংবলিত সিম্ফনি এমওয়ান স্মার্টফোনটির মূল্য ৭,২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। আর সাথে গ্রামীনফোনের পক্ষ থেকে নানা freebies তো থাকছেই।
Symphony M1 সিম্ফনি এমওয়ান এর ভালো লাগার দিকসমূহ:
Symphony M1 এর সীমাবদ্ধতা:
স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন সিম্ফনি এমওয়ান এ অপেক্ষাকৃত দুর্বল মালি-৪০০ জিপিউ এর ব্যবহার ব্যতীত অন্য কোন উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা চোখে পড়েনি।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত:
যারা স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় নানা ফিচার সংবলিত স্মার্টফোন কিনতে চান তাদের জন্য Symphony থাকতে পারে পছন্দের শীর্ষতালিকায়। অন্যকথায় বলতে গেলে বলা যায় – স্পেসিফিকেশন, আপগ্রেডেড অপারেটিং সিস্টেম, মূল্য, পারফরম্যান্স প্রভৃতি দিক বিবেচনায় বর্তমানে এই প্রাইস রেঞ্জের সেরা ফোন Symphony M1
Symphony M1 সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান প্রশ্ন কিংবা টিউমেন্ট টিউমেন্টে লিখুন। নতুন কোন স্মার্টফোনের হ্যান্ডস-অন রিভিউ নিয়ে আবারও দেখা হবে আপনাদের সাথে। সবাই ভালো থাকুন আর চোখ রাখুন যুগ টেকে।
যুগটেক.ডট-কম থেকে সংগ্রহীত
আমি অর্ক রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Nice post…….. But nothing about OTG