আসুন জেনে নেই বাংলালিঙ্ক সম্পর্কিত কিছু প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও উত্তর

১. বাংলালিংক-এর নতুন সংযোগ ক্রয় করতে কি কি নথিপত্র প্রয়োজন?

উত্তর: একটি নতুন বাংলালিংক সংযোগ নেয়ার জন্য আপনার নিচের নথিপত্রগুলো প্রয়োজন হবেঃ

  • সম্পূর্ণভাবে পূরণকৃত নতুন সাবস্ক্রিপশন চুক্তিপত্র/রেজিস্ট্রেশন ফর্ম
  • ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (উভয় পৃষ্ঠার ফটোকপি)
  • একজন সুপারিশকৃত ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্য (সুপারিশকৃত ব্যক্তিটির নাম, ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার)

** প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং ফটো আইডির ধরন বিটিআরসি/সরকারী নিয়মানুসারে কোন অগ্রিম নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকেই পরিবর্তিত হতে পারে। অনুগ্রহ করে মনে রাখতে হবে যে গ্রাহকের বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।

২. সংযোগ ক্রয়ের সময় পাওয়া নথিপত্রগুলো দিয়ে গ্রাহক কী করবেন?

উত্তর: গ্রাহক বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে এবং যেকোন ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের জন্য সংযোগ ক্রয়ের সময় পাওয়া নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলো সংরক্ষণ করবেন:

ক. সাবস্ক্রিপশন ফর্ম (গ্রাহকের কপি)
খ. ক্রয়ের রসিদ
গ. স্টার্টার/সিম-এর সাথে পাওয়া স্বাগতম চিঠি/সিম রিপ্লেসমেন্ট কিট যেমন সিম, পিন নাম্বার, পাক নাম্বার।

৩. একটি নতুন সংযোগ চালু হতে কত সময় লাগতে পারে?

উত্তর: বিটিআরসির নিয়মানুসারে যথাযথ যাচাইকরণের পর সকল প্রি-পেইড ও পোস্ট-পেইড সংযোগ চালু হবে। প্রয়োজনীয় যাচাইকরণের জন্য ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

৪. পিন(PIN) বা পাক(PUK) কোড কি?

উত্তর: পিন হচ্ছে পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশান নাম্বার (পিন নাম্বার সিমকে অননুমোদিত ভাবে ব্যবহার হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে) । পাক হচ্ছে পার্সোনাল আনব্লকিং কী (পাক-১ পিন-১কে আনব্লক করতে ব্যবহৃত হয়)।

৫. পিন বা পাক কোড ব্লকড হয়ে গেলে কি করবেন?

উত্তর: কোন গ্রাহক যদি পরপর ৩ বার ভুল পিন নাম্বার প্রবেশ করান তাহলে তার সিম কার্ডটি ব্লক হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকের পাক কোডটি প্রয়োজন হবে সিম কার্ডটি আনব্লক করার জন্য। অনুগ্রহ করে আনব্লক করার জন্য নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন: পাক ১ প্রবেশ করিয়ে ok বাটন টিপুন > পিন ১ প্রবেশ করিয়ে ok বাটন টিপুন > পিন ১ এবং ok।

অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে পিন ১ আনব্লক করার জন্য পাক ১ প্রয়োজন। কেউ যদি পরপর ১০ বার ভুল পাক নম্বর প্রবেশ করান, তার সিম কার্ডটি স্থায়ীভাবে ব্লক হয়ে যাবে।

৬. বাংলালিংক পোস্ট-পেইড গ্রাহকেরা কীভাবে মাসিক বিলের বিবরণ পাবেন?

উত্তর: প্রতি বিল সাইকেল-এ বিল প্রিন্ট হওয়ার ২ থেকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে যথাক্রমে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের গ্রাহকের কাছে কুরিয়ার সার্ভিস-এর মাধ্যমে বিল পৌঁছে যাবে। ক্ষেত্রবিশেষে যদি গ্রাহক তার বিলটি গ্রহণে অপারগ হন তাহলে তিনি বাংলালিংকের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।

৭. বাংলালিংক-এর বিল পরিশোধ পদ্ধতি কি?

উত্তর: বাংলালিংক গ্রাহকরা তাদের পোস্ট-পেইড সংযোগের বিল দিতে পারেন:

  • ক্যাশ, ক্রেডিট কার্ড
  • এটিএম/ ডেবিট কার্ড
  • চেক/ ডিডি
  • আইভিআর/অটোবিল পে/ কিউ ক্যাশ
  • এসএমএস-এর মাধ্যমে
  • ই-ভাউচার/ আই’টপ-আপ-এর মাধ্যমে

বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে দেখুন পেমেন্ট অপশন

৮. কিভাবে একজন গ্রাহক আউটগোয়িং/ ইনকামিং কল সীমাবদ্ধ করতে পারেন? পাসওয়ার্ড ব্লকড হয়ে গেলে কি করার আছে?

উত্তর: পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে গ্রাহক তার হ্যান্ডসেট থেকে কিছু নির্দিষ্ট নাম্বার-এ আউটগোয়িং এবং ইনকামিং সীমাবদ্ধ করে দিতে পারেন। একটি নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড হচ্ছে ০০০০। অন্য নাম্বারে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের জন্য গ্রাহককে তার হ্যান্ডসেট মেন্যু থেকে বেরিং অপশনটি অনুসরণ করতে হবে অথবা নেটওয়ার্ক নির্ভর জিএসএম কোড ব্যবহার করতে হবে। এই অপশনটি শুধুমাত্র পোস্ট-পেইড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।

৯. কি কারণে একটি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, বিল নাকি ব্যবহারের জন্য?

উত্তর: একজন গ্রাহক তার সর্বোচ্চ ব্যবহার সীমা যদি অতিক্রম করেন তাহলে তার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি ক্রেডিট ঝুঁকি কমায়। বাংলালিংক ক্রেডিট পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্রেডিট পলিসি দেখতে পারেন।

১০. সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর পুনরায় সংযোগ চালু করতে কি টাকা লাগবে?

উত্তর: হ্যাঁ লাগবে, যদি তার মাসিক বিল তার সর্বোচ্চ ব্যবহার সীমার চাইতে বেশি হয়। বাংলালিংক ক্রেডিট পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে বিল পরিশোধ অপশন পরিদর্শন করুন।

১১. সিম হারিয়ে গেলে কিভাবে সিমটির সংযোগ বন্ধ করা যায়?

উত্তর: যদি আপনি আপনার সংযোগটি হারিয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে অনুগ্রহ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি এবং নথিপত্রসহ বাংলালিংক টাচ পয়েন্ট-এ চলে যান অথবা ১২১ এ ফোন করুন।

১২. সিমটি যদি আবার ফিরে পাওয়া যায় তাহলে কিভাবে সেটি পুনরায় সচল করা যাবে?

উত্তর: যদি আপনি আপনার সংযোগটি আবার ফিরে পান সেক্ষেত্রে অনুগ্রহ করে সংযোগ পুনরায় সচল করতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি এবং নথিপত্রসহ বাংলালিংক টাচ পয়েন্ট-এ চলে যান অথবা ১২১ এ ফোন করুন।

১৩. সিকিউরিটি ডিপোজিট কী?

উত্তর: একজন গ্রাহক পোস্ট-পেইড সংযোগ ক্রয় করলে তার কাছ থেকে নিরাপত্তামূলক যে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয় তাকে সিকিউরিটি ডিপোজিট বলে। কোন গ্রাহক যদি তার সিকিউরিটি ডিপোজিট অতিক্রম করেন বা সিকিউরিটি ডিপোজিট-এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যয় করেন তখন তার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।

১৪. গ্রাহক কি চাইলে এই সিকিউরিটি ডিপোজিট-এর পরিমাণ বাড়াতে পারেন?

উত্তর: অবশ্যই। গ্রাহক চাইলে তার ডিপোজিট বাড়িয়ে নিতে পারেন।

১৫. গ্রাহক যদি তার সংযোগে আইএসডি সুবিধা পেতে চান, তাহলে নির্দিষ্টভাবে কি প্রয়োজন?

উত্তর: আইএসডি সুবিধার জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলো (শুধুমাত্র পোস্ট-পেইড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য):

  • নিয়মিত বিল প্রদানকারীর ক্ষেত্রে বকেয়া বিল সিকিউরিটি ডিপোজিটের চাইতে কম হতে হবে, অথবা সম্পূর্ণ বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে।
  • ঠিকানা কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃক যাচাইকৃত হতে হবে।
  • যদি ঠিকানা ভুল হয়/ বিল ফিরে আসে, সেক্ষেত্রে তাকে প্রমাণসহ নতুন ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

গ্রাহকের তথ্য যদি পিওডি রিপোর্ট-এ পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে গ্রাহক একজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক কিনা সেটি নিশ্চিত হতে হবে (যেহেতু সংযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রাহকের কাছে একমাস পর বিল পাঠানো সম্ভব হবে না)। এইক্ষেত্রে গ্রাহককে নিচের কোন একটি নথি প্রদর্শন করে তার ঠিকানার সত্যতা প্রমাণ করতে হবে :
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- টিন সার্টিফিকেট
-অফিস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি
- ট্রেড লাইসেন্স

Level 0

আমি মুঃ মশিউর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Bachelor of Science in Computer Science and Engineering


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

mia apnar ki kaj nai faltu post koren.

Level 0

বেশ বেশ। কিছু অবশ্যই জানতে পারলাম।

ধন্যবাদ@ limaj