
প্রযুক্তির জগতে প্রতিটি মুহূর্তে নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। মানব সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ চেয়েছে সহজে যোগাযোগ করতে। ধোঁয়ার সংকেত, চিঠি, টেলিগ্রাফ, রেডিও, টেলিফোন—এগুলো ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার ধাপ। এরপর এলো মোবাইল ফোন, যা পুরো পৃথিবীকে হাতে এনে দিল।
কিন্তু ২০২৫ সালে এসে আমরা প্রবেশ করেছি এক নতুন যুগে—ফোন ছাড়াই ভার্চুয়াল কলের যুগে। এটি শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, বরং মানব ইতিহাসে যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় রূপান্তর।
যোগাযোগের ইতিহাস জানলে বোঝা যাবে কেন ফোনবিহীন কল এত বড় এক বিপ্লব।
– সময়সাপেক্ষ, অনিশ্চিত।
– দূরত্ব কমল, কিন্তু দিন-সপ্তাহ সময় লাগত।
– গ্রাহাম বেলের আবিষ্কার মানব সভ্যতায় বিপ্লব আনল।
– পরে যোগ হলো এসএমএস, ইন্টারনেট, ভিডিও কল।
– এটি শুধু কল নয়, একেবারে জীবন্ত অনুভূতি।
এই প্রযুক্তির মূল তিনটি স্তম্ভ—
– এতে মাইক্রোপ্রজেক্টর থাকে, যা সামনে ভিজ্যুয়াল হোলোগ্রাম তৈরি করে।
– ফলে তুমি কারও সঙ্গে কথা বললে মনে হবে সে ঠিক তোমার সামনেই আছে।
– পৃথিবীজুড়ে কৃত্রিম উপগ্রহ সরাসরি সিগন্যাল পাঠায়।
– এর ফলে পাহাড়, সমুদ্র, মরুভূমি—যেখানেই থাক না কেন, কল দেওয়া সম্ভব।
– শুধু চিন্তার মাধ্যমেই কাজ হয়।
– তুমি যদি মনে কর “বন্ধুকে কল দেই”, সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেম সক্রিয় হয়ে যায়।
– স্ক্রিন আসক্তি সমাজে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছিল।
– ভার্চুয়াল কল সেই সমস্যা অনেকটাই কমিয়েছে, কারণ এখানে “স্ক্রিন” বলে কিছু নেই।
– এখন পৃথিবীর যেকোনো স্থানে একই মানের যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
– শুধু একটি ছোট ডিভাইসই যথেষ্ট।
দূরে থাকা ছেলেমেয়েরা এখন পরিবারের সামনে যেন উপস্থিত।
দাদু-দাদী নাতিকে 3D আকারে দেখে আনন্দ পান, যেন সত্যিই পাশে বসে আছে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাস করছে।
শিক্ষক এক দেশে, ছাত্র আরেক দেশে—কিন্তু মনে হচ্ছে সবাই একই কক্ষে বসে আছে।
আগে আন্তর্জাতিক মিটিং করতে লাখ টাকা খরচ হতো।
এখন ঘরে বসেই লাইভ হোলোগ্রাফিক মিটিং সম্ভব।
ডাক্তার সরাসরি রোগীর সামনে ভার্চুয়ালভাবে হাজির হয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
রোগী অন্য দেশে থাকলেও যেন ডাক্তারকে হাতের সামনে পাওয়া যাচ্ছে।
– ২০৩০ সালে হয়তো আলাদা ডিভাইসও লাগবে না।
– মানুষের শরীরেই চিপ বসানো থাকবে।
– শুধু চিন্তা করলেই অপর প্রান্তের মানুষ হাজির হবে।
একসময় হয়তো কল করার ধারণাটিই পাল্টে যাবে।
মানুষ শুধু ভাবলেই বার্তা পৌঁছে যাবে—যেন টেলিপ্যাথি।
২০২৫ সালের “ফোন ছাড়াই ভার্চুয়াল কল” শুধু প্রযুক্তি নয়, মানব ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এটি আমাদের জীবনকে সহজ করবে, সময় বাঁচাবে এবং পৃথিবীকে আরও কাছে নিয়ে আসবে। যেমন একসময় চিঠি থেকে ফোনে আসা ছিল অবিশ্বাস্য, আজ তেমনি ফোন থেকে সরাসরি ভার্চুয়াল কলে আসাটাও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে এটি হবে একেবারেই স্বাভাবিক।
আমি জান্নাতুল খাতুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 31 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোছা:জান্নাতুল খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বাংলাদেশ থেকে। আমি একজন ফ্রিল্যান্স লেখক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ডিজিটাল কনটেন্ট, আর্টিকেল এবং সৃজনশীল লেখা তৈরি করতে পারদর্শী। আমি মানসম্পন্ন কাজ প্রদান করতে এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট রাখতে উৎসাহী।