আসসালামু আলাইকুম,
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার প্রথম টিউনে সুন্দর মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
চেইন টি উনের পর্ব-০০২ তে আজ আলোচনা করব ব্যাকস্টেজ এর অধীন ফিচারগুলো নিয়ে। তাহলে শুরু করা যাক।
Save: ব্যাকস্টেজ এ গিয়ে Save এ ক্লিক করলে Save as ডায়ালগ বক্স আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়। এই বক্সের File name অংশে আপনি যে নামে ফাইলটি সেভ করবেন তা লিখুন। Save as type এর ডানপাশে black down arrow তে ক্লিক করলে ফাইল টাইপ মেনুটি ওপেন হবে। এখান থেকে PowerPoint presentation অথবা PowerPoint 97-2003 presentation এর যেকোন একটি সিলেক্ট করুন। তবে আপনি যদি ফাইলটি অন্য কোথাও নিতে চান বা কাউকে মেইল করে পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই ২য় অপশানটি সিলেক্ট করুন। কারন, সবাই হয়তো অফিস ২০১০ ব্যবহার নাও করতে পারেন।
উপরের চিত্রের (১) চিহ্নিত স্থানে গিয়ে ফাইলটি যেখানে সেভ করবেন তা সিলেক্ট করবেন তা সেট করে নিচে সেভ বাটনে ক্লিক করুন। ফাইল টি সেভ হয়ে গেল।
Save as: এই কমান্ডটি আমরা ব্যবহার করি মূলত মূল ফাইলটি অক্ষত রেখে অন্য একটি ফাইলটি তৈরি করে এডিট করার জন্য। Save as কমান্ডটি প্রয়োগ করে অন্য একটি নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করে প্রয়োজনীয় এডিট করুন। সম্পূর্ন প্রক্রিয়াটি সেভ যেভাবে করে ঠিক সেরকম।
Save করার জন্য কী-বোর্ড কমান্ডঃ Ctrl + S
Save as এর কী-বোর্ড কমান্ডঃ F12
Open: Backstage/File menu থেকে Open এ ক্লিক করে অথবা কী-বোর্ড Ctrl+O চেপে আপনি ফাইল ওপেন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ওপেন ডায়ালগ বক্স আসার পর ফাইল যেখানে আছে সেখানে গিয়ে ফাইল সিলেক্ট করে ওপেন এ ক্লিক করুন বা ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করলে ফাইলটি ওপেন হয়ে যাবে।
Close: পাওয়ারপয়েন্টে যদি একাধিক ফাইল ওপেন করা থাকে তাহলে এই কমান্ডটি প্রয়োগ করে আপনি একটিভ ফাইলটি ক্লোজ করতে পারেন। ব্যাকস্টেজ এ গিয়ে close এ ক্লিক করুন বা কী-বোর্ড থেকে Ctrl+w চাপুন।
New: পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ এ নতুন একটি ফাইল তৈরি করতে New তে ক্লিক করুন অথবা কী-বোর্ড থেকে Ctrl+N চাপুন। নিম্নের ডায়ালগ বক্সটি ওপেন হবে।
উপরের চিত্রে (১) চিহ্নিত স্থান থেকে Blank presentation select করে চিত্রে (৩) চিহ্নিত স্থানে Create এ ক্লিক করুন। নতুন ফাইল তৈরি হবে। এছাড়া Home এর অধীনে বিভিন্ন ডিফল্ট টেম্পলেট ব্যবহার করে আপনি কাজ করতে পারেন।
উপরের চিত্রে (২) চিহ্নিত স্থানে Office.com template ব্যবহার করেও আপনি কাজ করতে পারেন। তবে Office.com template ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশান একটিভ থাকতে হবে। কারন অফিস টেম্পলেট এ ক্লিক করলে সেটি আগে ডাউনলোড হবে তারপর আপনার ব্যবহার উপযোগী হবে।
Print: Backstage/File menu থেকে Print এ ক্লিক করুন অথবা কী-বোর্ড থেকে Ctrl+P চাপুন। নিম্নের ডায়ালগ বক্সটি ওপেন হবে।
চিত্রে (১) চিহ্নিত স্থানে যতকপি প্রিন্ট করবেন তার সংখ্যা লিখে দিন।
চিত্রে (২) চিহ্নিত স্থানে প্রিন্টার সেট করতে ভূলবেননা।
চিত্রে (৩) চিহ্নিত সেটিংস এ প্রথমেই কোন কোন স্লাইড প্রিন্ট করবেন তা সেট করুন। যদি সব স্লাইড প্রিন্ট না করেন তবে Slides অংশে স্লাইড নাম্বার সেট করতে পারেন এভাবে..১,৩,৪-৭, ১০, ১২, ১৬-২০।
এরপরের অপশানে একটি পেজে কয়টি স্লাইড প্রিন্ট করবেন তা সেট করুন।
এরপরের অপশনে কিভাবে স্লাইডগুলো প্রিন্ট হবে তা সেট করুন। যেমনঃ ১-৫ এই ৫টি স্লাইড ৪কপি করবেন। এগুলো ১,২,৩,৪,৫ এইভাবে প্রিন্ট হবে নাকি ১নং স্লাইড ৪টি, ২নং স্লাইড ৪টি এভাবে প্রিন্ট হবে সেট করুন। প্রথম অপশানের জন্য Collated, ২য় অপশানের জন্য Uncollated নির্বাচন করুন।
সবশেষে কালার সেট করুন। রঙীন নাকি সাদাকালোতে প্রিন্ট করবেন।
চিত্রে (৪) চিহ্নিত স্থান থেকে স্লাইডের হেডার ও ফুটার সেট করুন।
চিত্রে (৫) চিহ্নিত স্থানে Page preview দেখুন এরো গুলো ব্যবহার করে।
চিত্রে (৬) চিহ্নিত স্থান থেকে স্লাইডগুলোকে ছোট/বড় করে দেখুন।
চিত্রে (৭) চিহ্নিত স্থানে স্লাইডগুলোকে উপর/নীচ করে দেখুন।
Info: Info ডায়ালগ বক্স থেকে ফাইলটি সমস্ত তথ্য দেখতে পারে। ডায়ালগ বক্সটি দেখুন।
এখানে যে ৩টি অপশান আছে প্রথম অপশনটি আমরা ব্যবহার করে থাকি ফাইলটির সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য। এখানে Protect presentation
এ ক্লিক করুন। মেনু থেকে Encrypt with password এ ক্লিক করুন। পরপর দুইবার পাসওয়ার্ডটি দিয়ে ok করুন।
চিত্রে (২) চিহ্নিত স্থানে দেখুন আপনার ফাইলটির সব তথ্য।
Recent: এখানে আপনার কাজ করা সাম্প্রতিক ফাইলগুলো তালিকা সুন্দরভাবে সাজানো থাকে ফাইলগুলো লোকেশান সহ। বামপাশে Recent presentation ডানপাশে Recent places তালিকা দেখুন নিম্নের ডায়ালগ বক্সে।
মজার বিষয় হলো লিস্টগুলোর পাশের পিনে ক্লিক করে আপনি লিস্টগুলোকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে রি-অর্ডার করে সাজাতে পারেন।
Save and send: এখান থেকে আপনি ফাইলটি অন্যান্য ফাইল ফরমেটে সেভ করতে পারেন। এমনটি পাওয়ারপয়েন্ট ফাইলটিকে ভিডিও ফাইলে পরিনত করতে পারেন, সিডির জন্য তৈরি করতে পারেন এবং ইমেইলে অন্যত্র পাঠাতে পারেন। Save and send এর বিভিন্ন অপশানে ক্লিক করলে ডানপাশে সাবমেনু তে আরো তথ্যসম্বলিত বিবরন পাবেন। সে অনুযায়ী কাজ করুন। নিচের চিত্রটি দেখুন।
Help: এই ফিচারে মাইক্রোসফটের আপডেট, সহায়তা ও আপনার ইন্সটল করা প্রোগ্রামটির একটিভেশান সংক্রান্ত তথ্য থাকে।
Options: এই ফিচারে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ এর ইন্টারফেস ও সম্পূর্ন প্রোগ্রামটির কাস্টমাইজেশান প্রক্রিয়া দেয়া আছে।
পরবর্তী টিউনে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ এর ইন্টারফেস পরিচিতি ও কাস্টমাইজেশান পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আসছি। আশা করি সাথে থাকবেন। ভুলক্রুটি ও পরামর্শ দিবেন কিভাবে আরো সাবলীল করে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ সাইফুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 148 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আপনার টিউনটি খুবই সাজানো গোছানো । পুরাটাই প্রফেশনাল মানের । প্রথম থেকেই যেভাবে শুরু করেছেন তাতে মনে হচ্ছে বাকি অংশটুকু শেখার পর আমিও ভালোভাবে শিখতে পারবো আশা করি। এখানে নতুন নতুন কিছু বিষয় শিখলাম তা হচ্ছে password দেওয়া, video তৈরী করা। এই টিউনটি সর্বশেষ পর্যন্ত চালু থাকলে সবচাইতে আমি বেশি খুশি হব। ধন্যবাদ সুন্দর টিউনটির জন্য।