হ্যালো টিউডার বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই ভালোই আছেন। বরাবরের মতো আজো নিয়ে এসেছি সুন্দর একটা টিউন। আশাকরি আপানাদের ভালো লাগবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে টিউন শুরু করা যাক।
শরীরের যেকোনাে অংশের ঐচ্ছিক মাংসপেশি গুলো ইচ্ছামতাে নাড়াতে পারা যায় শারীরিক ক্ষমতার জন্য। কোন কারনে এই ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে অর্থাৎ শরীরের ঐচ্ছিক পেশি গুলো নাড়াতে না পারলে তখন তাকে প্যারালাইসিস বলে।
সাধারণত মস্তিষ্কের কোনাে অংশের ক্ষতি সাধিত হলে ঐ অংশের সংবেদন গ্রহণকারী পেশিগুলাে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে প্যারালাইসিস হয়। একজনের আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ প্যারালাইসিস হতে পারে, ফলে শরীরের একপাশে কোনাে অঙ্গ অথবা উভয় পাশের অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। যেমনঃ দুই হাত ও পায়ের প্যারালাইসিস।
কারণঃ
প্যারালাইসিস সাধারণত স্ট্রোকের কারণে হয়।
এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত কারণে মেরুদণ্ডের বা ঘাড়ের সুষুম্নাকাণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্যারালাইসিস হতে পারে। স্নায়ু রােগ, সুষুম্নকাণ্ডের কিংবা কশেরুকার ক্ষয় রােগও প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।
এপিলেপসি মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে খিঁচুনি বা কাঁপুনি দিতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে রােগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই রােগকে মৃগী রােগও বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রােগের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য কার্যশক্তি হারিয়ে ফেলে গলে শরীর কাপুনির সৃষ্টি হয় ও খিচুনি দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আগুন বা পানির সাথে এপিলেপসির লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার কোনাে সম্পর্ক নেই বলে জানা যায়। কিন্তু রােগাক্রান্ত অবস্থায় কোথাও পড়ে গেলে রােগী নিজ শক্তিতে উঠতে পারে না। এই কারণে এসব রােগীকে জলাশয় বা আগুন অথবা এমন কিছু বস্তু যা বিপদে ফেলতে পারে এমন স্থান বা বস্তু থেকে দূরে রাখতে হয়।
এপিলেপসির আসল কারণ এখনও সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞানীরা জানতে ব্যার্থ। স্ট্রোকে আক্রান্ত রােগীদের মৃগী রােগ দেখা দেয়। মাথায় আঘাতের কারণে ম্যানিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, জন্মগত মস্তিষ্কের বিকৃতি, টিউমার ইত্যাদি কারণেও এপিলেপসির উপসর্গ দেখা দেয়।
কখনো এপিলেপসি যেকোনাে মানুষের যেকোন বয়সে হতে পারে। এমনো কিছু এপিলেপসির রোগী আছে যাদের দীর্ঘমেয়াদি অসুখেও ক্ষতিকর কিছু ঘটেনি। কিন্তু কোনো এপিলেপসি সল্প মেয়াদী হলেও মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ চকিৎসাবিদের তত্ত্বাবধানে এপিলেপসির ধরন নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা একান্ত প্রয়ােজন।
পারকিনসন রােগ মস্তিষ্কের এমন এক অবস্থা যেখানে হাত এবং পা কাঁপতে থাকে। ফলে রােগীর অঙ্গচালনা, হাটাহাটি করতে সমস্যা ও সুক্ষ কাজ গুলোতো দুরের কথা সাধারণ কাজগুলো করতেও অসুবিধা হয়। সাধারণত এ রোগ বৃদ্ধদের হয়ে থাকে অর্থাৎ যাদের বয়স ৫০ এর উপরে।
তবে ব্যতিক্রম হিসেবে যুবক-যুবতীদেরও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে রােগটি তার বংশে রয়েছে বলে ধরা হয়। স্নায়ুকোষ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে থাকে, যার একটি হলাে ডােপামিন। ডােপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে।
পারকিনসন এমন এক ধরনের রোগ যা রােগীর মস্তিষ্কে ডােপামিন তৈরির কোষগুলাে সময়ের পরিক্রমায় নষ্ট করে দেয়। ডােপামিন ছাড়া ঐ স্নায়ু কোষগুলাে পেশি কোষগুলােতে সংবেদন পাঠাতে পারে না। ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়।
বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে পারকিনসনের জন্য রােগীর মাংসপেশিগুলো আরো অকেজো হয়ে পরে ফলে রােগীর চলাফেরা, লেখালেখি ইত্যাদি কাজ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
পারকিনসন রােগ সাধারণত যত দিন যায় তত ক্ষতিকর রুপ ধারণ করে। প্রাথমিক অবস্থায় রােগী হালকা হাত বা পা কাঁপা অবস্থায় থাকে। ফলে চলাফেরা বিঘ্নিত হয়।
এছাড়াও চোখের পাতার কাপতে থাকা, কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবার খেতে অসুবিধা হওয়া, সােজাসুজি হাটার সমস্যা, কথা বলার সময় মুখের বাচনভঙ্গি না আসা অর্থাৎ মুখ অনড় থাকা মাংসপেশিতে টান পড়া বা ব্যথা হওয়া, অঙ্গচালনায় কষ্ট হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
এছাড়াও চেয়ার থেকে উঠা কিংবা হাঁটতে শুরু করার সময় অসুবিধে হওয়া— এই ধরনের নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়াও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ এবং সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে হবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের টিউন। সামান্যতম ভালো লাগার কারন এই টিউনটি হয়ে থাকলে জোসস দিতে দ্বিধা করবেন না। মন্তব্য থাকলে অবশই জানাবেন। এ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে টিউন পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।