মাথা নষ্ট করা ১০টা সাইকোলজি ট্রিকস! যা জানলে আপনাকে সবাই স্মার্ট ভাববে!

মাথা নষ্ট করা ১০টা সাইকোলজি ট্রিকস! যা জানলে আপনাকে সবাই স্মার্ট ভাববে!

 

আমাদের জীবনটা হচ্ছে একটা রঙ্গমঞ্চ, আর আমরা সবাই সেই মঞ্চের অভিনেতা। এখানে টিকে থাকতে গেলে শুধু hardworking হলেই চলে না, smart working হতে হয়। মানে,
সব কাজতো আর গায়ের জোড়ে হয়না কিছু কাজ বুদ্ধি দিয়ে করতে হয়। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন আমরা বুঝে উঠতে পারি না যে কী করব। মানস্মানের ব্যাপার থাকে, অস্বস্তি কাজ করে, আবার কখনও মানুষের মন জয় করতে হয়।

আজকে এমনই ১০টা বস-লেভেলর সাইকোলজি হ্যাকস জানবো যা আপনাকে ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে তুলবে। কেউ আবার এগুলাকে কালো জাদু ভাইবেন না, এগুলা সাধারনত মানুষের ব্রেন কীভাবে কাজ করে তার ওপর ভিত্তি করে বানানো কিছু সহজ চালাকি। কথা দিচ্ছি, এই কৌশলগুলো আপনার জীবনকে অনেক সহজ আর মজার করে তুলবে।

১. যখন সবার সামনে কিছু খেতে লজ্জা লাগে

কাহিনীটা এমন: ধরেন, এমন এক জায়গায় আছেন, হতে পারে সেটা কোনো সিরিয়াস মিটিং বা কোনো অনুষ্ঠান, যেখানে এখন কিছু খাওয়াটা কেমন যেন দেখায়। কিন্তু পেটের ভেতর ইদুরে কাবাডি খেলায়(😁)! না খেলে চলছে না, আবার খেলে মনে হচ্ছে সম্মান চলে যাবে। কী একটা অবস্থা! (এমন আমাও হইছিলো মিলাদে ২য় লুকিয়ে খেতে গিয়ে যখন ধরা খাই🤭 যাইহোক এটা ভিন্ন ঘটনা)

ট্রিক: একদম সহজ! একা একা না খেয়ে, আপনার হাতে যা আছে, সেটা পাশের মানুষটাকে অফার করুন(উল্টাপাল্টা কিছু খেতে দিয়েন না, আমি একবার দুধ চকলেট খেতে দিয়েছিলাম কিছুখন পরে কেন যানি আমার গাল লাল হয়েগেছে 🙂)।
হাসিমুখে বলুন, "এটা খেয়ে দেখেন!" ৯০% সময়েই দেখবেন সে 'না' করে দিবে। কিন্তু এতে আপনার খাওয়াটা আর ব্যক্তিগত থাকবে না, একটা সামাজিক ব্যাপার হয়ে যাবে। আর যদি সে নেয়ও, ক্ষতি কী? আপনি তো আর একা খাচ্ছেন না! দেখবেন, আপনার অস্বস্তি গায়েব আর কাজও হাসিল!

২. কারো নাম মনে রাখার সুপারহিট ফর্মুলা

কাহিনীটা এমন: আমাদের সবার সাথেই এটা হয়। নতুন কারো সাথে পরিচয় হলো, দুই মিনিট পরই তার নামটা মাথা থেকে হাওয়া। কী একটা লজ্জার ব্যাপার!

ট্রিক: যার সাথে পরিচিত হচ্ছেন, তার নামটা শোনার পর কথার মধ্যেই একবার ব্যবহার করুন। যেমন, "আরিফ ভাই, আপনার সাথে পরিচিত হয়ে খুব ভালো লাগল। " ব্রেন বারবার যা শোনে, তাই মনে রাখে। সাধারন হিসাব! নামটা একবার মুখে উচ্চারণ করলেই দেখবেন, সেটা মাথায় গেঁথে গেছে। (আপনি ছেলে হলে মেয়েদের নাম auto save হয়ে যায় 🙂[just for fun])

৩. কাউকে দিয়ে 'হ্যাঁ' বলানোর নিনজা টেকনিক

কাহিনীটা এমন: আপনি চাইছেন আপনার কোনো বন্ধু বা সহকর্মী আপনার কথায় রাজি হোক।

ট্রিক: তার সাথে কথা বলার সময় বা আপনার প্রস্তাবটা দেওয়ার সময় নিজে হালকা করে মাথা ওপর-নিচ করতে থাকুন (মানে, হ্যাঁ বলার মতো করে)। মানুষ আয়নার মতো, অবচেতনভাবে অন্যকে নকল করে। আপনার মাথা নাড়ানো দেখলে তারও মাথা নাড়ানোর একটা ইচ্ছা জাগবে, আর আপনার কথায় 'হ্যাঁ' বলার সম্ভাবনা রকেটের গতিতে বেড়ে যাবে!(তবে উল্টাপাল্টা প্রস্তাব দিলে অন্য কিছুও হতে পারে যেমন : রকেটের গতিতে গাল লাল : হ্যা 😁)

৪. কেউ কি লুকিয়ে আপনাকে দেখছে? ধরে ফেলুন হাতেনাতে!

কাহিনীটা এমন: আপনার মনে হচ্ছে, কেউ একজন আপনার দিকে গোপনে তাকাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি তাকাতেও পারছেন না। কীভাবে নিশ্চিত হবেন?

ট্রিক: আরাম করে একটা বড় হাই তুলুন। হাই তোলা মারাত্মক ছোঁয়াচে একটা জিনিস। যদি সত্যিই কেউ আপনার দিকে একমনে তাকিয়ে থাকে, তাহলে তার ব্রেন আপনাকে কপি করবেই এবং সে-ও হাই তুলবে। ব্যস, কেল্লাফতে! চোর ধরা পড়ে গেছে!

৫. কাউকে দিয়ে ছোট-খাট কাজ করানোর ম্যাজিক

কাহিনীটা এমন: আপনি চান, আপনার হাতে থাকা ব্যাগ বা বইটা পাশের জন একটু ধরুক, কিন্তু বলতে কেমন কেমন লাগছে।

ট্রিক: জিনিসটা তার দিকে এগিয়ে দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তার সাথে কথা বলতে শুরু করুন বা কোনো প্রশ্ন করুন। যেমন: "আচ্ছা, তুমি কি জনি কাকুকে চিনো 🙂[লিজেন্ডরা অন্য কিছু ভাববেন না]" মানুষ যখন কথা বলায় মনোযোগ দেয়, তখন তার শরীর অটো-পাইলট মোডে চলে যায়। এখন আপনার হাতে থাকা বস্তু (যেমন : বই) তাকে নিতে বললে সে কিছু না ভেবেই আপনার হাত থেকে জিনিসটা নিয়ে নেবে। ম্যাজিকের মতো কাজ করবে!

৬. বকাঝকা করার আর্ট (দ্য স্যান্ডউইচ মেথড)

কাহিনীটা এমন: কারো কোনো ভুল ধরিয়ে দিতে হবে, কিন্তু সে যেন কষ্ট না পায়, সেটাও দেখতে হবে।

ট্রিক: স্যান্ডউইচের কথা ভাবুন। প্রথমে মাখন লাগান (মানে, তার একটা ভালো কাজের প্রশংসা করুন)। এরপর আসল জিনিসটা (মানে, সমালোচনা বা ভুলটা) বলুন। আর শেষে আবার একটু মিষ্টি কথা বা উৎসাহ দিয়ে শেষ করুন। দেখবেন, সে আপনার কথাটা খুব সহজে মেনে নেবে, মনেও কষ্ট পাবে না। (🙂 এই পদ্ধতিতে আমার বন্ধুরা আমাকে নিয়ে মজা করে)

৭. আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ট্রিক্স

কাহিনীটা এমন: কোনো ইন্টারভিউ বা প্রেজেন্টেশনের আগে বুক ধড়ফড় করছে? আত্মবিশ্বাস তলানিতে?

ট্রিক: কাজের ঠিক আগে ২ মিনিটের জন্য একটু আড়ালে যান। তারপর সুপারম্যানের মতো বুক ফুলিয়ে, কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একে বলে "পাওয়ার পোজ"। বিজ্ঞানীরা বলেন, এভাবে দাঁড়ালে আমাদের শরীরে আত্মবিশ্বাসের হরমোন বেড়ে যায়। বডি পোজ ঠিক করলে, মনও ঠিক হয়ে যায়!(তবে সাবধান আপনার বন্ধুরা যেন না দেখে 🙂 তাহলে সুপার ম্যান থেকে সরাসরি হিরো আলম হয়ে যাবেন🤭)

৮. মাথায় আটকে থাকা গান ডিলিট করার উপায়

কাহিনীটা এমন: একটা গানের লাইন বারবার মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে? কী যে বিরক্তিকর একটা ব্যাপার!

ট্রিক: আমাদের ব্রেন কোনো অসমাপ্ত কাজকে ছাড়তে চায় না। গানটা মাথায় ঘুরছে কারণ ওটা একটা ভাঙা রেকর্ডের মতো চলছে। এই লুপটা ভাঙতে হলে গানটার শেষ লাইনটা মনে করার চেষ্টা করুন অথবা ইউটিউবে গিয়ে পুরো গানটা একবার শুনে নিন। কাজ শেষ, ব্রেনও শান্ত!

৯. সাহায্য চেয়ে সম্পর্ক ভালো করার কৌশল

কাহিনীটা এমন: আপনি চান কেউ আপনাকে পছন্দ করুক বা আপনার সাথে তার বন্ধুত্ব আরও গভীর হোক।

ট্রিক: তার কাছে একদম ছোটখাটো একটা সাহায্য চান। যেমন: "দোস্ত, তোর কলমটা একটু দিবি?" বা "এই জিনিসটা একটু ধর তো ভাই। " মনোবিজ্ঞানে বলে, মানুষ যাকে সাহায্য করে, তাকে আরও বেশি পছন্দ করতে শুরু করে। কারণ, তার মস্তিষ্ক তাকে বলে, "ধুর, ওকে পছন্দ করি বলেই তো হেল্প করলাম!"

১০. রাগী মানুষকে ঠান্ডা করার ট্রিক

কাহিনীটা এমন: কেউ আপনার ওপর প্রচণ্ড রেগে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। এখনি সব ফাটায় ফেলবে এমন অবস্থা তখন কী করবেন?

ট্রিক:প্রথমে পাল্টা attack করা যাবে না। একদম বরফের মতো শান্ত থাকুন। তাকে তার সব রাগ বের করতে দিন। তার কথা শেষ হলে, শান্তভাবে বলুন, "আমি বুঝতে পারছি, আপনার রাগটা কেন হচ্ছে। " যখন একজন রাগী মানুষ দেখে যে আপনি তার ওপর পাল্টা না রেগে বরং তার অনুভূতিকে দাম দিচ্ছেন, তখন তার সব রাগ এমনিতেই পানি হয়ে যাবে।


এই কৌশলগুলো কোনো রকেট সায়েন্স না, এগুলো হলো জীবনের ছোট ছোট কিছু নিয়ম। এগুলোকে নিজের জীবনে কাজে লাগান আর দেখুন ম্যাজিক! আপনিও হয়ে উঠুন আপনার জীবনের আসল বস!

Level 2

আমি ওমর ফারুক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ওমর ফারুক। আমি প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে আগ্রহী এবং ইতিমধ্যে stlight(https://bdxroot.github.io/stlight/index.html) নামে একটি প্রোজেক্ট সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে আমি Barrister Sultan Ahmed Chowdhury Degree College-এ পড়াশোনা করছি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস